কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:৪৩ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

কারামুক্ত হলেন মডেল মেঘনা আলম

মডেল মেঘনা আলম। ছবি : সংগৃহীত
মডেল মেঘনা আলম। ছবি : সংগৃহীত

প্রতারণার মামলায় জামিন ও ডিটেনশন আইনে আটকাদেশ বাতিলের পর কারামুক্ত হলেন আলোচিত মডেল মেঘনা আলম। মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে কারামুক্ত হন তিনি। ঢাকা বিভাগের কারা উপমহাপরিদর্শক জাহাঙ্গীর কবির গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে সোমবার (২৮ এপ্রিল) রাজধানীর ধানমন্ডি থানার প্রতারণা ও চাঁদাবাজির অভিযোগে করা মামলায় তিনি জামিন পান। ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ছানাউল্ল্যাহর আদালত শুনানি শেষে নারী বিবেচনায় তার জামিন মঞ্জুর করেন।

গত ১০ এপ্রিল বিশেষ ক্ষমতা আইনে ৩০ দিনের আটকাদেশ দিয়ে মডেল মেঘনা কারাগারে পাঠানো হয়। পরে তার ৩০ দিনের আটকাদেশ বাতিল হয়েছিল। গত ১৭ এপ্রিল এ মামলায় ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাসুম মিয়ার আদালত শুনানি শেষে তাকে গ্রেপ্তার দেখান।

মামলায় অভিযোগ থেকে জানা গেছে, মেঘনা আলম, দেওয়ার সমিরসহ অজ্ঞাতনামা ২/৩ জন একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সক্রিয় সদস্য। তারা বিভিন্ন সুন্দরী মেয়েদের দিয়ে বাংলাদেশে কর্মরত বিভিন্ন বিদেশি রাষ্ট্রের কূটনীতিক/প্রতিনিধি ও দেশীয় ধনাঢ্য ব্যবসায়ীদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে অবৈধ সম্পর্ক স্থাপন করিয়ে কৌশলে বিভিন্ন উপায়ে অবৈধ পন্থা অবলম্বনের মাধ্যমে তাদের সম্মানহানীর ভয় দেখিয়ে অর্থ আদায় করে আসছে।

দেওয়ান সমির কাওয়াই গ্রুপের নামের একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সিইও এবং সানজানা ইন্টারন্যাশনাল নামক একটি ম্যানপাওয়ার প্রতিষ্ঠানের ফার্মের মালিক মর্মে জানা যায়। এ ছাড়া ইতোপূর্বে মিরআই ইন্টারন্যাশনাল ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড নামক একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ছিল। বিভিন্ন আকর্ষণীয়, সুন্দরী মেয়েদেরকে তার প্রতিষ্ঠানে ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে নিয়োগ দিয়ে বিদেশি কূটনীতিক ও ধনাঢ্য ব্যবসায়ীদের কাছে সহজে যাতায়াত নিশ্চিত করতো।

দেওয়ান সমির তার ম্যানপাওয়ার ও অন্যান্য ব্যবসাকে অধিকতর লাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে দাঁড় করানোর লক্ষ্যে চক্রান্তের অংশ হিসেবে অসৎ উদ্দেশ্যে তার সহযোগী আসামিদের সহায়তায় ও অসৎ উদ্দেশ্যে বিভিন্ন কূটনীতিককে টার্গেট করে ব্ল্যাকমেইল করে বড় অঙ্কের টাকা চাঁদা হিসেবে দাবি করে আদায় করে থাকে।

উল্লেখ্য, গত ১০ এপ্রিল মেঘনা আলমকে আটক করে ডিবি। এরপর ওইদিন রাতে শুনানি শেষে ডিটেনশন আইনে ৩০ দিনের আটকাদেশ দিয়ে মডেল মেঘনাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। পরে ১৭ এপ্রিল ধানমন্ডি থানার প্রতারণার মামলায় মেঘনা গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এ ছাড়া মেঘনার সহযোগী দেওয়ান সমিরকে গ্রেপ্তার করে গত ১২ এপ্রিল ভাটারা থানার প্রতারণা মামলায় পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

এ ছাড়া গত ১৭ এপ্রিল রাজধানীর ধানমন্ডি থানার প্রতারণা ও চাঁদাবাজির অভিযোগে করা মামলায় তার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। পরে গত ২২ এপ্রিল এ মামলায় তার আরও ৪ দিনের রিমান্ড দেওয়া হয়েছে। রিমান্ড শেষে গত ২৭ এপ্রিল তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

লাখ লাখ প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত এ বিজয়

এক স্কুলের ৬৬ ছাত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা

প্রকাশ পেল ‘পালে লাগে নারে হাওয়া’

আরও বাড়ল স্বর্ণের দাম, নতুন মূল্য নির্ধারণ

তিন দফা দাবিতে জবির ভিসি ভবন ব্লকেড

নতুন ব্রাউজার নিয়ে আসছে গুগল

দেশীয় মাছের সংকট, বাজার দখল করছে সামুদ্রিক মাছ

আইরিশ হার্ড হিটার ব্যাটারকে দলে নিল চট্টগ্রাম

‘গার্লফ্রেন্ড’ নিয়োগের বিজ্ঞাপন, নেটদুনিয়ায় তোলপাড়

৩ দাবিতে সচিবালয়ে ডাকসু ভিপির নেতৃত্বে প্রতিনিধিদল

১০

অস্ট্রেলিয়ায় হামলার আগে মাকে যা বলেছিলেন হামলাকারী

১১

এনসিপির নেতা তামিমের বাবা নিখোঁজ

১২

হাদির ওপর হামলাকারীদের ভারতে পালানো নিয়ে যা বলছে বিজিবি

১৩

মহিষ চুরি করে পালানোর সময় গ্রেপ্তার ৩

১৪

সঙ্গীর বাবা-মায়ের মন জয় করবেন যেভাবে

১৫

সিঙ্গাপুরে হাদির চিকিৎসার খরচ দেবে সরকার : অর্থ উপদেষ্টা

১৬

বধূ বেশে সাদিয়া

১৭

চবিতে প্রশাসনিক ভবনে তালা

১৮

কুষ্টিয়ায় রেলপথ অবরোধ

১৯

বিজয় দিবসে যেসব সড়ক এড়িয়ে চলতে বলল ডিএমপি 

২০
X