

ঢালিউডের ইতিহাসে সবচেয়ে আলোচিত নামগুলোর একটি চিত্রনায়ক সালমান শাহ। মৃত্যুর প্রায় তিন দশক পরও তাকে ঘিরে রহস্যের আবরণ কাটেনি। এবার সেই রহস্যের অধ্যায় খুলছে নতুন করে। আত্মহত্যা নয়, সালমান শাহর মৃত্যু এখন হত্যা মামলার কাঠগড়ায়। আদালত দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন ১১ আসামির বিরুদ্ধে। আর এই তালিকায় রয়েছেন চিত্রনায়কের প্রাক্তন স্ত্রী সামিরা, আলোচিত প্রযোজক আজিজ মোহাম্মদ ভাই এবং খল-অভিনেতা আশরাফুল হক ডন। আর ঠিক সেই সময়ই গ্রেপ্তারের আভাসের মাঝেই আইয়ুব বাচ্চুর গান গেয়ে ভাইরাল হয়েছেন ডন। এ যেন পুরোনো রহস্যের ভেতর নতুন এক নাটকীয় পর্বের সূচনা।
সম্প্রতি আদালত এই মামলার ১১ আসামির দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন। তালিকায় রয়েছেন সালমান শাহর সাবেক স্ত্রী সামিরা, আলোচিত প্রযোজক আজিজ মোহাম্মদ ভাই এবং খল-অভিনেতা আশরাফুল হক ডন।
আর ঠিক এমন গ্রেপ্তারের গুঞ্জনের মাঝেই আইয়ুব বাচ্চুর জনপ্রিয় গান ‘এখন অনেক রাত’ গেয়ে ভাইরাল হয়েছেন ডন। প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যায়, ঘরোয়া পরিবেশে হাতে মাইক্রোফোন নিয়ে গান গাইছেন তিনি। মুহূর্তেই ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
তবে তার এই গান গাওয়ার ভিডিও এখন আত্মসমর্পণের ঘোষণার চেয়েও বেশি আলোচনার জন্ম দিয়েছে। কিছুদিন আগে গুঞ্জন উঠেছিল— দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছেন ডন। তবে সেই খবর উড়িয়ে দিয়ে ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি জানিয়েছেন, ‘পালানোর প্রশ্নই আসে না, প্রয়োজনে আমি আইনের কাছে আত্মসমর্পণ করব।’
প্রকাশিত ভিডিওতে বেশ স্বস্তিতেই দেখা গেছে এই খলনায়ককে। কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে গানটি কয়েক লাখ ভিউ ছাড়িয়ে যায়। নেটিজেনদের একজন লিখেছেন, ‘খলনায়ক হয়েও কণ্ঠে দারুণ মাধুর্য।’ আরেকজন লিখেছেন, ‘গানটা শুনে পুরোনো দিনের কথা মনে পড়ে গেল।’
তবে প্রশংসার পাশাপাশি এসেছে তীব্র সমালোচনাও। অনেকেই মন্তব্য করেছেন, ‘সালমান শাহের খুনি’ আখ্যা দিয়ে দ্রুত ডনকে গ্রেপ্তারের দাবি তুলেছেন। কেউ কেউ কটাক্ষ করে লিখেছেন, ‘গান গাইছেন ভালো, তবে এবার কারাগারে বসে গাওয়ার প্রস্তুতি নিন।’
উল্লেখ্য, ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ঢাকার ইস্কাটনে নিজ বাসায় রহস্যজনকভাবে মৃত্যুবরণ করেন সালমান শাহ। সে সময় বিষয়টি আত্মহত্যা হিসেবে তদন্ত করা হয়। তবে পরবর্তীতে সালমান শাহর মা নীলা চৌধুরী পিবিআইয়ের প্রতিবেদনে অসন্তোষ প্রকাশ করে হত্যার অভিযোগ তোলেন।
প্রায় ২৯ বছর পর আদালতের নির্দেশে সালমান শাহর মৃত্যুকে হত্যা মামলা হিসেবে পুনরায় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মামলার আসামিদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারির পর ইমিগ্রেশন পুলিশকেও সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে,পুরোনো এক রহস্যের ভেতর শুরু হয়েছে নতুন এক নাটকীয় অধ্যায়।
মন্তব্য করুন