আজকের ব্যস্ত জীবনযাত্রা, মানসিক চাপ আর অনিয়মিত খাওয়াদাওয়ার প্রভাবে অনেক পুরুষই প্রজনন সমস্যা বা শুক্রাণুর মান খারাপ হওয়ার সমস্যায় ভুগছেন। বাবা হতে চাইলেও অনেক সময় তা সহজ হয় না শুধু শরীরের ভেতরের কিছু জটিলতার কারণে। তবে সুখবর হলো এই সমস্যার অনেকটাই সমাধান লুকিয়ে আছে আপনার প্লেটের খাবারে।
সঠিক পুষ্টি আর স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন মেনে চললে পুরুষদের ফার্টিলিটি বা সন্তান জন্মদানে সক্ষমতা সহজেই উন্নত করা যায়। এই লেখায় জানবেন কিছু সহজ ডায়েট টিপস, যা আপনার শুক্রাণুর গুণগতমান ভালো রাখতে সাহায্য করবে।
এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুসারে ডায়েটিশিয়ান কানুপ্রিত অরোরা নারাং ইনস্টাগ্রামে কিছু সহজ টিপস দিয়েছেন, যা আপনার শুক্রাণু সুস্থ ও ভালো রাখতে সাহায্য করতে পারে। তবে তার আগে জেনে নিন কেন শুক্রাণুর মান খারাপ হয়।
পুরুষদের ফার্টিলিটি বিভিন্ন কারণে খারাপ হত্যা পারে। নিচে কিছু সাধারণ কারণ তুলে ধরা হলো যা আপনার শুক্রাণুর সংখ্যা আর প্রজনন শক্তি কমিয়ে দেয়:
- মদ খাওয়া, ধূমপান বা ড্রাগ নেয়া
- বেশি স্ট্রেসে থাকা বা অতিরিক্ত মোটা হয়ে যাওয়া
- ভিটামিন-মিনারেল কম থাকা খাবার খাওয়া
শুক্রাণু ভালো রাখার সহজ উপায়
ভালো খাওয়াদাওয়া আর স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন- এই দুটো মিলেই একজন পুরুষের ফার্টিলিটি ভালো থাকে। নিচে ৫টা সহজ টিপস দেয়া হলো যা আপনার খাওয়াদাওয়ার রুটিনে যোগ করলে প্রজনন স্বাস্থ্যে উপকার পাবেন।
জিংক খাওয়া বাড়ান : জিংক শুক্রাণুর মান ও টেস্টোস্টেরন বাড়াতে সাহায্য করে। এ জন্য আপনি মাছ, কাজু বাদাম, সূর্যমুখী বীজ খেতে পারেন।
ওমেগা ৩ খেতে ভুলবেন না : ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড শুক্রাণুর ক্ষতির পরিমাণ কমায়। এর ভালো উৎস আখরোট, মাছ, চিয়া সিড, হেম্প সিড।
রঙিন ফল ও সবজি খান : প্লেটে যত বেশি রঙের সবজি-ফল থাকবে, তত বেশি পুষ্টি পাবেন। এসব মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট স্পার্মের মান ভালো করে।
প্রোটিন খাওয়া জরুরি : প্রোটিন কোষ গঠনের জন্য দরকারি। ডাল, মুরগি, মাছ, ডিম খেতে পারেন। চাইলে নিরামিষ প্রোটিনও খেতে পারেন।
স্ট্রেস কমান : মানসিক চাপ বেশি থাকলে হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়। এতে শুক্রাণু কমে যায়। তাই মানসিক চাপ কমানোর চেষ্টা করুন, আর এমন কিছু খাবার খান যা মুড ভালো রাখে। যেমন- ডার্ক চকোলেট।
শুক্রাণুর মান ভালো রাখা আসলে কঠিন নয়। শুধু আপনার খাওয়াদাওয়া ও জীবনযাপনে দরকার কিছু ছোট কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন। জিঙ্ক, ওমেগা ৩, প্রোটিনসহ প্রয়োজনীয় পুষ্টি গ্রহণ করলে এবং মানসিক চাপ কমিয়ে জীবনকে একটু গুছিয়ে নিলে আপনি নিজেই দেখতে পাবেন ইতিবাচক পরিবর্তন। যারা বাবা হতে চান কিংবা নিজের প্রজনন স্বাস্থ্য ভালো রাখতে চান, তাদের জন্য এই সহজ টিপসগুলো হতে পারে একটি বড় সহায়তা। মনে রাখুন, নিজের শরীরের যত্ন নেওয়া মানে ভবিষ্যতের যত্ন নেওয়া এবং সেটা শুরু হয় আজ থেকেই।
মন্তব্য করুন