শরীর সুস্থ রাখতে প্রতিদিনের খাবারে পর্যাপ্ত আঁশ বা ফাইবার থাকা খুবই জরুরি। কোষ্ঠকাঠিন্য, ওজন বেড়ে যাওয়া, রক্তচাপ, ডায়াবেটিস বা হজমের গণ্ডগোল— এসব সমস্যার পেছনে একটা বড় কারণ হতে পারে আঁশের ঘাটতি।
অনেকেই জানেন যে আঁশ দরকারি, কিন্তু ঠিক কতটা খাওয়া উচিত বা কোন খাবারে কতটুকু আঁশ আছে— সে ধারণা নেই।
আরও পড়ুন : হার্ট ব্লকের ঝুঁকিতে যারা
আরও পড়ুন : ভাত-ভর্তা প্রিয় বাঙালিদের জন্য ১১ পদের রেসিপি
চলুন সহজভাবে জেনে নিই, কতটা আঁশ দরকার, কোন খাবারে আঁশ বেশি থাকে, আর আপনার শরীর কি যথেষ্ট আঁশ পাচ্ছে কি না, সেটা কীভাবে বুঝবেন।
পুষ্টিবিদদের মতে, একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের প্রতিদিন ২৫-৩০ গ্রাম আঁশ খাওয়া উচিত।
তবে বয়স, লিঙ্গ এবং কত ক্যালোরি খাচ্ছেন— এসব বিষয়েও এই চাহিদা একটু-আধটু ভিন্ন হতে পারে। অতিরিক্ত আঁশ খেলেও হঠাৎ করে পেটে গ্যাস, ব্যথা বা হজমে সমস্যা হতে পারে। তাই ভারসাম্য রেখে খাওয়া জরুরি।
- নিয়মিত কোষ্ঠকাঠিন্য
- হজমে সমস্যা বা পেটে গ্যাস
- সবসময় খিদে খিদে লাগে
- ওজন সহজে বাড়ে
- চামড়া অনুজ্জ্বল লাগে
- ব্লাড সুগার ওঠানামা করে
- লম্বা সময় পেট পরিষ্কার না হওয়া
ফল ও সবজি
সব ধরনের ফল ও সবজিই ফাইবারের ভালো উৎস। তবে পুরো ফল খাওয়া জুসের চেয়ে অনেক বেশি উপকারী। খোসাসহ খাওয়া ফল ও গোটা সবজি খেলে আঁশের পরিমাণ বেশি থাকে।
শস্য জাতীয় খাবার
- লাল চাল বা ঢেঁকিছাঁটা চাল
- গমের আটা, বিশেষ করে পূর্ণ শস্য (whole grain)
- ওটস, যব (বার্লি)
ময়দা বা সাদা চালের বদলে এসব স্বাস্থ্যকর শস্য বেছে নিন।
বাদাম
আঁশের ভালো উৎস হলেও বাদামে ফ্যাটও থাকে। তাই দিনে এক মুঠো বা ৩০ গ্রাম বাদামই যথেষ্ট। অতিরিক্ত লবণ দেওয়া বাদাম না খাওয়াই ভালো।
ডাল ও ছোলা
সব ধরনের ডাল (মসুর, মুগ, খেসারি) ও ছোলা, মটর, বিন জাতীয় খাবারে প্রচুর আঁশ থাকে। এগুলো নিয়মিত খেলে হজম যেমন ভালো হয়, তেমনই রক্তে শর্করাও নিয়ন্ত্রণে থাকে।
শুধু পেট পরিষ্কার রাখার জন্য নয়— শরীরের সার্বিক সুস্থতার জন্য আঁশ খুব দরকার। প্রতিদিনের খাবারে যদি একটু সচেতন হয়ে ফল, সবজি, শস্য আর ডাল জাতীয় খাবার রাখেন— তাহলেই আপনি থাকবেন ফিট, হালকা আর রোগমুক্ত।
সূত্র : ইটিং ওয়েল
আরও পড়ুন : তরুণদের স্থূলতা কি বিপদের ইঙ্গিত
মন্তব্য করুন