চায়ের আড্ডা হোক কিংবা সকালের নাশতা—বড়দের মতো শিশুদের কাছেও বিস্কুট সমান জনপ্রিয়। নানা স্বাদের এই খাবারটি মুখে দিলেই মচমচে লাগে। তবে কখনো কি খেয়াল করেছেন, বেশিভাগ বিস্কুটের গায়ে থাকে ছোট ছোট ছিদ্র? বিশেষ করে ক্রিম বিস্কুট কিংবা ডিবাবন্দ বিস্কুটে?
অনেকেই ভাবেন, এগুলো কেবল নকশা বা সাজসজ্জার জন্য করা হয়। কিন্তু আসল সত্যটা একেবারেই ভিন্ন। খাদ্যপ্রযুক্তিবিদদের ভাষায়, বিস্কুটের এই ছিদ্রগুলোকে বলা হয় ‘ডোকার হোলস’।
বেকিং প্রক্রিয়ায় বিস্কুট যখন চুলার ভেতরে উচ্চ তাপে ফুলতে শুরু করে, তখন ভেতরে গরম ভাপ তৈরি হয়। এই ভাপ বেরোনোর রাস্তা না পেলে বিস্কুট ভেঙে যেতে পারে বা ফেটে দাগ পড়ে যেতে পারে। সেই ঝুঁকি এড়াতেই বিস্কুটে ছিদ্র করা হয়।
প্রতিটি ছিদ্রের আকার আর অবস্থানও কিন্তু হেলাফেলা করে ঠিক করা হয় না। বিশেষ যন্ত্র ব্যবহার করে নির্দিষ্টভাবে ছিদ্র করা হয়, যাতে ভাপ বেরিয়ে যেতে পারে আর ভেতরের তাপমাত্রা সঠিক থাকে।
আরও মজার ব্যাপার হলো, কোনো বিস্কুটের আটা নরম আর কোনোটা শক্ত; তা-ও ঠিক করে দেয় ছিদ্রের ধরন। নরম আটার বিস্কুটে ছিদ্র হয় ছাঁচ ব্যবহার করে, আর শক্ত আটার বিস্কুটে ব্যবহার করা হয় বিশেষ রোলার, যাকে বলা হয় ‘ডোকারিং রোলার’।
অর্থাৎ, বিস্কুটের গায়ে থাকা সেই ছোট ছোট ছিদ্র শুধু শোভা বাড়ানোর জন্য নয়, বরং নিখুঁত বেকিংয়ের জন্য অপরিহার্য। তাই পরেরবার বিস্কুট হাতে নিয়ে ছিদ্রগুলো দেখলে বুঝবেন, এরা আসলে আপনার প্রিয় বিস্কুটটিকে ভেঙে যাওয়া থেকে বাঁচাচ্ছে।
সূত্র : জিও নিউজ উর্দু
মন্তব্য করুন