চুল পড়া, খুশকি কিংবা অকালপক্বতার মতো সমস্যা আজকাল অনেকের সঙ্গেই জড়িয়ে গেছে। যত দামি শ্যাম্পু বা কন্ডিশনারই ব্যবহার করুন না কেন, প্রকৃতির সহজ সমাধানের তুলনা হয় না। ধরুন চিয়া সিডের কথাই; ছোট্ট এই বীজ শুধু খাবার নয়, ত্বক ও চুলের যত্নেও হয়ে উঠতে পারে কার্যকরী সঙ্গী। পুষ্টিগুণে ভরপুর চিয়ার তেল এখন কেশচর্চায় আলোচিত উপাদান। কেশ বিশেষজ্ঞদের মতে, শুধু খাওয়া নয়; চিয়া সিডের তেল সরাসরি মাথায় মাখলেও মিলতে পারে দারুণ উপকার।
চুলের জন্য চিয়া কেন উপকারী?
১. ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডে ভরপুর
চিয়া বীজে রয়েছে প্রচুর ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। এটি যেমন হৃদ্যন্ত্রের জন্য ভালো, তেমনি মাথার ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতেও কার্যকর। চিয়ার তেল মাখলে মাথার ত্বকে রক্ত চলাচল বাড়ে, ফলে চুল হয় আরও স্বাস্থ্যকর।
২. চুলের গোড়া শক্ত করে
চিয়ায় প্রোটিনের পরিমাণ অনেক বেশি। প্রোটিন চুলের গোড়া মজবুত করতে অপরিহার্য। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত, নিষ্প্রাণ চুলও চিয়ার তেলের যত্নে ফিরে পায় স্বাভাবিক ঝলমলে ভাব।
৩. অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর
চিয়ায় রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা শরীরের ফ্রি র্যাডিক্যাল থেকে চুলকে সুরক্ষা দেয়। ফলে অকালপক্বতা বা চুলের অকাল ধূসর হয়ে যাওয়ার প্রবণতা অনেকাংশে কমে।
৪. খুশকি ও সংক্রমণ দূর করে
চিয়ার তেল মাথার ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখে। এতে খুশকি কমে, সংক্রমণজনিত অস্বস্তি দূর হয় এবং চুল পড়াও নিয়ন্ত্রণে আসে।
কীভাবে তৈরি করবেন চিয়ার তেল?
চিয়া সিড থেকে তেল নিষ্কাশন করা সহজ কাজ নয়। সাধারণত ঘানিতে বিশেষ প্রক্রিয়ায় এ তেল বের করা হয়, যা ঘরে তৈরি করা কঠিন। তবে বিকল্প হিসেবে নারকেল তেল বা অলিভ অয়েলে চিয়া সিড ফুটিয়ে নেওয়া যেতে পারে। এরপর স্বাভাবিক তাপমাত্রায় ঠান্ডা হলে বা হালকা গরম থাকা অবস্থায় সেই তেল মাথায় মাখুন। ৫-১০ মিনিট হালকা হাতে মাসাজ করে আধ ঘণ্টা রেখে দিন। তারপর শ্যাম্পু করে ফেললে চুল পাবে পুষ্টি ও সজীবতা।
সূত্র : এই সময় অনলাইন
মন্তব্য করুন