পুলিশের অনুমতি না মিললেও একদফা আন্দোলন নিয়ে মহাসমাবেশের পর রাজধানীর প্রবেশমুখগুলোতে অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা দেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তবে বিএনপি নেতাদের কয়েকজন গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন চারটি স্থানে অবস্থান কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্তে তারা কোনো পরিবর্তন আনেননি। সেগুলো হলো গাবতলী, উত্তরা, নয়াবাজার ও শনির আখড়া।
জানা যায়, এ চার এলাকায় কর্মসূচি সফল করতে রাতভর প্রস্তুতি চলেছে।
উত্তরায় দলীয় নেতা আব্দুল মঈন খান, গাবতলীতে নজরুল ইসলাম খান, নয়াবাজারে গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, দনিয়ায় মীর্জা আব্বাস বিএনপির কর্মসূচির নেতৃত্ব দেবেন বলে দল থেকে জানানো হয়েছে।
একটি জাতীয় দৈনিকের বরাতে জানা যায়, বিএনপি ছাড়াও মিরপুর মাজার রোডে অবস্থান কর্মসূচি পালন করবে গণতন্ত্র মঞ্চ।
চট্টগ্রাম রোড দনিয়া কলেজ পার হয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করবে ১২ দলীয় জোট।
মতিঝিলের নটরডেম কলেজের উল্টো দিকে গণফোরাম চত্বরে অবস্থান কর্মসূচি পালন করবে গণফোরাম ও পিপলস পার্টি।
চট্টগ্রাম রোডের সাইনবোর্ড পার হওয়ার আগে অবস্থান কর্মসূচি পালন করবে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট।
আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু না জানালেও শুক্রবারের মহাসমাবেশে ঢাকার বাইরে থেকে যারা এসেছিলেন তাদের দলের পক্ষ থেকে ঢাকা না ছাড়ার ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস এর আগেই বলেছেন, বিএনপি এখন থেকে আর কোনো কর্মসূচির জন্য পুলিশের অনুমতি চাইবে না।
এর আগে ১২ই জুলাই নয়াপল্টনে এক সমাবেশ ‘সরকারের পদত্যাগের একদফা দাবি ঘোষণা করে সমমনা দল ও জোটকে সঙ্গে নিয়ে যুগপৎ আন্দোলনের ঘোষণা দেয় বিএনপি।
এদিকে পুলিশের অনুমতি না থাকলেও ঢাকায় বিভিন্ন স্থানে সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন যুবলীগ নেতারা। বিএনপির এসব কর্মসূচির বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, ‘রাস্তা বন্ধ করতে আসবেন না। রাস্তা বন্ধ করলে আমরাও আপনাদের চলার রাস্তা বন্ধ করে দেব’।
ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ শনিবার জানান, ডিএমপির বিধিনিষেধের কারণে বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান নেওয়ার বদলে আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে দলীয় কার্যালয়গুলোতে শান্তিপূর্ণ সতর্ক অবস্থান করছেন দলের নেতাকর্মীরা। বিএনপি যাতে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে না পারে, সে জন্য আমরা মাঠে আছি। ঝামেলার চেষ্টা করলে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। কোনো অশান্তি করতে দেওয়া হবে না।
এসব কারণে আজ বিএনপির কর্মসূচিকে ঘিরে সরকার দলীয় কর্মী ও নেতারা আজ ঢাকায় সক্রিয় থাকবেন বলেই মনে করা হচ্ছে।
মন্তব্য করুন