রবিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩ পৌষ ১৪৩২
কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৩:৩০ পিএম
আপডেট : ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৪:০৫ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

৩২ নাম্বারে পানির নিচে কী পাওয়া গেল?

ছবি : সংগৃহীত
ছবি : সংগৃহীত

রাজধানীর ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে একটি নির্মাণাধীন বাড়ির বেজমেন্টে সকাল থেকে পানি সেচ করার কাজ করছিল ফায়ার সার্ভিস। কয়েক দিন ধরে এই বাড়ির বেজমেন্টের জায়গা নিয়ে চলছিল নানা আলোচনা।

তবে আজ রোববার (০৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে সেচের কাজ শেষ করে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন দুপুর সোয়া ১টার দিকে।

ঘটনাস্থল ঘুরে দেখা যায়, বিল্ডিংয়ের বেজমেন্টে উৎসুক মানুষের ভিড়। নানা বয়সের নারী-পুরুষ সেখানে আসছেন এবং ঘুরে দেখে চলে যাচ্ছেন। তাদের কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করা হলে বলেন, এখানে কী জানি পাওয়া গেছে, তাই দেখতে এসেছি।

এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, এখানে ‘আয়নাঘর’ আছে। এখানে পানির নিচে অনেক ঘর আছে, মানুষের ব্যবহার করা জিনিসপত্র পাওয়া গেছে বলে শুনেছি, তবে এখনো দেখিনি।

ওই বিল্ডিংয়ের যে জায়গাটি ঘিরে এত আলোচনা সেখানে নেমে পানি সেচের কাজ করছিলেন একজন তরুণ শ্রমিক। তিনি পানির নিচে হাতিয়ে দেখেছেন বেশ কিছুক্ষণ। তবে কিছু না পেয়ে পরে উঠে যান।

যাওয়ার সময় তাকে জিজ্ঞেস করলে বলেন, নিচে কিছু নাই, এটা লিফটের জন্য জায়গা করা বলে মনে হচ্ছে।

গত ৫ ফেব্রুয়ারি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনলাইনে বক্তব্য দেওয়াকে কেন্দ্র করে প্রতিবাদস্বরূপ ৩২ নম্বরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি গুঁড়িয়ে দেয় বিক্ষুব্ধ ‘ছাত্র-জনতা’। বাড়ির পাশেই নির্মাণাধীন ভবনে উপস্থিত হয় বিক্ষুব্ধরা।

সেই ভবনের কয়েকতলা বেজমেন্ট দেখতে পায় তারা। তার মধ্যে দুই তলা পর্যন্ত নামতে পারলেও পরবর্তী ফ্লোরে পানি দেখা যায়। অনুমান করা হয়, নিচে আরও কয়েকটি তলা রয়েছে।

তবে দুপুরে এই পুরো বেজমেন্টে সরেজমিনে দেখা যায়, বেজমেন্টের প্রথম তলা শুকনো থাকলেও দ্বিতীয় তলায় পানি জমে আছে। এ পানির ভেতর অনেককেই কোনো কিছু খুঁজতে দেখা যায়। আবার কাউকে কাউকে বেরিয়ে থাকা রড কেটে নিয়ে যেতেও দেখা গেছে।

ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা পানি সেচের কাজ শেষ করেন দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে। জানতে চাইলে তারা কথা বলতে রাজি হননি। তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন কর্মী জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত তেমন কিছু পাওয়া যায়নি।

সেচের কাজ শেষ করে দুপুর ১টা থেকে ফায়ার সার্ভিসের মোহাম্মদপুর স্টেশনের তিনটি ইউনিট এক এক করে ধানমন্ডি ৩২ নম্বর ত্যাগ করে।

এর আগে সকালে মোহাম্মদপুর ফায়ার স্টেশনের স্টেশন অফিসার মিজানুর রহমান জানিয়েছিলেন, নিচে যে পানি জমা আছে সে পানিটাই শুধু আমরা সরিয়ে দিচ্ছি ,অন্য কিছু এখানে আমরা দেখতে পাচ্ছি না।

এই পানিটা এখানে এলো কীভাবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বেজমেন্ট ওয়ান এবং বেজমেন্ট টুতে পানিটা মূলত বৃষ্টির পানিও হতে পারে। সে পানিটাই আমরা সরিয়ে দিচ্ছি। এখানে আড়াই লাখ লিটার পানি আছে ধারণা করছি আমরা।

কতদিন আগের পানি হতে পারে এমন প্রশ্ন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভবনটা নতুন খুব বেশি দিন আগের পানি হবে না। পানিটা দেখে খুব বেশিদিন আগেরও মনে হচ্ছে না।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

শাহবাগে উপস্থিত হয়ে যে আশ্বাস দিলেন ডিএমপি কমিশনার

জামায়াতের সঙ্গে সমঝোতা নিয়ে যা বললেন আখতার

অন্তর্বর্তী সরকার থাকাকালীনই হাদি হত্যার বিচার সম্পন্ন হবে : রিজওয়ানা হাসান

গণঅধিকার পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুন

ঐক্য পরিষদের গোলটেবিল সংলাপ / সংখ্যালঘুদের অধিকার নির্বাচনী ইশতেহারে অঙ্গীকার হিসেবে ঘোষণার দাবি

বগুড়ার পাশাপাশি ঢাকাতেও প্রার্থী হবেন তারেক রহমান

সর্বাত্মক অবরোধের ডাক দিল ইনকিলাব মঞ্চ

তারেক রহমানকে কটূক্তির অভিযোগে গ্রেপ্তার শহিদুলের নিঃশর্ত মুক্তি চাইল বিএনপি

তাইওয়ানে ৭ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প

স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ, রোববার থেকে কার্যকর

১০

বিএনপির পক্ষে কাজ করার ঘোষণা গণঅধিকার পরিষদের এমপি প্রার্থীর

১১

পদত্যাগপত্র জমা দিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল আসাদুজ্জামান

১২

যে দিনটিকে অবিস্মরণীয় বললেন তারেক রহমান

১৩

জাকির মৃত্যুতে স্তব্ধ ক্রিকেটাঙ্গন

১৪

রানার হ্যাটট্রিকও থামাতে পারল না সিলেটকে, শেষ বলে রুদ্ধশ্বাস জয়

১৫

এক উপজেলা বিএনপির সব কমিটির কার্যক্রম স্থগিত

১৬

ত্রিশাল প্রেস ক্লাবের সভাপতি মুজিব, সম্পাদক নোমান

১৭

শ্বশুরবাড়িতে ‘প্রাণিপ্রেমী তারেক রহমান’

১৮

দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ

১৯

চেরকির ঝলকে নটিংহ্যাম ফরেস্টকে হারিয়ে শীর্ষে ম্যান সিটি

২০
X