স্থায়ীভাবে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের টিএসসি সংলগ্ন গেট বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এক জরুরি মিটিংয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এবং দক্ষিণ সিটি করপোরেশন যৌথভাবে এ সিদ্ধান্তে একমত পোষণ করেন।
বুধবার (১৪ মে) স্থানীয় সরকার এবং যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এ তথ্য জানিয়েছেন।
ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড আইডিতে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেন, সাম্য হত্যাকাণ্ডে ঢাবি প্রশাসন ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মধ্যে সভা অনুষ্ঠিত হয় এবং কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সিদ্ধান্তগুলো হলো— ১. রাজু ভাস্কর্যের পেছনের গেটটি স্থায়ীভাবে বন্ধ করা হবে।
২. সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অবৈধ দোকান উচ্ছেদ, মাদক ব্যবসা বন্ধ এবং পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিতে গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, সিটি করপোরেশন, ডিএমপি ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সমন্বয়ে যৌথ অভিযান পরিচালিত হবে।
৩. নিয়মিত মনিটরিং ও অভিযানের জন্য সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করবে গণপূর্ত মন্ত্রণালয়।
৪. উদ্যানে পর্যাপ্ত আলো ও সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন এবং সেগুলোর নিয়মিত মনিটরিং করা হবে।
৫. সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে একটি ডেডিকেটেড পুলিশ বক্স স্থাপন করা হবে।
৬. উদ্যানে রমনা পার্কের মতো সুশৃঙ্খল ব্যবস্থাপনা চালু করা হবে।
৭. রাত ৮টার পর উদ্যানে জনসাধারণের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করা হবে।
অবিলম্বে এসব সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা হবে বলেও জানান স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা।
তিনি লেখেন, ‘সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে এক আতঙ্কের স্থান থেকে ধীরে ধীরে একটি নিরাপদ ও স্বস্তিদায়ক স্থানে রূপান্তরের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ প্রক্রিয়ায় সরকার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা প্রত্যাশা করে। ইতোমধ্যে সাম্য হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনাটি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করে দোষীদের বিচারের আওতায় আনা হবে।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার (১৩ মে) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদল নেতা ও ঢাবির শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইআর) ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আলম সাম্য দুর্বৃত্তদের হাতে নিহত হন। তিনি স্যার এ এফ রহমান হল ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক ছিলেন। রাত ১২টার দিকে রক্তাক্ত অবস্থায় সাম্যকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মন্তব্য করুন