সাম্প্রতিক কিছু সংবাদে নিজের নাম উঠে আসায় বিরক্তি ও বিব্রত বোধ করছেন মেক্সিকোতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল আনসারী।
মঙ্গলবার (২৭ মে) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে তিনি তার অবস্থান স্পষ্ট করেন।
ফেসবুক পোস্টে রাষ্ট্রদূত আনসারী লেখেন, ‘আমার কাজের প্রতি ভালোবাসা ও অকুণ্ঠ সমর্থনে আমার বন্ধু ও শুভানুধ্যায়ীদের নিকট বিনীত ও প্রীত। আবার আমাকে উপলক্ষ করে সাম্প্রতিক কিছু খবরে আমি কিছুটা বিব্রত ও বিরক্ত।’
তিনি আরও বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা, নোবেল বিজয়ী প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের আহ্বানে সাড়া দিয়ে আমি যে দায়িত্বে নিয়োজিত, তাতে আমি একাগ্র। আমি নতুন কোনো পদ-পদবির তালাশে নেই। আমার ওপর অর্পিত সরকারি দায়িত্ব পালনে আমি সচেষ্ট; একই সঙ্গে আইনের শাসন, মানবাধিকার, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও ভোটাধিকার সমুন্নত রাখার ক্ষেত্রে অঙ্গীকারাবদ্ধ।’
রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল আনসারী বর্তমানে মেক্সিকোসহ মধ্য আমেরিকার বেশ কয়েকটি দেশের দায়িত্ব পালন করছেন। কূটনীতিক হিসেবে তার ভূমিকা বিশেষ করে মানবাধিকার ও আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচারের প্রশ্নে তার সক্রিয়তা আলোচিত।
ঢাকায় দীর্ঘ সময় দায়িত্ব পালন করে যাওয়া বাংলাদেশের বন্ধু মার্কিন কূটনীতিক জন ড্যানিলোভিচও সম্প্রতি এক্স হ্যান্ডেলের এক বার্তায় বলেন, পররাষ্ট্র সচিব হিসেবে অ্যাম্বাসেডর সিয়ামের নিয়োগের সঙ্গে সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের একজন নতুন রাষ্ট্রদূত নিয়োগ জরুরি। আর এর একটি সুন্দর সমাধান হতে পারে মেক্সিকোতে দায়িত্বরত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল আনসারীকে ওয়াশিংটনে স্থানান্তর করা। ওয়াশিংটন তথা যুক্তরাষ্ট্রে তিনি সুপরিচিত এবং সম্মানিত ব্যক্তি। এরপর থেকেই মূলত আলোচনা আরও জোরালো হয়।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও নেটিজেনরা ওয়াশিংটনে পরবর্তী রাষ্ট্রদূত হিসেবে তাকে নিয়োগের অনুরোধ করছেন ইউনূস সরকারের প্রতি।
মন্তব্য করুন