দ্বিতীয় দিনের মতো জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর) শাটডাউন কর্মসূচি চলছে। শনিবার (২৮ জুন) থেকে সারা দেশে এনবিআরসহ দেশের সব শুল্ক-কর কার্যালয়ে দিনভর পূর্ণাঙ্গ শাটডাউন কর্মসূচি পালন করেন আন্দোলনকারীরা। এরই ধারাবাহিকতায় রোববার (২৯ জুন) সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ আগারগাঁওয়ের রাজস্ব ভবনের সামনে আন্দোলনকারীদের উপস্থিতি বাড়তে থাকে। তবে গতকালের তুলনায় আজ প্রধান ফটকে প্রবেশেও শিথিলতা দেখা গেছে।
পরিচয়পত্র দেখিয়ে কর্মকর্তারা ভবনে প্রবেশ করতে পারছেন। এ ছাড়া বিকেল ৪টায় অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের বৈঠকের কথা রয়েছে। এতে অংশগ্রহণের জন্য সংগঠনটির ২০ সদস্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
এদিকে র্যাব, পুলিশ, কোস্টগার্ড, বিজিবি ও আনসার সদস্যরা গতকালের মতো আজ অবস্থান নিলেও তাদের সংখ্যা কম। গতকাল কেউ ভেতরে প্রবেশ না করলেও আজ প্রধান ফটকের ভেতরের বটতলায় কর্মকর্তাদের অবস্থান নিতে দেখা গেছে।
এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘সকাল ১০টা পর্যন্ত কর্মকর্তাদের প্রবেশের সুযোগ দিতে বলা হয়েছে। তাদের অফিস সময় সকাল ৯টায়। এখনো কেউ কেউ আসছেন। পরিচয়পত্র দেখে প্রবেশ করতে দিচ্ছি।
এনবিআরের কর্মকর্তারা বলছেন, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঢাকা ও দেশের বিভিন্ন প্রান্তের কর্মকর্তারা আন্দোলনে যোগ দেবেন। গতকালও বিভিন্ন শুল্ক-কর কার্যালয় থেকে মার্চ টু এনবিআর কর্মসূচি পালিত হয়েছে। ফলে চট্টগ্রাম বন্দর, বেনাপোল বন্দর, ঢাকা কাস্টম হাউসসহ দেশের সব কাস্টম হাউস ও শুল্ক স্টেশনে কাজ হয়নি। ফলে এসব স্টেশন থেকে শুল্ক-কর আদায় কার্যত বন্ধ হয়ে যায়।
এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ গতকাল দুপুরে ঘোষণা দিয়েছে, আজও ‘শাটডাউন’ ও ‘মার্চ টু এনবিআর’ কর্মসূচি চলবে। আন্দোলনকারী ব্যক্তিরা সরকারের সঙ্গে আলোচনায় আগ্রহী। তাদের শর্ত হলো, আলোচনার আগে এনবিআর চেয়ারম্যানকে অপসারণ করতে হবে। অভিযোগ, বর্তমান এনবিআর চেয়ারম্যান রাজস্ব খাতের চলমান সংস্কারে এনবিআর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপেক্ষা করছেন। উল্টো আন্দোলনকারীদের দমন-নিপীড়ন করা হচ্ছে।
মন্তব্য করুন