গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর মারাত্মকভাবে আহত হয়েছেন। তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। গতকাল রাতে গণঅধিকারের নেতাকর্মীদের ওপর হামলার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। হামলার সময় লাল রঙের টি-শার্ট পরা এক যুবক গণঅধিকারের নেতাকর্মীদের নির্দয়ভাবে আঘাত করেন। তবে, নুরুল হক নুরকে লাল টি-শার্ট পরা ওই ব্যক্তি মারধর করেনি বলে জানিয়েছে তথ্য যাচাইকারী প্রতিষ্ঠান রিউমর স্ক্যানার।
শনিবার (৩০ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে রিউমর স্ক্যানার জানায়, লাল/খয়েরি শার্ট পরিহিত এক ব্যক্তি সিঁড়িতে বসে থাকা এক ব্যক্তিকে পেটাচ্ছিলেন- এমন একটি ভিডিওকে অনেকে নুরুল হক নুরকে সিভিল ড্রেসে কারও বেধড়ক পেটানোর ভিডিও বলে প্রচার করেছে। তবে বিভিন্ন লাইভ ও ভিডিও পর্যবেক্ষণ করে উক্ত ভিডিওতে মারধরের শিকার ব্যক্তি নুরুল হক নুর নন বলে নিশ্চিত হওয়া যায়।
রিউমর স্ক্যানার জানায়, নুরুল হক নুরের ওপর সেনাবাহিনী ও পুলিশের ব্যাপক লাঠিচার্জের ফলে নুরের রাস্তায় লুটিয়ে পড়া এবং তাকে হাসপাতালে নেওয়ার মুহূর্ত অব্দি বিভিন্ন লাইভ ও ভিডিও পর্যবেক্ষণ করে এটি নিশ্চিত হওয়া যায়। যৌথবাহিনী নুরুল হক নুরের ওপর আক্রমণ করলে নুর সিঁড়ির নিচে রাস্তার মধ্যে লুটিয়ে পড়েন এবং তারপরই কিছু নেতাকর্মী তাকে ঘিরে ধরে এবং তারা তাকে হাসপাতালে নেওয়ার প্রচেষ্টা শুরু করে। তারপর তাকে রিক্সায় তোলা হয়, হাসপাতালে নেওয়া হয়।
তথ্য যাচাইকারী প্রতিষ্ঠানটি বলছে, লাঠিচার্জের শুরু থেকে নুরের লুটিয়ে পারা অব্দি- এই পুরো সময়টার কোনো মুহূর্তে নুরুল হক নুর সিঁড়িতে বসতে পারেননি। তাই ওই ব্যক্তি নুরুল হক নুর নন। ওই ব্যক্তিকে মারধরের আরও স্পষ্ট ভিডিও পরবর্তীতে খুঁজে পাওয়া যায়, যেখানে ওই ব্যক্তির চেহারা দেখে তিনি নুরুল হক নুর নন বলে অধিকতর নিশ্চিত হওয়া যায়। ওই ব্যক্তি গণধিকার পরিষদের নেতা আখতারুজ্জামান সম্রাট বলে জানা গেছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, লাল শার্ট পরিহিত ওই ব্যক্তি কে- সেটি নিয়েও জানার চেষ্টা করা হয়েছে। এক ভিডিওতে ওই ব্যক্তির ওপর সেনাবাহিনী সদস্যদের রাগ হতে দেখা যায়। ওই ব্যক্তির ওভাবে মারধরের কারণে এবং তাকে চিনতে না পারায় তাকে জেরা করে ওরকম রাগ প্রকাশ করে থাকতে পারেন। এ সময় ওই ব্যক্তি নিজেকে পুলিশ দাবি করেন। এ ছাড়াও অন্য একটি ভিডিওতে ওই ব্যক্তিকে পুলিশের সঙ্গে দেখা গেছে এবং একটা সময় তাকে পুলিশের হেলমেট পরিহিত অবস্থাও দেখা গেছে। ফলে ওই ব্যক্তি পুলিশ সদস্যই হতে পারে। তবে বিষয়টি অধিকতর নিশ্চিত হয়ে পরবর্তীতে কনফার্ম করা হবে।
মন্তব্য করুন