

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদি রাজধানীর বিজয়নগরে গতকাল গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) রাজধানীর বিজয়নগরের বক্স কালভার্ট এলাকায় তাকে লক্ষ্য করে গুলি করা হয়। বর্তমানে তিনি এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) ফ্যাক্টচেকিং প্রতিষ্ঠান রিউমর স্ক্যানার এক প্রতিবেদনে জানায়, হাদির এই ঘটনার প্রেক্ষিতে ফেসবুকে ‘দশেরলাঠি – Dosherlathi’ নামের একটি পেজ থেকে চারটি ভিন্ন গণমাধ্যমের আদলে তৈরি আলাদা ফটোকার্ডের মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে যে, হাদির ওপর হামলার সঙ্গে শিবির জড়িত।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘কালবেলার আদলে তৈরি একটি ফটোকার্ডে দাবি করা হয়েছে, ওসমান হাদির উপরে হামলায় জামায়াত শিবির জড়িত। বাংলাদেশ টাইমসের আদলে তৈরি একটি ফটোকার্ডে দাবি করা হয়েছে, ওসমান হাদির উপরে গুলি জামায়াত ‘শিশির’ করতে পারে জানিয়েছে ডিএমপি। দ্যা ঢাকা ডায়েরির আদলে তৈরি একটি ফটোকার্ডে দাবি করা হয়েছে, ওসমান হাদির ওপর হামলার হুকুমদাতা ডাকসুর ভিপি সাদিক কায়েম। তারেক রহমানের দেশে আসা ঠেকাতে ওসমান হাদির উপরে গুলির নির্দেশ দিয়েছেন। এ ছাড়া আরটিভির আদলে তৈরি একটি ফটোকার্ডে দাবি করা হয়েছে, ওসমান হাদির উপর গুলি বর্ষণ কারি জামায়াত- শিবিরের রাজনীতির সাথে জড়িত : ডিএমপি কমিশনার। একই দাবিতে সমাবেশে বক্তব্য দিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী।
রিউমর স্ক্যানার জানায়, এই চারটি ফটোকার্ডে এই প্রতিবেদন প্রকাশ পর্যন্ত সম্মিলিতভাবে রিয়েক্ট পড়েছে ৬৬ হাজারের বেশি। ১৩ হাজারের বেশি বার পোস্টগুলো শেয়ার করা হয়েছে।
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা গেছে, হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় কালবেলা, বাংলাদেশ টাইমস, দ্যা ঢাকা ডায়েরি ও আরটিভি কোনো ফটোকার্ড প্রকাশ করেনি। বাস্তবে, গণমাধ্যমগুলোর ফটোকার্ড ডিজাইন প্রযুক্তি ব্যবহার করে নকল ফটোকার্ড তৈরি করা হয়েছিল, যার মধ্যে আলোচিত দাবি সংবলিত তথ্য দেখানো হয়েছে। রিউমর স্ক্যানার পৃথকভাবে এই ফটোকার্ডগুলো যাচাই করেছে।
রিউমর স্ক্যানার তাদের প্রতিবেদনের শেষে জানিয়েছে, চারটি ভিন্ন গণমাধ্যমের নামে ভুয়া ফটোকার্ডগুলো বানিয়ে অপপ্রচার চালানো হয়েছে। ‘দশেরলাঠি – Dosherlathi’ নামের ফেসবুক পেজটি ২০২৩ সালের ২০ এপ্রিল এই নামেই চালু হয়। এরপর আর নাম পরিবর্তন হয়নি। সুতরাং, ওসমান হাদিকে নিয়ে ‘দশেরলাঠি – Dosherlathi’ নামের ফেসবুক পেজ থেকে শিবিরকে জড়িয়ে প্রচারিত ফটোকার্ডগুলো ভুয়া ও বানোয়াট।
মন্তব্য করুন