কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৪:৫৯ পিএম
আপডেট : ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৫:২০ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

বিদ্যুতের দাম কত বাড়বে জানালেন প্রতিমন্ত্রী

প্রতীকী ছবি।
প্রতীকী ছবি।

গ্রাহক পর্যায়ে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম ৩৪ থেকে ৭০ পয়সা বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। তিনি বলেন, মার্চ থেকেই নতুন দর কার্যকর হবে।

মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী।

তিনি বলেন, উৎপাদন খরচের চেয়ে কম দামে বিদ্যুৎ বিক্রি করা হয়। ঘাটতি মেটাতে দাম সমন্বয় করা হচ্ছে। আগামী তিন বছর ধাপে ধাপে দাম সমন্বয় করা হবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের লাইফলাইন গ্রাহক (০ থেকে ৫০ ইউনিট ব্যবহারকারী গ্রাহক) আছে ১ কোটি ৪০ লাখ। তাদের বিদ্যুতের দাম ৪ টাকা, আর উপরের দিকে এই দাম ৭ টাকা। কিন্তু উৎপাদন খরচ ১২ টাকা। এতে সরকারকে একটা বড় অংশ এই খাতে ভর্তুকি দিতে হচ্ছে। এই ভর্তুকির আরও বাড়ছে কারণ ডলারের দাম বাড়ছে। এই পার্থক্যটা হঠাৎ বড় রকমের লাফ দিয়েছে গত বছর থেকে। আমরা এখন থেকে অ্যাডজাস্টমেন্টে যাচ্ছি। যা আগামী তিন বছরে মধ্যে সমন্বয় করতে হবে। তবে এটি যাতে সহনীয় পর্যায়ে হয়, সে বিষয়টি আমরা দেখছি।

যে দাম বাড়ছে, তা খুব বেশি নয় উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা এখন খুবই অল্প পরিমাণ দাম বাড়িয়েছি। প্রতি ইউনিটে গড়ে ৩৪ পয়সা মূল্য বাড়িয়েছি। এটি পরিমাণে খুবই অল্প।

বিদ্যুতের দাম মূলত উৎপাদনে ব্যবহৃত জ্বালানির দামের ওপর নির্ভর করে উল্লেখ করে তিনি বলেন, কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র করার সময় মার্কিন ডলারের দাম ৭০ থেকে ৮০ টাকা ধরে হিসাব করা হয়েছিল। এখন ডলারের দাম ৪০ টাকা বেড়ে গেছে। তাই বিদ্যুৎ উৎপাদন খরচ অনেক বেড়েছে। জ্বালানি খরচের ওপর ভিত্তি করে সারা বিশ্বেই দাম সমন্বয় করা হয়।

বিদ্যুতে ভর্তুকির বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এই বছর আমাদের বিদ্যুতের ক্ষেত্রে ভর্তুকি দিতে হবে প্রায় ৪৩ হাজার কোটি টাকা, আর জ্বালানির ক্ষেত্রে ৬ হাজার কোটি টাকা। এগুলো আমরা কয়েক বছরে ধীরে ধীরে অ্যাডজাস্টমেন্টে যাব। আমরা এরইমধ্যে কুইক রেন্টাল থেকে বেরিয়ে এসেছি, ডিজেল থেকে বেরিয়ে এসেছি। এখন আমাদের বড় বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো (কয়লাভিত্তিক) চলে এসেছে। আগামী বছর থেকে নিউক্লিয়ার বিদ্যুৎকেন্দ্র চলে আসবে (চালু হবে)। ভারত থেকে আমরা কম রেটে বিদ্যুৎ পাচ্ছি। আগামী দুই বছরের মধ্যে ২ হাজার মেগাওয়াট সোলার থেকে বিদ্যুৎ পাব আমরা। তারপরও যে ভর্তুকিটা রয়ে যাবে, তা ডলার রেটের কারণে। এ কারণে আমাদের প্রাইস অ্যাডজাস্টমেন্ট করতে হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বাংলাদেশে ‘রিপাবলিক বাংলা’ টিভির সম্প্রচার বন্ধ চেয়ে রিট

দুদকের মামলায় খালাস স্ত্রীসহ সাবেক উপমন্ত্রী

জাপানের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে জামায়াত আমিরের বৈঠক

ইরানে হামলা / ‘৪০ হাজারেরও বেশি মার্কিন সেনা ঝুঁকিতে পড়তে পারে’

বেরোবির শিক্ষক গ্রেপ্তার, ওসি বদলি 

উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে বাজেট অনুমোদন

ইরানে যুক্তরাষ্ট্রের হামলা : কে কী বলছেন

চোট থেকে ফেরার পথে বাংলাদেশের পেস ত্রয়ী

তিন বিভাগে ভারি বৃষ্টির পূর্বাভাস

সাবেক সিইসি ও কমিশনারদের বিরুদ্ধে বিএনপির মামলা

১০

লরির পেছনে ডাম্প ট্রাকের ধাক্কা, চালক-সহকারী নিহত

১১

সচিবালয়ে আজও বিক্ষোভ

১২

কন্যাসন্তানের মা হলেন অভিনেত্রী স্বাগতা

১৩

র‍্যাগিং দণ্ডনীয় অপরাধ, যা গ্রহণযোগ্য নয় : জবি প্রক্টর 

১৪

শেষ ম্যাচে এমবাপ্পেকে পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী রিয়াল

১৫

ময়মনসিংহে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৪

১৬

ইরানে আঘাত করে বেইমানি করলেন ট্রাম্প!

১৭

দক্ষিণ আমেরিকার ফুটবলে মুগ্ধ পেপ গার্দিওলা

১৮

বাংলাদেশে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের প্রত্যাশা জাপানের

১৯

ছাত্রলীগ থেকে ছাত্রদল নেতা, ‘মুজিবীয়’ শুভেচ্ছা জানানোর পর যা ঘটল

২০
X