কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০২ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৩৬ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

‘মূল হোতাদের শাস্তি না দিলে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটবে’

মানবাধিকার সুরক্ষায় গণমাধ্যমকর্মীদের ভূমিকা বিষয়ক মতবিনিময় সভায় উপস্থিত অতিথিরা। ছবি : কালবেলা
মানবাধিকার সুরক্ষায় গণমাধ্যমকর্মীদের ভূমিকা বিষয়ক মতবিনিময় সভায় উপস্থিত অতিথিরা। ছবি : কালবেলা

৮০০ রেস্টুরেন্ট কর্মীকে গ্রেপ্তার করে লাভ নেই। মূল হোতাদের গ্রেপ্তার করে শাস্তি না দিলে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটবে। তাদেরকে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ মানবাধিকার সুরক্ষায় গণমাধ্যমকর্মীদের ভূমিকা বিষয়ক মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের আয়োজনে মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) হোটেল সোনারগাঁওয়ে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, গণমাধ্যম ও মানবাধিকার সংস্থা একে অপরের পরিপূরক। ২০২৩ সালে গণমাধ্যমের ১২২টি ঘটনার তথ্য স্বপ্রণোদিত হয়ে আমরা নিয়েছি। গাজায় ১৩৭ সংবাদকর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। আমাদের দেশেও অনেক সংবাদকর্মীকে হত্যা, নির্যাতন করা হয়েছে। যা মানবাধিকার লঙ্ঘন। সমাজ ও রাষ্ট্রকে জাগ্রত করতে হলে গণমাধ্যম ও মানবাধিকার সংস্থাকে একসাথে কাজ করতে হবে।

অন্যানের মধ্যে স্বাগত বক্তব্য দেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সচিব সেবাষ্টিন রেমা, সম্মানিত অতিথির বক্তব্য দেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবক্খনিক সদস্য মো. সেলিম রেজা, ইউএনডিপি, বাংলাদেশ এর সহকারী আবাসিক প্রতিনিধি আনোয়ারুল হক, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত।

জাতীয় মানবাধিকার কমিশন বিষয়ক উপস্থাপনা করেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের পরিচালক প্র/অ কাজী আরফান আশিক।

মানবাধিকার সুরক্ষায় গণমাধ্যমের ভূমিকা মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পরিপ্রেক্ষিতের নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ বোরহান কবীর। তিনি বলেন, মানবাধিকার বিষয়ে জনসচেতনতা এবং জাগরণ সৃষ্টির জন্য এটি যথেষ্ট নয়। এজন্য মানবাধিকার সাংবাদিকতাকে আরো গুরুত্ব দিতে হবে।

তিনি মানবাধিকার সাংবাদিকতার জন্য প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা, এ সম্পর্কিত আইন, নীতি, আইনি সুরক্ষা এবং তথ্য সংগ্রহ ও প্রতিবেদন তৈরি করতে গিয়ে যেন সাংবাদিক হয়রানির শিকার না হন, তা নিশ্চিত করার প্রতি জোর দেন।

পাশাপাশি জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের উদ্যোগে একটি তথ্য ভান্ডার তৈরির দাবি জানান।

শ্যামল দত্ত বলেন, আমাদের দেশে উগ্র মৌলবাদীর জায়গা বেশি। মানবাধিকারের চর্চা নেই। মিডিয়া কিভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে তা তুলে ধরা দরকার।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বিমানে ‘বোমা থাকার’ ফোনে থামল কাঠমান্ডুগামী ফ্লাইট 

মেট্রোরেলের পিলারে গ্রাফিতি উপদেষ্টা আসিফের আইডিয়ায়

কেনিয়ায় ‘বাংলাদেশ বসতিতে’ নতুন সড়ক নির্মাণ

সন্ত্রাসী সন্ত্রাসীই, সে যে দলেরই হোক না কেন : আশফাক নিপুন

ইউটিউব লাইভ স্ট্রিমে অপ্রাপ্তবয়স্কদের জন্য কঠোর আইন

দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী স্বরূপ শিক্ষক হতে চায়

সাগরিকার হ্যাটট্রিক, শ্রীলঙ্কাকে ৯ গোলে উড়িয়ে দিল বাংলাদেশ

কৃষি কর্মকর্তা নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের চেষ্টা, আটক ৩ 

শ্রমিকরা খেতে পেলেই কলকারখানায় উৎপাদন বাড়বে : শ্রম সচিব

সজল ও নাদিয়ার ‘বর্ষা বিহনে’

১০

কোটি কোটি লোক আছে জাহির করে এনসিপিকে ভয় দেখাবেন না : নাহিদ

১১

নগদ প্রণোদনা মিলবে ৪৩ পণ্য রপ্তানিতে

১২

ধর্ষণ মামলায় জনপ্রিয় গায়কের কারাদণ্ড

১৩

বিদ্যুৎ বিলের কোটি টাকা নিয়ে উধাও কর্মকর্তা, অতঃপর...

১৪

নালায় পড়ে শিশুর মৃত্যু, পরিবারকে দুষল তদন্ত কমিটি

১৫

বিশ্বরেকর্ড, এক ব্যাগ বিক্রি হলো সাড়ে ১২১ কোটি টাকায়

১৬

শুল্ক আলোচনায় বেশ কিছু বিষয়ে একমত বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র

১৭

পাকিস্তানে অপহরণের পর ৯ বাসযাত্রীকে গুলি করে হত্যা

১৮

সন্তান কোলে নিয়ে পরীক্ষা দিয়েও দেশসেরা শামীমা 

১৯

ডেঙ্গু আক্রান্ত আরও ১৩৮ জন হাসপাতালে ভর্তি

২০
X