শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, পাঠ্যবইয়ে অতীতে যে ইতিহাস বিকৃতির মহোৎসব চলেছে, তা থেকে আমরা বের হয়ে এসেছি। বিকৃত ইতিহাসের সেই অধ্যায় শেষ। পাঠ্যবইয়ে এখন আমরা সত্য ইতিহাস তুলে ধরব। তরুণ প্রজন্মকে সত্য ইতিহাস জেনে সামনে এগোতে হবে। নতুন পথ রচনা করতে হবে।
বুধবার (১৬ আগস্ট) রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অঙ্গীভূত ‘বঙ্গবন্ধু মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশ গবেষণা ইনস্টিটিউট’ এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
বিএনপি-জামায়াত রাজনীতির শিষ্টাচার বোঝে না উল্লেখ করে সভায় শিক্ষামন্ত্রী বলেন, তারা অন্ততপক্ষে ২১ বার আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করেছে। ৭৬ কেজি বোমা, ৪৮ কেজি বোমা, গ্রেনেড হামলা, সরাসরি গুলি কিছুই বাদ দেওয়া হয়নি। আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে- কোনটা রাজনীতি আর কোনটা অপরাজনীতি। এসব থেকে শিক্ষা নিয়ে আগামী দিনে পথ চলতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, যারা আমাদের মানবাধিকারের কথা বলে ১৯৭১ সালে তারা তো মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীদের পক্ষে ছিল। পঁচাত্তরে তারা তো সরাসরি যুক্ত ছিল মানবাধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে। ২০০৪ সালের ২১ আগস্টে ১৯৭৫ সালের অসমাপ্ত কাজ শেষ করার জন্য সেই ঘাতকরা শেখ হাসিনাকে শুধু হত্যা করা নয়, সমগ্র আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দকে হত্যার জন্য গ্রেনেড হামলা করেছিল। সেদিন আইভি রহমানসহ ২২ জন নিহত হন। তাদের মানবাধিকার ছিল না?
আলোচনা সভায় আলোচক ছিলেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশিদ ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার। এতে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মশিউর রহমান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বঙ্গবন্ধু মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউটের বিশিষ্ট অধ্যাপক ড. মো. মাহবুবর রহমান।
মন্তব্য করুন