জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের খালাসের রায়ের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বামপন্থি কয়েকটি ছাত্রসংগঠন।
মঙ্গলবার (২৭ মে) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিন থেকে একটি মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক, শাহবাগ মোড় ঘুরে রাজু ভাস্কর্যে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয়।
এসময় তারা স্লোগান দেন, ‘হাসিনা আর আজহার বাংলাদেশে গাদ্দার’, ‘একাত্তরের হাতিয়ার গর্জে উঠো আরেকবার’, ‘রাজাকারের আস্তানা ভেঙে দাও, গুঁড়িয়ে দাও’, ‘হেরে গেছে হাসিনা একাত্তর হারেনি’।
সমাবেশে বিপ্লবী ছাত্রমৈত্রীর কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক জাবির আহমেদ জুবেল বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে ন্যক্কারজনক একটি ঘটনা ঘটেছে। আমরা অভ্যুত্থান পরবর্তী আকাঙ্ক্ষা করেছিলাম, স্বাধীন বিচার বিভাগ প্রতিষ্ঠা হবে। কিন্তু আমরা দেখতে পেলাম স্বাধীন বিচার বিভাগের আকাঙ্ক্ষায় শেষ পেরেক ঠুকে দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
ছাত্রমৈত্রীর এই নেতা আরও বলেন, যে ব্যক্তি ৩টি অপরাধে ফাঁসির অপরাধে দণ্ডিত, তাকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে। অথচ আমরা সবাই জানি, উত্তরাঞ্চলের সবাই জানে, ইসলামী ছাত্রসঙ্ঘের রংপুর জেলার সভাপতি হিসেবে আলবদর কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করেন আজহার। সেই আলবদর চব্বিশের পরে দেখলাম তার হাতে একাত্তরের কোনো কাঁদা নাই, গণহত্যার চিহ্ন নাই। তিনি একজন ফেরেস্তা হিসেবে ইন্টেরিম রায় দিল। কীসের ভিত্তিতে দিল, আমরা নিশ্চিত না। ছাত্র ইউনিয়নের নেতা শিমুল কুম্ভকার বলেন, ১০ মাস পর দেখতে পেলাম গণহত্যার অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত একজন রাজাকার-আলবদরের কমান্ডার আজহারুলকে সরকার বেকসুর খালাস করেছে। তিনি নাকি মুক্তিযুদ্ধের সময় আলবদর বাহিনীর কমান্ডার হয়ে বাংলাদেশের পক্ষে কাজ করেছেন, আজকে ৫৪ বছর পরে আমাদের এ গল্প শোনানো হচ্ছে। আমরা ইন্টেরিমকে ধিক্কার জানাই।
মন্তব্য করুন