কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৭ মে ২০২৫, ০৯:১৯ পিএম
আপডেট : ২৭ মে ২০২৫, ০৯:৫৯ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

এটিএম আজহারের মুক্তির প্রতিবাদে বামপন্থি ছাত্রসংগঠনের বিক্ষোভ

রাজু ভাস্কর্যে সমাবেশে বামপন্থি ছাত্র সংগঠনের নেতারা। ছবি : সংগৃহীত
রাজু ভাস্কর্যে সমাবেশে বামপন্থি ছাত্র সংগঠনের নেতারা। ছবি : সংগৃহীত

জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের খালাসের রায়ের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বামপন্থি কয়েকটি ছাত্রসংগঠন।

মঙ্গলবার (২৭ মে) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিন থেকে একটি মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক, শাহবাগ মোড় ঘুরে রাজু ভাস্কর্যে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয়।

এসময় তারা স্লোগান দেন, ‘হাসিনা আর আজহার বাংলাদেশে গাদ্দার’, ‘একাত্তরের হাতিয়ার গর্জে উঠো আরেকবার’, ‘রাজাকারের আস্তানা ভেঙে দাও, গুঁড়িয়ে দাও’, ‘হেরে গেছে হাসিনা একাত্তর হারেনি’।

সমাবেশে বিপ্লবী ছাত্রমৈত্রীর কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক জাবির আহমেদ জুবেল বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে ন্যক্কারজনক একটি ঘটনা ঘটেছে। আমরা অভ্যুত্থান পরবর্তী আকাঙ্ক্ষা করেছিলাম, স্বাধীন বিচার বিভাগ প্রতিষ্ঠা হবে। কিন্তু আমরা দেখতে পেলাম স্বাধীন বিচার বিভাগের আকাঙ্ক্ষায় শেষ পেরেক ঠুকে দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।

ছাত্রমৈত্রীর এই নেতা আরও বলেন, যে ব্যক্তি ৩টি অপরাধে ফাঁসির অপরাধে দণ্ডিত, তাকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে। অথচ আমরা সবাই জানি, উত্তরাঞ্চলের সবাই জানে, ইসলামী ছাত্রসঙ্ঘের রংপুর জেলার সভাপতি হিসেবে আলবদর কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করেন আজহার। সেই আলবদর চব্বিশের পরে দেখলাম তার হাতে একাত্তরের কোনো কাঁদা নাই, গণহত্যার চিহ্ন নাই। তিনি একজন ফেরেস্তা হিসেবে ইন্টেরিম রায় দিল। কীসের ভিত্তিতে দিল, আমরা নিশ্চিত না। ছাত্র ইউনিয়নের নেতা শিমুল কুম্ভকার বলেন, ১০ মাস পর দেখতে পেলাম গণহত্যার অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত একজন রাজাকার-আলবদরের কমান্ডার আজহারুলকে সরকার বেকসুর খালাস করেছে। তিনি নাকি মুক্তিযুদ্ধের সময় আলবদর বাহিনীর কমান্ডার হয়ে বাংলাদেশের পক্ষে কাজ করেছেন, আজকে ৫৪ বছর পরে আমাদের এ গল্প শোনানো হচ্ছে। আমরা ইন্টেরিমকে ধিক্কার জানাই।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

খাট-বেগুন দিতে চায় ইসি, শাপলায় অনড় এনসিপি

৮৯ শতাংশ শিক্ষক-কর্মচারীর বাড়ি ভাড়া বাড়বে : শিক্ষা মন্ত্রণালয়

টি-টেন লিগে ৩ বাংলাদেশি ক্রিকেটার সতীর্থ হিসেবে যাদের পাবেন

আরেকটি এক-এগারো ছাড়া বাংলাদেশে আ.লীগের ফেরার সুযোগ নেই : রাশেদ

আগুনের ঘটনা পূর্বপরিকল্পিত ও গভীর ষড়যন্ত্র : এনসিপি নেতা

খোলা মাঠে বিমানের জরুরি অবতরণ

মাহির রোষানলে রাকিব

ইসির রিমোট কন্ট্রোল আগারগাঁওয়ে নেই : হাসনাত

দুপুরে না খেলে যা হয়

ল্যাপটপ অতিরিক্ত গরম হয়ে গেলে শরীরের যেসব ক্ষতি হয়

১০

সহজ ৩ টিপসে আইফোনের চার্জ থাকবে দীর্ঘসময়

১১

সন্ধ্যার মধ্যে যেসব জেলায় ঝড়বৃষ্টির আভাস

১২

ট্রেনে কাটা পড়ে দ্বিখণ্ডিত যুবকের দেহ

১৩

রেকর্ড গড়ে গোল্ডেন বুট জিতলেন মেসি

১৪

প্রজ্ঞাপন প্রত্যাখ্যান, কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের

১৫

নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সাংবাদিকদের ভূমিকা অপরিহার্য : কবি আবদুল হাই

১৬

দরকষাকষি করে ঘুষ গ্রহণের ভিডিও ভাইরাল

১৭

এনসিপিকে শাপলা প্রতীক দেওয়া সম্ভব নয় : ইসি আনোয়ারুল

১৮

৭ ধরনের মানুষের জন্য ওরস্যালাইন হতে পারে বিপদ

১৯

হাইপারস্পেকট্রাল স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করল পাকিস্তান 

২০
X