মুসলিম জনতার ধর্মীয় অনুভূতি রক্ষায় প্রশাসনের ব্যর্থতা উদ্বেগজনক বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মজলিসে তাহাফফুজে খতমে নবুওয়ত বাংলাদেশ।
শনিবার (০৬ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে দলটির মহাসচিব মাওলানা মুহিউদ্দীন রাব্বানী এ কথা বলেন। এ সময় তিনি রাজবাড়ীর ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং তীব্র নিন্দা জানান।
মাওলানা মুহিউদ্দীন রাব্বানী বলেন, ইসলামের মৌলিক আকিদা খতমে নবুওয়ত মুসলমানের ঈমানের অবিচ্ছেদ্য অংশ। কেউ যদি নিজেকে ইমাম মাহদী বা নবুওয়তের দাবিদার হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চায়, তবে তা সরাসরি শরিয়ত ও আকিদার পরিপন্থি। আশির দশক থেকে নুরাল পাগল এ ধরনের ভ্রান্ত দাবি চালিয়ে আসছিলেন, যা সাধারণ মুসলমানদের হৃদয়ে তীব্র ক্ষোভ সৃষ্টি করেছে এবং বিভিন্ন সময় সামাজিক অস্থিরতার জন্ম দিয়েছে।
তিনি বলেন, ধর্মীয় অনুভূতি আহত হওয়ার কারণে জনরোষ সৃষ্টি হলেও আইন হাতে তুলে নেওয়া ইসলাম সমর্থন করে না। দাঙ্গা-হাঙ্গামা, ভাঙচুর কিংবা সহিংসতা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এ ঘটনায় শতাধিক মানুষ আহত হওয়া এবং পুলিশের ওপর হামলার ঘটনাও অত্যন্ত দুঃখজনক। পাশাপাশি মৃতদেহ পোড়ানো একটি নিন্দনীয় ও অগ্রহণযোগ্য কাজ। ইসলাম মানুষকে মর্যাদা দেয়, আর মৃতদেহ পোড়ানো সেই মর্যাদার পরিপন্থি। প্রশাসনের অদূরদর্শিতা ও ব্যর্থতার কারণেই এ ধরনের জঘন্য পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে দলের পক্ষ থেকে কয়েক দফা দাবি জানানো হয়েছে। এগুলো হলো, ঘটনাগুলো সুস্থ ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে দায়ীদের আইনের আওতায় আনা, ভ্রান্ত দাবিদার, দরবার সংস্কৃতি ও কবরপূজা-সংক্রান্ত অনৈসলামিক কর্মকাণ্ড কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা, মরদেহ পোড়ানোর মতো নিন্দনীয় কার্যক্রম প্রতিরোধে প্রশাসনকে আরও সচেতন ও কার্যকর পদক্ষে নেওয়া এবং ভবিষ্যতে যাতে কোনো অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি না হয় সে বিষয়ে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা।
মন্তব্য করুন