পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় মৎস্যবন্দর আলীপুরে কাজে দেরিতে আসায় তিন জেলেকে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় হেলাল হাওলাদার নামের একজন মারা গেছেন।
শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) কুয়াকাটা ২০ শয্যা হাসপাতাল থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল নেওয়ার সময় মারা যান তিনি।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাতে মারধরের ঘটনা ঘটে। নিহত জেলে হেলাল হাওলাদার পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার তুষখালী গ্রামের বাসিন্দা। মারধরের শিকার অপর আহতরা হলেন- একই গ্রামের সাদ্দাম আকন (১৮) ও আসাদুল হাওলাদার (২০)।
অভিযোগ রয়েছে, মারধরের পর গুরুতর অসুস্থ হেলালকে হাসপাতালে না এনে শুক্রবার সকালে নিয়ে আসা হয়েছে। ততক্ষণে তার অবস্থার চরম অবনতি ঘটে। সবশেষ কুয়াকাটা ২০ শয্যা হাসপাতাল থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল নিয়ে যাবার পথে আলীপুরেই তার মৃত্যু হয় বলে হেলালের স্বজনরা জানান।
পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে আলীপুর বাজারে একটি মাছের গদিতে তিন জেলেকে মারধর করা হয়। এরপর তাদের সাগরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে হেলালের শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে ট্রলার নিয়ে আলীপুরে ফিরে আসে তারা। সারা রাত খাপড়াভাঙ্গা নদীতে অবস্থান করার পর শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে হেলালকে কুয়াকাটা ২০ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে।
পুলিশ আরও জানায়, হাসপাতালের চিকিৎসকরা তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। তবে বরিশালে নেওয়ার পথে আলীপুর মহাসড়কেই তার মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ট্রলার মালিক মন্টু ফরাজী (৪৮), সহযোগী সোহাগ হাওলাদার (৩০) ও মেশারেফকে প্রাথমিকভাবে চিহ্নিত করলেও তাদের আটক করতে পারেনি।
কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. মাহমুদুল হাসান অপু বলেন, হেলাল নামে একজনকে মৃত অবস্থায় কলাপাড়া হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। তার শরীরে মারধরের চিহ্ন দেখা গেছে।
মহিপুর থানার ওসি মো. মাহমুদ হাসান বলেন, আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। মরদেহের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।
মন্তব্য করুন