বিএনপি সবসময় আইনের শাসনে বিশ্বাসী বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন আহমেদ অসীম। তিনি বলেন, আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সম্প্রতি বিবিসি বাংলাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারটি তারই প্রমাণ করে।
শুক্রবার (১০ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন আহমেদ অসীমের উদ্যোগে ধানমন্ডি বেল টাওয়ারের সামনে এলইডির মাধ্যমে তারেক রহমানের ভিডিও সাক্ষাতকারটি পুনঃপ্রদর্শন করা হয়। এ সময় ব্যারিস্টার মেহনাজ মান্নান, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা রফিকুল ইসলাম রফিক, নিউমার্কেট, ধানমন্ডি, হাজারীবাগ, কলাবাগান, ৫৫ নাম্বার ওয়ার্ড বিএনপি ও অংগ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের বক্তব্য প্রদর্শনের সময় উৎসুক জনতার উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা যায়।
তারেক রহমানের সাক্ষাতকার প্রসঙ্গে ব্যারিস্টার অসীম সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বলেন, তিনি বলেছিলেন যে এই নির্যাতন শুধু উনার না। উনি এই নির্যাতনটা শেয়ার করেছেন তুলনা করেছেন। সমগ্র বাংলাদেশের ৫৬ হাজার বর্গ মাইলের মধ্যে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের প্রতিটি নেতাকর্মী প্রতিটি ঘরে ঘরে গুম-খুন অত্যাচার, নির্যাতন, মামলা-হামলার শিকার হয়েছেন। সে সমস্ত নেতাকর্মীদের সঙ্গে তার দুঃখ তুলনা করেছেন। তিনি বলেন নাই যে, উনি একমাত্র নির্যাতিত। তিনি বলেন নাই যে, উনার দুঃখ-দুর্দশা সবচেয়ে বেশি। তিনি বলেছেন উনার দলের প্রতিটা নেতাকর্মী উনার মতই নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এটাই হলো নেতার নেতৃত্ব। এটাই হলো নেতা। আপনাদের আঘাত আপনাদের ক্ষত আপনাদের যে লস হয়েছে, ক্ষতি হয়েছে সেটা কোনো অংশে কম না। তিনি তার নিজের সঙ্গে সেটা মিলিয়েছেন। এটাই হচ্ছে উনার মধ্যে যে মমত্ববোধ ও সবচেয়ে বড় আন্ডারস্ট্যান্ডিং। তিনি যেটা উপলব্ধি করেছেন সেই কথা মন থেকে বলেছেন। উনি অনেকগুলো কথা বলেছেন প্রতিহিংসার কথা বলেন নাই।
ব্যারিস্টার অসীম বলেন, তিনি বিচারের কথা বলেছেন। কারণ আইনের শাসনে বিশ্বাস করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল। রাষ্ট্র সংস্কারের ৩১ দফায় স্বাধীন বিচার বিভাগের কথা আছে। স্বধীন বিচার বিভাগের অস্তিত্ব যদি থাকে তাহলে যারা দুষ্কর্ম অপকর্ম করেছে তাদের বিচার হতে হবে। কিন্তু উনি বলেন নাই যে প্রতিশোধ নেব। প্রচলিত আইনে তাদের বিচার হবে, যারা এই দেশকে ধ্বংস করতে চেয়েছিল। যারা এই দেশকে লুট করেছিল।
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, তিনি বিদেশ নীতি সম্পর্কে বলেছেন যে বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে তিনি থাকবেন। বাংলাদেশের জনগণ যে সিদ্ধান্ত নেবেন নেতার মতো তিনি যথার্থ বলেছেন। আমি বাংলাদেশের নাগরিকদের সঙ্গে থাকব। সবার আগে বাংলাদেশ এই কথাটাই তিনি বলেছিলেন। ঠিক এটাই হলো নেতার নেতৃত্বের গুণাবলী। আজকে আমরা সেজন্য এটার আবার আয়োজন করেছি যে আপনারা তার সাক্ষাতাকারটি আবারও শুনতে পারেন।
মন্তব্য করুন