কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ৩০ জানুয়ারি ২০২৪, ০৫:৫৭ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

যাদের লজ্জা-শরম নাই তারাই সংসদে বসবে : গয়েশ্বর

জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। ছবি : কালবেলা
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। ছবি : কালবেলা

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, দেশের জনগণ এই সরকারের বিরুদ্ধে লাল পতাকা ও কালো পতাকা প্রদর্শন করছে। তারা কিন্তু এই সরকারের পক্ষে কিছু বলছে না। সুতরাং লাজ-লজ্জা- ভয় এই তিন নয় তারাই সংসদে বসতে পারে।

মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

দ্রব্যমূল্যের সীমাহীন ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে এবং বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ কারাবন্দি পেশাজীবী ও বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের মুক্তি, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, ডামি সংসদ বাতিল এবং এক দফা দাবিতে এই মানববন্ধনের আয়োজন করে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ (বিএসপিপি)।

বিএসপিপির আহ্বায়ক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেনের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব কাদের গণি চৌধুরীর সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য দেন বিএফইউজের সভাপতি রুহুল আমিন গাজী, প্রকৌশলীদের সংগঠন এ্যাবের সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম রিজু, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের সংগঠন ইউট্যাবের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ড. এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম, শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া, ডিইউজের সভাপতি মো. শহীদুল ইসলাম, সাংবাদিক আমিরুল ইসলাম কাগজী, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শামসুল আলম সেলিম, সাংস্কৃতিক জোটের রফিকুল ইসলাম, নার্সেস এসোসিয়েশনের জাহানারা সিদ্দিকা প্রমুখ। মানববন্ধনে পেশাজীবী নেতাদের মধ্যে অংশগ্রহণ করেন ডা. রফিকুল কবির লাবু, ডা. রফিকুল ইসলাম বাচ্চু, প্রকৌশলী কে এম আসাদুজ্জামান চুন্নু, ডা. জাহেদুল কবির জাহিদ, অধ্যক্ষ সেলিম মিয়া, সাঈদ খান, তরিকুল ইসলাম তারিক প্রমুখ।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার শুধু একা নয়, কিছু দেশ, প্রজাতন্ত্রের কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারী মিলিয়ে একটা সিন্ডিকেট দেশের ১৮ কোটি মানুষের ক্ষমতা হরণ করেছে। এই সরকারকে বলা যায় কর্তৃত্ববাদী। এই সরকারের ভাষা কখনো জনগণের জন্য হয় না। তাদের মায়া-মমতা থাকে না। তাদের লক্ষ্য থাকে দেশের অর্থনীতি লুটপাট করা। তাদের সঙ্গে পার্টনার থাকে পুলিশ প্রশাসন। আজকে সরকার তার প্রশাসনের লোকজনেরও দুর্নীতিবাজ বানিয়েছে। তারা কেউ দুর্নীতি না করলে চাকরি যায়।

তিনি বলেন, আজকে উন্নয়নের অপর নাম দুর্নীতি। তারা উন্নয়ন না করে বিদেশে টাকা পাচার করে। দেশে কোনো কর্মসংস্থান নেই। বেকারত্ব বাড়ছে। এভাবে বেকারত্ব বাড়লে তরুণদের ক্ষুধাও কিন্তু বাড়ে। এই সরকারকে সরাতে আমাদের লড়াই চলছে এবং চলবে। হয়তো কৌশল ভিন্ন হয়। বিএনপি গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন করে যাচ্ছে এবং করবে। আমরা তো ১৭৩ দিন হরতাল এবং বাসে গানপাউডার দিয়ে মানুষ হত্যা, লগি-বৈঠা দিয়ে মানুষকে হত্যা করে নাচ-গান করার রেকর্ড করতে পারিনি। এই ঐতিহ্য তো তাদের মানায় যাদের ডান হাত আর বাম হাত একই।

গয়েশ্বর বলেন, আজকে দেশে দ্রব্যমূল্যের কী অবস্থা? জিনিস পত্রের দাম বেড়েছে। কিন্তু সরকারের চায় কেবলমাত্র ক্ষমতা। টাকা পাচার বেড়েছে। তাহলে এসবের জবাব দিবে কে?

তিনি বলেন, গত ৭ জানুয়ারি দেশের ৭ শতাংশ লোক সরকারকে না কি ভোট দিয়েছে। তাহলে দেশের ৯৩ শতাংশ মানুষ তাদের বিরুদ্ধে। তাদের চান না। তাছাড়া ওই ৭ শতাংশ লোক হলো সরকারের সুবিধাভোগী। যাদের কার্ড দিয়ে আবার তার জব্দ রেখেছে।

তিনি বলেন, আজকে টাকা এবং ক্ষমতার লোভে মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসকে জামিন দেননি। তারা না কি প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা করেছেন। তাহলে একই ঘটনার মামলায় মেজর শাহজাহান ওমর জামিন পেয়ে নৌকার এমপি হলেন কীভাবে? তাহলে তো বোঝা যায়, এটা সাজানো ও পরিকল্পিত ঘটনা।এই সরকার জনগণের সরকার নয়। এরা ভারত, চীন ও রাশিয়ার সরকার। চীন ও রাশিয়ায় তো নির্বাচন হয় না।

সভাপতির বক্তব্যে ডা. জাহিদ হোসেন বলেন, দেশের কোনো পেশার মানুষ আজ নিরাপদ নয়। এখানে কেউ ফ্যাসিস্ট সরকারের প্রতিবাদ করতে পারে না। কারও জীবনের কোনো নিরাপত্তা নেই। অনেক নেতাকর্মী ও পেশাজীবী নেতাদের গ্রেপ্তার করে কারাগারে নির্যাতন করা হয়েছে।

তিনি বলেন, আজকে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের জীবন অতীষ্ঠ। ৫৫ টাকার চিনি কিনতে হচ্ছে দেড়শো টাকার বেশি দামে। তেল, ডাল, চাল সবকিছুর দাম আকাশছোঁয়া। দেশের বর্তমান শাসন- অতীতের ইয়াহিয়া এবং আইয়ুব খানের আমলকেও ছাড়িয়ে গেছে।

ডা. জাহিদ বলেন, এধরনের অচলাবস্থা থেকে মুক্তি পেতে হলে আমাদের রাজপথেই এ সরকারের পদত্যাগ এবং ডামি সংসদ বাতিলের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে। তবেই আমাদের ভোটাধিকার ও হারানো গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং জনগণের বিজয় হবে ইনশাআল্লাহ।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নওফেলের বাড়িতে ভাঙচুর-আগুন

ধানমন্ডিতে ছায়ানট ভবনে ভাঙচুর ও আগুন

প্রথম আলো-ডেইলি স্টারে হামলার ঘটনায় ফখরুলের পোস্ট

প্রথম আলো-ডেইলি স্টারের আগুন নিয়ন্ত্রণে

১৯ ডিসেম্বর : আজকের নামাজের সময়সূচি

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের সব কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে

হাদিকে ‘সাচ্চা দেশপ্রেমিক’ অ্যাখ্যা দিলেন জামায়াত আমির

মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে হাদির জানাজায় শরিক হওয়ার আহ্বান

হান্নান মাসউদকে প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি

চট্টগ্রামে ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনের সামনে বিক্ষুব্ধ ছাত্রজনতা

১০

হাদির মৃত্যুর খবরে উত্তাল চট্টগ্রাম

১১

আমাদের পথ ধ্বংসের নয়, পুনর্গঠনের : হাসনাত আবদুল্লাহ

১২

‘আমরা সবাই হাদি হব, যুগে যুগে লড়ে যাব’

১৩

এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি প্রথম আলো কার্যালয়ের আগুন

১৪

ঢাবিতে বঙ্গবন্ধু হলের নাম বদলে এখন ‘শহীদ ওসমান হাদি হল’

১৫

গভীর রাতে সাধারণ জনগণকে যে আহ্বান জানাল ইনকিলাব মঞ্চ

১৬

চট্টগ্রামে ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনারের বাসভবনে হামলার চেষ্টা

১৭

গণমাধ্যমে হামলা ও আগুন: যা বললেন ভিপি সাদিক কায়েম

১৮

কারও উসকানিতে পা না দিতে আহ্বান সংস্কৃতি উপদেষ্টার

১৯

চট্টগ্রামে ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনের সামনে বিক্ষুব্ধ ‘ছাত্র জনতার’ অবস্থান

২০
X