কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:২১ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
এবি পার্টির স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠানে বক্তারা

দেশে গঠনমূলক রাজনীতি চর্চার সুযোগ নেই

এবি পার্টির উদ্যোগে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ‘জনআকাঙ্ক্ষার বাংলাদেশ ঘোষণার স্মৃতিচারণ ও উদ্যোক্তাদের পুনর্মিলনী’ অনুষ্ঠান। ছবি : কালবেলা
এবি পার্টির উদ্যোগে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ‘জনআকাঙ্ক্ষার বাংলাদেশ ঘোষণার স্মৃতিচারণ ও উদ্যোক্তাদের পুনর্মিলনী’ অনুষ্ঠান। ছবি : কালবেলা

বিশিষ্ট রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. দিলারা চৌধুরী বলেছেন, একটি দেশ উন্নত হতে হলে সেখানে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও মেধাবীদের রাজনীতিতে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হয়। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমাদের দেশে গঠনমূলক রাজনীতি চর্চার সুযোগ নেই। দেশে এখন ফ্যাসিবাদী, আগ্রাসী শাসন চলছে’, নতুন সৃষ্টিশীল রাজনীতি বিকশিত হওয়ার পথে এটা বিরাট অন্তরায়।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) আমার বাংলাদেশ পার্টি-এবি পার্টির উদ্যোগে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ‘জনআকাঙ্ক্ষার বাংলাদেশ ঘোষণার স্মৃতিচারণ ও উদ্যোক্তাদের পুনর্মিলনী’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

পাঁচ বছর আগে স্বাধীনতার ঘোষণা পত্রের মূলনীতি সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচারের ভিত্তিতে নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের অভিপ্রায়ে ঘোষিত হয় জনআকাঙ্ক্ষার বাংলাদেশ নামক রাজনৈতিক প্লাটফর্ম। যার মাধ্যমে পরবর্তীতে গড়ে ওঠে নতুন রাজনৈতিক দল আমার বাংলাদেশ পার্টি-এবি পার্টি। শনিবার ছিল জনআকাঙ্ক্ষার বাংলাদেশ গঠনের ৫ম বর্ষ এবং সে উপলক্ষে স্মৃতিচারণ ও পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

এবি পার্টির আহ্বায়ক এএফএম সোলায়মান চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও প্রচার সম্পাদক আনোয়ার সাদাত টুটুলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন লেখক ও মানবাধিকার কর্মী রুবী আমাতুল্লাহ, অভিনেত্রী ও সংগঠক আরজুমান্দআরা বকুল, এবি পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক তাজুল ইসলাম, সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু, দপ্তর সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন রানা, যুবপার্টির আহ্বায়ক এবিএম খালিদ হাসান, কেন্দ্রীয় সহকারী সদস্যসচিব এম আমজাদ খান প্রমুখ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে দিলারা চৌধুরী বলেন,

নতুন রাজনৈতিক উদ্যোগ জনআকাঙ্ক্ষার বাংলাদেশ ঘোষণার দিন আমি উপস্থিত ছিলাম। সকল প্রতিকূলতা ও সমস্যা সামনে রেখে জনআকাঙ্ক্ষা থেকে শুরু করে এবি পার্টি আজ যে পর্যায়ে এসেছে তাতে তাদের সাধুবাদ জানাতে হয়। স্বাধীনতার ঘোষণা পত্রের মূল বক্তব্যের আলোকে এই দেশকে একটি ওয়েলফেয়ার স্টেটে পরিণত করার যে চ্যালেঞ্জ এবি পার্টি গ্রহণ করেছে সেটাও অনেক কঠিন।

সভাপতির বক্তব্যে সোলায়মান চৌধুরী বলেন, জনআকাঙ্ক্ষার বাংলাদেশ নামে রাজনৈতিক উদ্যোগের সঙ্গে যখন আমি যুক্ত হয়েছিলাম তখন আসলে অনেক কিছুই পরিষ্কার ছিল না। সবকিছু বুঝতে ও গুছিয়ে উঠতে আমাদের ছয় মাস লেগেছে। সেই সময় প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত আমরা অফিসে বসতাম কখন একজন মানুষ অফিসে এসে নতুন রাজনৈতিক উদ্যোগ সম্পর্কে জানতে চাইবে সেজন্য অপেক্ষা করতাম। আপনাদের সহযোগিতায় আজ পার্টির প্রায় চল্লিশ জেলায় কমিটি হয়েছে। আমাদের এখন মাঠপর্যায়ে সংগঠন শক্তিশালী করতে অগ্রণী ভূমিকা নিতে হবে।

রুবী আমাতুল্লাহ বলেন,

মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার কাজ কখনো ইসলামবিরোধী হতে পারে না। কিন্তু বাংলাদেশের অনেকের মধ্যেই রাজনীতি ও ধর্ম নিয়ে ভুল ধারণা রয়েছে। রাজনীতি মানুষের মুক্তির জন্য লড়াই যা এবি পার্টি করছে। যা শুরু হয়েছিল জনআকাঙ্ক্ষার বাংলাদেশ নামক প্লাটফর্ম ঘোষণার মধ্য দিয়ে। সেই ঘোষণার দিন আমি তাদের শুভ কামনা জানাতে উপস্থিত ছিলাম। তাদের ভালো কাজের সঙ্গে সামনেও আমার সমর্থন থাকবে ইনশাআল্লাহ।

মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, রাজনৈতিক উদ্যোগের শুরুতেই বেশিরভাগ মানুষ আমাদের সামাজিক সংগঠন গড়ে তোলার পরামর্শ দিয়েছিলেন। কিন্তু আমরা বিভিন্ন বিষয় পর্যবেক্ষণ করে দেখেছি সামাজিক সংগঠনকে দিনশেষে রাজনৈতিক সংগঠনে পরিণত করা যায় না। যার ফলে আমরা প্রথমে জনআকাঙ্ক্ষার বাংলাদেশ নামক রাজনৈতিক প্লাটফর্ম গঠন করে এক বছর সারা দেশের বিভিন্ন জায়গায় মানুষের সঙ্গে মতবিনিময় করে আমার বাংলাদেশ পার্টি-এবি পার্টি গঠন করি। এটা আমার জীবনের সবচেয়ে বড় পাওনা যে শূন্য থেকে একটি রাজনৈতিক দল গঠন করতে পেরেছি। তিনি জনআকাঙ্ক্ষার বাংলাদেশ গঠনের সময় উদ্যোক্তা যারা ছিলেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম বলেন,

জনআকাঙ্ক্ষার বাংলাদেশের ঘোষণা ছিল আমাদের জীবনের বিরাট চ্যালেঞ্জ। যখন একটি গ্রুপ দলবদলের ঘটনাকে ধর্ম বদলের মতো চিন্তা করে। যখন প্রকাশ্যে আমাদের জাহান্নামি, কাফের ঘোষণা করা হয়েছে। আমরা সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে দলকে এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছি। একসময় এই রাষ্ট্র মেরামতের কাজও আমরাই করব ইনশাআল্লাহ।

অনুষ্ঠানে আরও স্মৃতিচারণ করেন এবি পার্টি ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্যসচিব সেলিম খান, নারায়ণগঞ্জ জেলা সমন্বয়ক শাহজাহান ব্যাপারী, যুবপার্টি গাজীপুরের আহ্বায়ক মাসুদ জমাদ্দার রানা, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম সদস্যসচিব সফিউল বাসার, কেফায়েত হোসেন তানভীর, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল হালিম নান্নু, যুবপার্টি ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব শাহিনুর আক্তার শীলা, কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যতম সদস্য রফিকুল ইসলাম, সাবেক ছাত্রনেতা রিপন মাহমুদ প্রমুখ।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

চট্টগ্রামে মোটরসাইকেলে কাভার্ড ভ্যানের ধাক্কা, নিহত ১

ঢাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ছাত্র কল্যাণ সংগঠনের কমিটি গঠন

কারেন্ট জাল ব্যবহারের অভিযোগে ৫ জেলে আটক

গাজীপুরে পিকআপচাপায় ২ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত

সকাল ৯টার মধ্যে যেসব অঞ্চলে শুরু হতে পারে ঝড়

শরীয়তপুরে রহস্যজনক মৃত্যু, আমগাছ থেকে ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

আচরণবিধি লঙ্ঘনে চেয়ারম্যান প্রার্থী জাবেরকে কারণ দর্শানোর নোটিশ

নেইমার-ক্যাসেমিরোকে বাদ দিয়েই ব্রাজিলের কোপা আমেরিকার দল 

দরজার হ্যাজবল ভেঙে টাকাসহ ৩৩ ভরি স্বর্ণালঙ্কার চুরি

আ.লীগ নেতাকে গুলি করে হত্যা

১০

সিইউকেপির বিশেষ সাহিত্য সম্মাননা প্রদান

১১

হাতির ভয়ে আধাপাকা ধান কাটছে সীমান্তের কৃষকরা

১২

স্ত্রীকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা মামলায় স্বামী গ্রেপ্তার

১৩

শনিবার কর্মবিরতির কর্মসূচি স্থগিত শিক্ষকদের

১৪

স্বাধীন ফিলিস্তিন গঠনের পক্ষে জাতিসংঘে ১৪৩ দেশ

১৫

হাজিদের জন্য অত্যানুধিক যাতায়াত ব্যবস্থার ঘোষণা সৌদির

১৬

নাটকীয় ধসে লজ্জার রেকর্ড বাংলাদেশের  

১৭

বগুড়ায় এমপির স্ত্রী উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী

১৮

সংস্কৃতিতে আরও বেশি শ্রম ও মেধা বিনিয়োগ করতে হবে : তথ্য প্রতিমন্ত্রী

১৯

শত্রুতার বিষে মরল লক্ষাধিক টাকার মাছ

২০
X