হিজরি সনে এক বছরে দুটি ঈদ আসে ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা। খ্রিষ্টীয় সন আরবি হিজরি সনের চেয়ে ১০ দিন বেশি। জানুয়ারি মাসে প্রথম ১০ দিনে যদি ঈদুল ফিতর বা ঈদুল আজহা হয়, তাহলে বছরের শেষ মাস ডিসেম্বরের শেষ ১০ দিনে আরেকটি ঈদুল ফিতর বা ঈদুল আজহা হবে এটাই স্বাভাবিক। জানুয়ারির প্রথম ১০ দিনে ঈদুল ফিতর হলে তার দুই মাস ১০ দিন পর মার্চে ঈদুল আজহা হবে।
এটা ঘটে ৩২ বছর পর পর। আবার যে বছর জানুয়ারির প্রথম ১০ দিনের মধ্যে ঈদুল আজহা হবে, সে বছর দুটি কোরবানির ঈদ এবং একটি ঈদুল ফিতর পালিত হবে। ১৯৬৮ সালে এবং ২০০০ সালে ৩ বার ঈদ হয়েছিল।
চলতি বছর দুটি ঈদ অনুষ্ঠিত হবে; ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা। এ বছর ১১ এপ্রিল ঈদুল ফিতর এবং জুনের মাঝামাঝি সময়ে ঈদুল আজহা অনুষ্ঠিত হবে।
ইংরেজি বছর অনুযায়ী রমজান মাস বছরে একবারই আসে। কখনো ২৯টি আবার কখনো ৩০টি রোজা পালন করতে হয়। কিন্তু কেমন হবে যদি বছরে দুবার রমজান মাস হয়? হ্যাঁ- আগামীতে এমনই একটি বছর আসবে যেটিতে রমজান মাস হবে বছরে দুবার! শুধু তাই-ই নয়, ২০৩০ সালে রাখতে হবে ৩৬টি রোজা।
এমনটি জানিয়েছেন দুবাই অ্যাস্ট্রোনমি গ্রুপের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার হাসান আহমেদ আল হারিরি। তিনি বলেন, ২০৩০ সালে দুটি রমজান হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
কিন্তু চন্দ্র বছরের মাসগুলো নির্ধারিত হয় ২৯ অথবা ৩০ দিনে। মাসে দিনের এই পার্থক্যের কারণে ইংরেজি বছর শেষে চন্দ্র বছর ১১ দিন কমে যায়। এভাবে বছরে ১১ দিন পার্থক্য থেকে যাওয়ায় ২০৩০ সালে দু’বার রমজান মাস পাবে মুসলিমরা।
গ্লোবাল ইসলামিক ক্যালেন্ডারেও এ তথ্যের সত্যতা পাওয়া গেছে। ক্যালেন্ডারে দেখা গেছে, ওই বছর প্রথম রমজানটি শুরু হবে ৫ জানুয়ারি, শেষ হবে ৪ ফেব্রুয়ারি এবং দ্বিতীয় রমজান মাসটি শুরু হবে ২৬ ডিসেম্বর, যা শেষ হবে ২০৩১ সালের ২৪ জানুয়ারিতে। সুতরাং, অপর রমজানের ঈদুল ফিতর ঈদটি অনুষ্ঠিত হবে ২০৩১ সালে।
সৌদি আরব বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল বিভাগের জলবায়ুর অধ্যাপক ড. আবদুল্লাহ আল মুসনাদ বলেন, ১৪৫১ হিজরির পবিত্র রমজান মাস শুরু হবে ২০৩০ সালের ৫ জানুয়ারি। এ মাসটি ৩০ দিন পূর্ণ হবে। অর্থাৎ ফেব্রুয়ারির ৩ তারিখে শেষ হবে রমজান মাস। এ হিসাবে রমজান মাসের রোজা হবে ৩০টি।
এরপর একই বছর ২৬ ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে ১৪৫২ হিজরির রমজান মাস। ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত মুসলিমরা ৬ দিন রোজা পালন করবে। সে হিসাবে ২০৩০ সালে মুসলিম উম্মাহ ৩৬ দিন রোজা পালন করবে।
ইসলামিক ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, ২০৩৩ সালে দুবার পূর্ণ রমজান মাস আসবে এবং সে বছর মোট ৩টি ঈদ অনুষ্ঠিত হবে।
হিজরি চন্দ্র বছরের গণনা অনুযায়ী, ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আজহার মাঝে ২ মাস ১০ দিন ব্যবধান থাকে। দিনের হিসেবে যা সর্বোচ্চ ৭০ দিন হতে পারে।
মন্তব্য করুন