গত বিপিএলেই ফাইনাল খেলেছিল সিলেট স্ট্রাইকার্স। তবে এবারের দশম আসরে আগের দলের ছিঁটেফোটাও নেই তাদের মধ্যে। নবম আসরে শিরোপার এত কাছে যাওয়া দল এবার যেন জয় কাকে বলে তাই ভুলতে বসেছিল। বিপিএলে পাঁচ ম্যাচ খেলে একটিও জয় না পাওয়া দল আজ মাঠে নেমেছিল জয়ের খোঁজে। নতুন জার্সি ও নতুন অধিনায়ক নিয়ে নিজেদের ভাগ্যের পরিবর্তন করাই লক্ষ্য ছিল সিলেটের। জার্সি বা অধিনায়ক যে কোনো একটি হয়তো আজকে কাজে লেগে গিয়েছে কারণ ষষ্ঠ ম্যাচে যেয়ে অবশেষে জয়ের দেখা পেয়েছে সিলেট স্ট্রাইকার্স।
শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) বিপিএলের সিলেট পর্বের শেষ ধাপে সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুনের ব্যাটিং ও এনগ্রাভার বোলিং তোপে দুর্দান্ত ঢাকাকে ১৫ রানে হারিয়েছে সিলেট স্ট্রাইকার্স। প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে সিলেট করে ১৪২ রান জবাবে ঢাকা ৯ উইকেট হারিয়ে ১২৭ রান করে।
১৪২ রানের চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে সাইম আইয়ুব উড়ন্ত সূচনা এনে দিলেও উইকেট ধরে রাখতে পারেনি ঢাকা। প্রথম ওভারে ১৩ রান তোলার পর সাইম আইয়ুবই সবার আগে ফিরে যান, তার উইকেট নেন রিচার্ড এনগ্রাভা। আরেক ওপেনার নাঈম শেখও তার কাছে উইকেট বিলিয়ে আসেন। ২ উইকেট চলে যাওয়ার পর সাইফ হাসান ও আলেক্স রস মিলে চাপ সামলানোর চেষ্টা চালালেও তারা সফল হননি।
দ্রুত বিদায় নেন দুইজনই। ঢাকার আশা তখনই শেষ হয়ে যায়। ইরফান শুক্কুর ৪ ও মোসাদ্দেক হোসেন ১১ করে ফিরলে হারের আনুষ্ঠানিকতা বাকি থাকে শুধু। এনগ্রাভা পরে ফেরান গুলবাদিন ও আরাফাত সানিকে। শরিফুলের উইকেট নেন রাজা। শেষদিকে তাসকিন আহমেদ ১১ বলে অপরাজিত ২৭ রানের বিস্ফোরক ইনিংস খেললেও তা ঢাকার জয়ের জন্য যথেষ্ট ছিল না।
এর আগে টস হেরে মোহাম্মদ মিঠুনের একার ব্যাটে ভর করে ৮ উইকেটে ১৪২ রানের চ্যালেঞ্জিং পুঁজি পায় সিলেট। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে অবশ্য ভালো শুরু পায়নি তারা। ১৩ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে একসময় মনে হচ্ছিল আবার হার বরণ করতে হবে সিলেটের। তবে অধিনায়ক মিঠুন ও সামিত প্যাটেল এবং আরিফুল দারুণ এক ক্যামিওতে সিলেটকে চ্যালেঞ্জিং স্কোর এনে দেন। ৪৬ বলে ৫৯ রান করে আউট হন মিঠুন। ঢাকার পক্ষে শরিফুল ১৯ রানের বিনিময়ে নেন ৪ উইকেট।
মন্তব্য করুন