সিলেটে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চলমান টি-টোয়েন্টি সিরিজে সমতায় ফেরার লক্ষ্যে লঙ্কানদের দেওয়া ১৬৬ রানের টার্গেটে জয়ের পথেই রয়েছে বাংলাদেশ। শান্ত আর তাওহীদের ব্যাটে জয় থেকে মাত্র ৪৯ রান দূরে টাইগাররা। তবে ম্যাচটিতে তার আগেই ঘটে গেছে বিতর্কিত ঘটনা।
বুধবার (৬ মার্চ) সিলেটে শ্রীলঙ্কাকে নাগালের মধ্যে রেখেই ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। নেমে দারুণ শুরুও পায় দুই ওপেনার লিটন দাস ও সৌম্য সরকার। বাংলাদেশের স্কোরবোর্ডে যখন দ্রুতই রান উঠছে তখনই বিনুরা ফার্নান্দোর বোলিংয়ে আউট সৌম্য। কিছুটা লাফিয়ে ওঠা বলে পুল করেন সৌম্য। একটা আওয়াজ পাওয়ায় ক্যাচের আবেদন জানায় শ্রীলঙ্কা। মাঠের আম্পায়ার গাজী সোহেল আউটও দেন। তবে সঙ্গে সঙ্গে রিভিউ নিলেন সৌম্য। সেখানেই শুরু বিতর্কের।
রিপ্লেতে আল্ট্রা-এজে স্পাইক দেখা গেছে। যা দেখে আউট ভেবে সাজঘরের পথ ধরেছিলেন সৌম্য। অবশ্য এরপরই থার্ড আম্পায়ার মাসুদুর রহমান মুকুল জানালেন, স্পাইক দেখানোর সময় বল ও ব্যাটের মধ্যে দূরত্ব রয়েছে। তাই মাঠের আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত বদলে দেন তিনি।
টেলিভিশন আম্পায়ার মাসুদুর রহমান বলেন, স্পাইক দেখানোর সময় বল ও ব্যাটের মধ্যে ‘গ্যাপ’ দেখেছেন তিনি। আউট ভেবে প্রায় বাউন্ডারির কাছে পৌঁছে যাওয়া সৌম্য ফিরে আসেন আবার। স্বাভাবিকভাবেই তাতে সন্তুষ্ট হতে পারেনি শ্রীলঙ্কা দল। আম্পায়ার শরফুদ্দৌলাকে ঘিরে ধরেছেন তারা। ওদিকে কোচ ক্রিস সিলভারউড গিয়েছিলেন চতুর্থ আম্পায়ার তানভীর আহমেদের কাছেও। শেষ পর্যন্ত শুরু হয় খেলা।
এরপরই দুই ওপেনার সৌম্য সরকার এবং লিটন দাসের ব্যাটে পাওয়ারপ্লেতে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৬৩ রান করে টাইগাররা। পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার পরের ওভারেই মাথিশা পাথিরানার শিকার হয়ে ফেরেন সৌম্য। ২২ বলে ২৬ রান করেছেন তিনি। সৌম্যর বিদায়ের পর বেশিক্ষণ টেকেননি লিটন। ২৪ বলে ৩৬ রান করে তিনিও আউট হন পাথিরানার বলেই।
এরপর ক্রিজে এসে অধিনায়ক শান্ত ও তাওহীদ হৃদয়ের মধ্যকার ৪৫ রানের জুটি জয়ের পথেই রেখেছে স্বাগতিকদের। তবে জয় ছাপিয়েও এই ম্যাচ ঘিরে যে বিতর্ক হবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
মন্তব্য করুন