ইউরোপিয়ান ফুটবলকে বিদায় জানিয়ে সৌদি আরবে পাড়ি জমিয়েছেন নেইমার জুনিয়র। দুই বছরের চুক্তিতে সৌদি প্রো লিগের ক্লাব আল হিলালের সঙ্গে চুক্তি করেছেন সাবেক পিএসজি ও বার্সেলোনা তারকা। সৌদি আরবের রিয়াদ বিমানবন্দরে পা রাখলে নেইমারকে রাজসিকভাবে বরণ করে তার ক্লাব আল হিলাল।
শনিবার (১৯ আগস্ট) সকালে সৌদির কিং ফাহাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান নেইমার জুনিয়র। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘আমি সৌদিতে এসেছি’ লিখে একটি ভিডিও পোস্ট করেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড। এসময় বিমানবন্দরে ফুলের তোড়া ও গলায় আল হিলালের স্কার্ফ পড়িয়ে বরণ করে নেওয়া হয় নেইমারকে।
ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড নেইমারকে ঘিরে ধরে অসংখ্য সংবাদকর্মী। তারা ক্যামেরা দিয়ে ছবি তুলতেই ব্যস্ত থাকেন। আল হিলাল তাদের নিজস্ব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে নেইমারকে বরণের ছবি পোস্ট করেছে। ছবির ক্যাপশন লিখেছে, ‘ব্রাজিলের ঐতিহাসিক জাদুকর এসে পৌঁছেছে। আপনাকে স্বাগতম।’ এ ছাড়া ছবিতে নেইমারকে ট্যাগ ও হ্যাশট্যাগ দিয়েছে আল হিলাল।
শনিবার রাতে সৌদি প্রো লিগে ম্যাচে কিং ফাহাদ আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে আল ফেইহার মুখোমুখি হবে আল হিলাল। আজই সৌদি ক্লাবটির হয়ে অভিষেক হতে পারে নেইমার জুনিয়রের।
শুক্রবার (১৮ আগস্ট) আল হিলালের হয়ে খেলতে সৌদি আরবের বিমানে উঠেছিলেন নেইমার। ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডের বিমানে ওঠার বেশ কিছু ছবি নিজেদের ফেসবুক পেইজে পোস্ট করেছে আল হিলাল। ছবিগুলোর ক্যাপশনে ক্লাবটি লিখেছে, ইতিহাস এখন রিয়াদের পথে। নেইমার হিলালি ও আল হিলাল এ দুটো শব্দ হ্যাশট্যাগও দিয়েছিল সৌদি প্রো লিগের ক্লাবটি।
বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, নেইমারকে বরণের জন্য আলাদা অনুষ্ঠানের আয়োজন করছে আল হিলাল। রিয়াদের কিং ফাহাদ আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে ব্রাজিলিয়ান তারকাকে আনুষ্ঠানিকভাবে নিজেদের ফুটবলার হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেবে সৌদি ক্লাবটি। অনেকটা রক তারকার মতো করেই তাকে অভ্যর্থনা জানানো হবে।
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক আল হিলালের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, নেইমারের সঙ্গে মানানসই, এমন বড় পার্টির আয়োজন করব আমরা।
নেইমারকে যে উড়োজাহাজ প্যারিস থেকে সৌদি আরবে আসেন তা পৃথিবীর অন্যতম বিলাসবহুল উড়োজাহাজগুলোর মধ্যে একটি। এ বিমানের মালিক সৌদির বিলিয়নিয়ার ব্যবসায়ী প্রিন্স আলওয়ালেদ বিন তালাল। যাকে আরবের ওয়ারেন বাফেট নামেও ডাকা হয়।
ব্রাজিলের সংবাদমাধ্যম গ্লোবো জানায়, এই উড়োজাহাজের প্রধান কক্ষটি সৌদি আরবের প্রিন্সরা নিজেদের উপদেষ্টা ও মন্ত্রিপরিষদের সদস্যদের সঙ্গে বেঠকের জন্য ব্যবহার করে থাকেন। প্রধান কক্ষটিতে রয়েছে চামড়ার সোফার সঙ্গে বিলাসবহুল মোড়ক এবং দামি কাঠের টেবিল। ঝলমলে আলোর ব্যবস্থাও আছে উড়োজাহাজটিতে।
মন্তব্য করুন