স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ : ০৭ মে ২০২৫, ০৩:৫১ এএম
আপডেট : ০৭ মে ২০২৫, ০৭:৪২ এএম
অনলাইন সংস্করণ

ইতিহাস গড়া সেমিফাইনাল শেষে বার্সার স্বপ্নভঙ্গ

জয়সূচক গোলের পর ফ্রাতেসির উল্লাস। ছবি : সংগৃহীত
জয়সূচক গোলের পর ফ্রাতেসির উল্লাস। ছবি : সংগৃহীত

ফুটবলের ইতিহাসে সেরা ম্যাচের তালিকায় জায়গা করে নেওয়ার মতো এক ম্যাচ দেখলো পুরো বিশ্ব। উত্তেজনা, নাটকীয়তা আর হৃদয় ভাঙার গল্পে ঠাসা সেই সান সিরোর সেমিফাইনাল—যেখানে বার্সেলোনার স্বপ্ন গুঁড়িয়ে দিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে উঠেছে ইন্টার মিলান। দুই লেগ মিলিয়ে ১৩ গোলের রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ে দ্বিতীয় লেগে অতিরিক্ত সময়ে ৪-৩ গোলে জয় পায় ইতালিয়ান ক্লাবটি। সমষ্টিগতভাবে ফল ৭-৬।

ম্যাচের নির্ধারিত সময়ে যখন ৩-২ গোলে পিছিয়ে ছিল ইন্টার, তখন মনে হচ্ছিল, প্রথমবারের মতো এক দশক পর ফাইনালে উঠতে চলেছে বার্সা। কিন্তু অতিরিক্ত যোগ করা সময়ে ফ্রানচেসকো আচেরবির গোল যেন গোটা ম্যাচের চিত্রনাট্যই বদলে দেয়। এরপর অতিরিক্ত সময়ের নবম মিনিটে বদলি খেলোয়াড় দাভিদে ফ্রাতেসির দারুণ গোল ইন্টারের হয়ে ইতিহাস লিখে দেয়।

সান সিরোতে ম্যাচের শুরুতেই আক্রমণে ঝড় তোলে ইন্টার। ২১ মিনিটে আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার লাওতারো মার্টিনেজ ডেনজেল ডুমফ্রিসের পাস থেকে প্রথম গোল করেন। এরপর হাকান চালহানওগলু প্রথমার্ধের শেষ মুহূর্তে পেনাল্টি থেকে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন। তখনই বোঝা যাচ্ছিল, আজ রাতটা হতে যাচ্ছে বিশেষ কিছু।

তবে দ্বিতীয়ার্ধে ঘুরে দাঁড়ায় হ্যান্সি ফ্লিকের শিষ্যরা। ৫৪ মিনিটে এরিক গার্সিয়ার ভলি ও ৬০ মিনিটে দানি ওলমোর হেডে ম্যাচে ফিরে আসে বার্সা। এরপর ৮৭ মিনিটে রাফিনিয়ার গোলে প্রথমবারের মতো এগিয়ে যায় তারা।

তবে নির্ধারিত সময়ের অন্তিমে আচেরবির গোলে ম্যাচে ফেরে ইন্টার। এরপর অতিরিক্ত সময়ে দাভিদে ফ্রাতেসির বাঁ পায়ের বাঁকানো শটে আবারও এগিয়ে যায় তারা- যেটি শেষ পর্যন্ত ম্যাচ জয়ী গোল হিসেবেই বিবেচিত হয়।

বার্সেলোনার পক্ষে লামিন ইয়ামাল দুইবার সুযোগ পেয়েও ইন্টারের গোলরক্ষক ইয়ান সোমারের দুর্দান্ত সেভে গোল পাননি। বরং ম্যাচের নায়ক হয়ে ওঠেন এই সুইস গোলরক্ষকই, যিনি অন্তিম মুহূর্তে একের পর এক সেভে বার্সার স্বপ্নভঙ্গের কান্না নিশ্চিত করেন।

এই জয় ইন্টারকে ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালে তুলে দেয়- তিন মৌসুমে দ্বিতীয়বারের মতো। ৩১ মে মিউনিখে আয়োজিত ফাইনালে তারা মুখোমুখি হবে প্যারিস সেইন্ট জার্মেই ও আর্সেনালের মধ্যকার বিজয়ীর।

এই লড়াইয়ের ১৩ গোল চ্যাম্পিয়নস লিগ ইতিহাসে যৌথভাবে সবচেয়ে বেশি গোলসংখ্যার সেমিফাইনাল হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে—২০১৭-১৮ মৌসুমে লিভারপুল ও রোমার মধ্যকার ৭-৬ ফলাফলকে ছুঁয়ে।

এটি শুধুই একটি ফুটবল ম্যাচ ছিল না, ছিল এক নাট্যনাটক, যেখানে শেষ দৃশ্য পর্যন্ত থ্রিলারের স্বাদ পেয়েছেন ফুটবলপ্রেমীরা। এবং শেষ পর্যন্ত জয়ী হয়েছে সাহস, প্রত্যয় আর লড়াইয়ের মানসিকতা- যার নাম ইন্টার মিলান।

ফুটবলের ইতিহাসে সেরা ম্যাচের তালিকায় জায়গা করে নেওয়ার মতো এক ম্যাচ দেখলো পুরো বিশ্ব। উত্তেজনা, নাটকীয়তা আর হৃদয় ভাঙা গল্পে ঠাসা সেই সান সিরোর সেমিফাইনাল—যেখানে বার্সেলোনার স্বপ্ন গুঁড়িয়ে দিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে উঠেছে ইন্টার মিলান। দুই লেগ মিলিয়ে ১৩ গোলের রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ে দ্বিতীয় লেগে অতিরিক্ত সময়ে ৪-৩ গোলে জয় পায় ইতালিয়ান ক্লাবটি। সমষ্টিগতভাবে ফল ৭-৬।

ম্যাচের নির্ধারিত সময়ে যখন ৩-২ গোলে পিছিয়ে ছিল ইন্টার, তখন মনে হচ্ছিল, প্রথমবারের মতো এক দশক পর ফাইনালে উঠতে চলেছে বার্সা। কিন্তু অতিরিক্ত যোগ করা সময়ে ফ্রানচেসকো আচেরবির গোল যেন গোটা ম্যাচের চিত্রনাট্যই বদলে দেয়। এরপর অতিরিক্ত সময়ের নবম মিনিটে বদলি খেলোয়াড় দাভিদে ফ্রাতেসির দারুণ গোল ইন্টারের হয়ে ইতিহাস লিখে দেয়।

সান সিরোতে ম্যাচের শুরুতেই আক্রমণে ঝড় তোলে ইন্টার। ২১ মিনিটে আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার লাওতারো মার্টিনেজ ডেনজেল ডুমফ্রিসের পাস থেকে প্রথম গোল করেন। এরপর হাকান চালহানওগলু প্রথমার্ধের শেষ মুহূর্তে পেনাল্টি থেকে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন। তখনই বোঝা যাচ্ছিল, আজ রাতটা হতে যাচ্ছে বিশেষ কিছু।

তবে দ্বিতীয়ার্ধে ঘুরে দাঁড়ায় হ্যান্সি ফ্লিকের শিষ্যরা। ৫৪ মিনিটে এরিক গার্সিয়ার ভলি ও ৬০ মিনিটে দানি ওলমোর হেডে ম্যাচে ফিরে আসে বার্সা। এরপর ৮৭ মিনিটে রাফিনিয়ার গোলে প্রথমবারের মতো এগিয়ে যায় তারা।

তবে নির্ধারিত সময়ের অন্তিমে আচেরবির গোলে ম্যাচে ফেরে ইন্টার। এরপর অতিরিক্ত সময়ে দাভিদে ফ্রাতেসির বাঁ পায়ের বাঁকানো শটে আবারও এগিয়ে যায় তারা—যেটি শেষ পর্যন্ত ম্যাচ জয়ী গোল হিসেবেই বিবেচিত হয়।

বার্সেলোনার পক্ষে লামিন ইয়ামাল দুইবার সুযোগ পেয়েও ইন্টারের গোলরক্ষক ইয়ান সোমারের দুর্দান্ত সেভে গোল পাননি। বরং ম্যাচের নায়ক হয়ে ওঠেন এই সুইস গোলরক্ষকই, যিনি অন্তিম মুহূর্তে একের পর এক সেভে বার্সার স্বপ্নভঙ্গের কান্না নিশ্চিত করেন।

এই জয় ইন্টারকে ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালে তুলে দেয়—তিন মৌসুমে দ্বিতীয়বারের মতো। ৩১ মে মিউনিখে আয়োজিত ফাইনালে তারা মুখোমুখি হবে প্যারিস সেইন্ট জার্মেই ও আর্সেনালের মধ্যকার বিজয়ীর।

এই লড়াইয়ের ১৩ গোল চ্যাম্পিয়নস লিগ ইতিহাসে যৌথভাবে সবচেয়ে বেশি গোলসংখ্যার সেমিফাইনাল হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে—২০১৭-১৮ মৌসুমে লিভারপুল ও রোমার মধ্যকার ৭-৬ ফলাফলকে ছুঁয়ে।

এটি শুধুই একটি ফুটবল ম্যাচ ছিল না, ছিল এক নাট্যনাটক, যেখানে শেষ দৃশ্য পর্যন্ত থ্রিলারের স্বাদ পেয়েছেন ফুটবলপ্রেমীরা। এবং শেষ পর্যন্ত জয়ী হয়েছে সাহস, প্রত্যয় আর লড়াইয়ের মানসিকতা—যার নাম ইন্টার মিলান।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশে সই / কাতারে হামলা হলে পাল্টা হামলা চালাবে যুক্তরাষ্ট্র

আফগানদের বিপক্ষে নতুন শুরুর প্রত্যাশায় জাকের

সৌম্যর জায়গায় দলে এলেন সাকিব

বিবাহিত ব্যক্তির নামাজ অবিবাহিত ব্যক্তির চেয়ে কি ৭০ গুণ উত্তম?

এআই চশমা আনল মেটা, ক্যামেরা-ডিসপ্লে কি নেই তাতে!

ট্রফি বিতর্কে এবার ভারতীয় গণমাধ্যমকে আক্রমণ নকভির

যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতিকে সতর্ক করল বিএনপি

পূজা বিঘ্ন করতে পাহাড়ে ষড়যন্ত্র হয়েছে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

দিনদুপুরে টাকাভর্তি ব্যাগ ছিনতাই

গাজা অভিমুখী ফ্লোটিলায় উড়ছে বাংলাদেশের পতাকা

১০

দুর্গাপূজায় হিন্দু সম্প্রদায়ের পাশে আছে বিএনপি : নজরুল ইসলাম আজাদ

১১

রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে মাঠে নামছে বার্সা-পিএসজি, ফ্রিতে দেখবেন যেভাবে

১২

‘তারেক রহমান যে কোনো সময় দেশে ফিরবেন’

১৩

কার মাধ্যমে ফেমাস হয়েছেন, জানালেন অনন্ত জলিল

১৪

নতুন দায়িত্ব পেলেন এনসিপির ১০ কেন্দ্রীয় নেতা

১৫

নিম্নচাপে পরিণত সাগরের লঘুচাপ, কোন সমুদ্রবন্দর থেকে কত দূরে

১৬

সিজারের কাঁচি দিয়ে ৪ জনকে জখম করলেন চিকিৎসক

১৭

চিয়া সিডের তেল মাথায় দিলে কী হয়? জানলে চমকে যাবেন

১৮

রবিনসনের শতকেও লাভ হলো না, মার্শ ঝড়ে অস্ট্রেলিয়ার জয়

১৯

৭০ বছরে বিয়ে করলেন বৃদ্ধ, ‘বাসর রাতে’ মৃত্যু

২০
X