কাতার বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে পোল্যান্ডের মুখোমুখি হয়েছিল আর্জেন্টিনা। সেই ম্যাচে পোলিশ তারকা রবার্ট লেভানদোভস্কির সঙ্গে বিরোধে জড়িয়ে পড়েন লিওনেল মেসি। যা পরবতীতে গণমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ঝড় তুলেছিল। তবে সেদিনের ঘটনায় আর্জেন্টাইন অধিনায়কের জাতীয় দল সতীর্থ অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া জানালেন, ইচ্ছা করেই লেভানদোভস্কির সঙ্গে বিরোধে জড়িয়েছিলেন মেসি।
২০২২ বিশ্বকাপের নকআউট পর্বে খেলতে হলে পোল্যান্ডকে হারাতেই হতো আর্জেন্টিনাকে। এমন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ড্রিবল করে এগিয়ে যাওয়ার সময় আর্জেন্টাইন অধিনায়ককে কড়া ট্যাকেল করেন লেভানদোভস্কি। তখন পোলিশ গোলমেশিন মেসির সঙ্গে হাত মেলাতে ও এগিয়ে এসে কথা বলতে চাইলেও তাতে সাড়া দেননি এলএম টেন। এমনকি ম্যাচের শেষে দুজনে কথা বললেও বিরক্তির ছাপ দেখা যায় মেসির চোখেমুখে।
আর্জেন্টিনার কাতার বিশ্বকাপ জয়ের এক বছর পূর্তি উপলক্ষে প্রামাণ্যচিত্র ‘চ্যাম্পিয়নস, অ্যা ইয়ার লেটার’ প্রচার করেছে স্টার প্লাস। সেই প্রামাণ্যচিত্রে আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড ডি মারিয়া বলেন, ‘এমনকি আমার দাদিও বুঝতে পেরেছিলেন যে, মেসি ইচ্ছাকৃতভাবে তার (লেভানদোভস্কি) সঙ্গে বিরোধে জড়িয়েছিল।’
তিনি আরও বলেন, এগুলো এমন কিছু জিনিস, যা তার ভেতর কখনো কখনো থেকে যায়। কেউ যদি তার সম্পর্কে কথা বলে, সে তার প্রত্যুত্তর দিয়ে দেয়। তারা এমন মানুষ, যারা শুধু কথা বলে, সম্মান করে না। আর এটা বুঝতে চায় না যে, সে ইতিহাসের সেরা খেলোয়াড়। তার থেকে সাবধান থাকা উচিত। কারণ সে রেগে গেলে (প্রতিপক্ষের) পরিস্থিতি আরও খারাপ করে।’
মেসি ও লেভানদোভস্কির মধ্যে বিরোধের শুরু হয়েছিল ২০২১ সালে। সেই বছরে নিজের সপ্তম ব্যালন ডি’অর পুরস্কার জেতেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। তখন এই ফুটবল জাদুকর জানিয়েছিলেন, ২০২০ সালে করোনায় বাতিল হওয়া বর্ষসেরার পুরস্কারটি রবার্ট লেভানদোভস্কির প্রাপ্য ছিল। কিন্তু ২০২২ সালে ফিফা দ্য বেস্ট অ্যাওয়ার্ডে পোলিশ স্ট্রাইকারকে নিজের ভোট দেননি মেসি।
ইউরোপিয়ান গণমাধ্যমগুলো জানায়, মেসির ভোট না পাওয়ায় হতাশ হয়েছিলেন বার্সেলোনা তারকা লেভানদোভস্কি। পোলিশ স্ট্রাইকার বলেছিলেন, ‘২০২১ সালে সে যা করেছে, সে জন্য আমি মেসিকে ভোট দিয়েছিলাম। মেসি ব্যালন ডি’অরে আমাকে ভোট দিয়েছে। কিন্তু আমি জানি না, কোনো ফিফা দ্য বেস্টে ভোট দেননি। তার প্রতি আমার কোনো অভিযোগ নেই।’
লেভানদোভস্কির এমন মন্তব্যের কারণে বিরক্ত হয়েছিলেন মেসি। তখন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক বলেছিলেন, ‘লেভার বক্তব্য আমাকে বিরক্ত করেছিল। আমি ব্যালন ডি’অর জেতার পর যা বলেছিলাম, তা আমি অনুভব করি বলেই বলেছিলাম। কিন্তু সে যা বলেছিল, তা আমাকে হতাশ করেছিল।’
মন্তব্য করুন