বক্সিং খেলার মানোন্নয়নে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে বাংলাদেশ। অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে বাংলাদেশের পক্ষে মোঃ আসাদুজ্জামান এবং অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে মাইক অলট্রামোরা চুক্তিতে সাক্ষর করেন। এই চুক্তির মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের বক্সিংয়ে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হল। শুধু তাই নয়, এই চুক্তির পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়ান বক্সিং সংস্থার সাথে ‘বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া বক্সিং কমিউনিটি’ নামক একটি সংগঠনও গঠন করা হয়েছে। এই সংগঠনটি দুই দেশের পেশাদার বক্সিংয়ের উন্নয়ন এবং উৎকর্ষ সাধনে একসঙ্গে কাজ করে যাবে।
চুক্তি স্বাক্ষর শেষে বাংলাদেশ পেশাদার বক্সিং সোসাইটির চেয়ারম্যান মোঃ আসাদুজ্জামান বলেন, আমি বিশ্বাস করি, বাংলাদেশের বক্সিং খেলার মানোন্নয়ন এবং আরও বিকাশের জন্য অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে এই চুক্তি কার্যকর ভূমিকা রাখবে। এতে বাংলাদেশের বক্সিং খেলা অনেক দূর এগিয়ে যাবে। বাংলাদেশের বক্সিং উন্নয়নের জন্য তিনি সরকারের সুদৃষ্টি এবং সাহায্য-সহযোগিতা কামনা করেন। বক্সিং খেলার মধ্য দিয়ে তিনি বাংলাদেশকে বিশ্ব মানচিত্রে এক অনন্য উচ্চতায় তুলে ধরতে পারবেন বলে আশা প্রকাশ করেন।
১৯৭২ সাল থেকে বাংলাদেশে প্রথম বক্সিং চর্চা শুরু হয়। তবে বিকেএসপির জিমনেশিয়ামে পেশাদার বক্সিং শুরু হয়েছিল ২০২০ সালের ২০ নভেম্বর। বাংলাদেশ পেশাদার বক্সিং অ্যাসোসিয়েশন এবং বাংলাদেশ পেশাদার বক্সিং সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান মোঃ আসাদুজ্জামান প্রথম বাংলাদেশে পেশাদার বক্সিং সূচনা করেন। সেই থেকে এখন পর্যন্ত আসাদুজ্জামানের হাত ধরেই বাংলাদেশ ২৯ টি বক্সিং ইভেন্ট আয়োজন করে। এমনকি বাংলাদেশের ১৫ জনেরও বেশি পেশাদার বক্সার বিদেশের মাটিতে খেলার সুযোগ পান।
সম্প্রতি মোঃ আসাদুজ্জামান এদেশের দুই প্রফেশনাল বক্সার জয়নুল ইসলাম ও মোহন আলীকে নিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় একটি বক্সিং টুর্নামেন্টে যোগ দেন। খেলা শেষে বক্সাররা দেশে ফিরে আসলেও আসাদুজ্জামান অস্ট্রেলিয়াতেই থেকে যান এবং অস্ট্রেলিয়ান প্রফেশনাল বক্সিং সংস্থার সাথে আলোচনা করেন। ভবিষ্যতে বাংলাদেশের বক্সিংয়ের উন্নয়ন এবং সহযোগিতার জন্য অস্ট্রেলিয়ান বক্সিং সংস্থার সঙ্গে চুক্তি সাক্ষর করেন এবং দ্বিপাক্ষিক সাহায্য-সহযোগিতার জন্য ‘বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া বক্সিং কমিউনিটি’ নামে একটি সংগঠনও গঠন করেন এই বক্সিং সংগঠক।
মন্তব্য করুন