কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:০৫ এএম
অনলাইন সংস্করণ

দক্ষিণ কোরিয়ায় সামরিক আইন জারির কয়েক ঘণ্টা পর প্রত্যাহার

দক্ষিণ কোরিয়ার নাগরিকদের বিক্ষোভ। ছবি : সংগৃহীত
দক্ষিণ কোরিয়ার নাগরিকদের বিক্ষোভ। ছবি : সংগৃহীত

দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক আইন জারি নিয়ে নাটকীয় পরিবেশ তৈরি হয়েছে। প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওল সামরিক আইন জারির কয়েক ঘণ্টা পর তা আবার প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।

বুধবার (০৪ ডিসেম্বর) বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম ইয়োনহাপ জানিয়েছে, মঙ্গলবার গভীর রাতে সামরিক আইন জারির আদেশ প্রত্যাহার করেছেন প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওল। পার্লামেন্টে ভোটে আদেশের বিষয়টি ব্লক হয়ে যাওয়ার পর তিনি সামরিক আইন প্রত্যাহার করেন।

বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, সামরিক আইন প্রত্যাহারের ঘোষণা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির সামনে দেশটির জনগণ উদযাপন করেছেন। অ্যাসেম্বলি ভোটে সামরিক আইনের বিরুদ্ধে ভোটের পর তিনি আদেশ প্রত্যাহার করেন।

আল-জাজিরা জানিয়েছে, পার্লামেন্টে প্রস্তাব পাস হওয়ার পর আদেশ প্রত্যাহার করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওল। ভোটের পর তিনি বলেন, সামরিক আইনের বিরুদ্ধে পার্লামেন্টের অবস্থান তিনি মেনে নিবেন। মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর এ আইন প্রত্যাহার করা হবে।

ইওলের এ ঘোষণার পর দেশটির আইনপ্রণেতারা আদেশের বিরোধিতা করে ভোট দেন। এরপর পিছু হঠেন প্রেসিডেন্ট। গভীর রাতে সামরিক আইন জারি করায় বিষয়টি নিয়ে সবাই হতবাক হয়ে পড়েন।

এর আগে ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি সিল করে দেওয়া হয়। এ সময় কিছু সংখ্যক সেনা অ্যাসেম্বলি ভবনে প্রবেশ করেন। একই সময়ে শত শত বিক্ষোভকারী বাইরে জড় হন এবং নিরাপত্তা বাহিনীর মুখোমুখি হন।

স্থানীয় সময় বুধবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে টেলিভিশনে এক ভাষণে প্রেসিডেন্ট বলেন, কিছুক্ষণ আগে ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি থেকে জরুরি অবস্থা তুলে নেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে। আমরা সামরিক আইন পরিচালনার জন্য মোতায়েন করা সামরিক বাহিনী প্রত্যাহার করছি।

তিনি বলেন, আমরা ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির প্রস্তাব মেনে নেব। মন্ত্রিসভার বৈঠকের মাধ্যমে সামরিক আইন তুলে নেওয়া হবে। এরপর দেশটির সংবাদমাধ্যম ইয়োনহাপ জানিয়েছে, মন্ত্রিসভায় আদেশ প্রত্যাহারের বিষয়টি অনুমোদন করা হয়েছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

দল থেকে সুখবর পেলেন বিএনপির ২০ নেতা

একদিনই ইসরায়েলি বাহিনী ‘২৭ বার যুদ্ধবিরতি ভেঙেছে’

এনআইডি কার্যক্রম সংশোধনে ইসির নতুন সিদ্ধান্ত

নির্বাচনে সশস্ত্র বাহিনীর ভূমিকা হবে গুরুত্বপূর্ণ : নৌবাহিনী প্রধান

বাংলাদেশে ডেঙ্গু ভ্যাকসিন এখনো চালু না হওয়ার কারণ

তাজরীনের আগুনে ঝলসে যাওয়া স্মৃতি, ১৩ বছর পরও শ্রমিকদের আর্তনাদ

নির্বাচন ও গণভোট একসঙ্গে হলে ব্যয় বাড়বে: অর্থ উপদেষ্টা

কক্সবাজারে ট্রেনে কাটা পড়ে এক ব্যক্তি নিহত

মাছের ঘের থেকে কৃষকের মরদেহ উদ্ধার

শুটিং সেটে গুরুতর আহত, প্রযোজকের কথা ভাবলেন শ্রদ্ধা

১০

আঁধারে শেষ ২০ বিঘা সবজি ক্ষেত

১১

বানিয়ে নিন মচমচে ফুলকপির পকোড়া

১২

মুক্ত আকাশে ফাঁদে আটকা ৯০টি শালিক পাখি

১৩

রামপুরায় ২৮ জনকে হত্যা : অভিযোগ গঠনে শুনানির তারিখ নির্ধারণ

১৪

প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইল রিয়াল মাদ্রিদ

১৫

দুর্নীতি চাই এবং চাই না এর মধ্যে ফাঁক রয়েছে : দুদক চেয়ারম্যান

১৬

বিয়ে নিয়ে নিরাপত্তা জটিলতায় টেলর সুইফট

১৭

পুরো অ্যাশেজ থেকেই কি ছিটকে গেলেন অজি তারকা?

১৮

দুর্ঘটনায় দুই বন্ধু নিহত, শেষ স্ট্যাটাস ভাইরাল

১৯

ঢাবি শিক্ষক কার্জনের জামিন

২০
X