আজারবাইজানের সামরিক অভিযানের ২৪ ঘণ্টার মাথায় যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে নাগোর্নো-কারাবাখ। আর্মেনীয় সেনাদের সম্পূর্ণ নিরস্ত্রীকরণের যে শর্ত আজারবাইজান দিয়েছিল তা মেনে নিয়েই যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে তারা। খবর বিবিসি।
গতকাল মঙ্গলবার বিরোধপূর্ণ নাগোর্নো-কারাবাখ অঞ্চলে ‘সন্ত্রাসবিরোধী’ অভিযানের নামে সামরিক অভিযান শুরু করে আজারবাইজান। অভিযান শুরুর পর থেকে দুই বেসামরিক নাগরিকসহ ২৭ জন নিহত হয়েছে। আরও অনেক মানুষ আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে কারাবাখ কর্তৃপক্ষ।
কারাবাখের প্রেসিডেনশিয়াল প্রেস সার্ভিসের বরাতে বুধবার আর্মেনিয়ান সংবাদমাধ্যম ২৪ নিউজ জানিয়েছে, রুশ শান্তিরক্ষা মিশনের মধ্যস্থতায় আজারবাইজানের সামরিক অভিযান সম্পূর্ণ বন্ধে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে কারাবাখ। এ চুক্তি স্থানীয় সময় বুধবার দুপুর ১টা থেকে কার্যকর হবে।
তবে দুপুর ১টার দিকে যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হলেও কারাবাখের আঞ্চলিক রাজধানীতে বিস্ফোরণের বিকট শব্দ শোনা গেছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
এদিকে আজারবাইজানের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় জানিয়েছে, বুধবার বিকেলে আজারবাইজানের ইয়েভলাখ শহরে কারাবাখের আর্মেনিয়ান প্রতিনিধিদের সাথে দেখা করবেন দেশটির কর্মকর্তারা। এ শহরটি কারাবাখের আঞ্চলিক রাজধানী খানকেন্দি থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত।
আন্তর্জাতিকভাবে কারাবাখ অঞ্চলটি আজারবাইজানের অংশ হলেও সেটি আর্মেনীয় অধ্যুষ্যিত এলাকা। সেখানে এক লাখ ২০ হাজার আর্মেনীয় বসবাস করেন। বিরোধপূর্ণ এ অঞ্চল নিয়ে এরই মধ্যে দুটি যুদ্ধে জড়িয়েছে আজারবাইজান ও আর্মেনিয়া। প্রথমটি ১৯৯০-এর দশকে এবং দ্বিতীয়টি ২০২০ সালে। ২০২০ সালের যুদ্ধে রাশিয়ার মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতিতে যাওয়ার আগে কারাবাখের বেশকিছু অঞ্চল নিজেদের দখলে নিয়ে নেয় আজারবাইজান।
সম্প্রতি এ অঞ্চলে দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে আবারও উত্তেজনা দেখা দেয়। এরই মধ্যে মাইন বিস্ফোরণ ও অন্য আরেকটি ঘটনায় আজারবাইজানের ১১ পুলিশ ও বেসামরিক নাগরিক নিহত হওয়ার খবর সামনে আসে। এমন পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার সামরিক অভিযানের এ ঘোষণা দেয় দেশটি।
মন্তব্য করুন