রাশিয়ার অধিকৃত ইউক্রেনের অর্ধেক ভূখণ্ড কিয়েভ পুনরুদ্ধার করেছে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। তবে আরও ভূখণ্ড পুনরুদ্ধারে ইউক্রেনীয় বাহিনীকে কঠিন লড়াই করতে হবে বলেও জানান তিনি।
রোববার (২৩ জুলাই) মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব তথ্য জানান ব্লিঙ্কেন।
ইউক্রেনের পাল্টা আক্রমণ নিয়ে ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘পাল্টা আক্রমণ এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। এটা অনেক কঠিন। আগামী দুই বা তিন সপ্তাহে কিছু হবে না। আরও বেশ কয়েক মাস লাগতে পারে।’
গত মাসে রাশিয়ার দখল করা পূর্ব ও দক্ষিণ অঞ্চল পুনর্দখলে বহুল প্রতিক্ষিত পাল্টা আক্রমণ শুরুর কথা জানিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তবে রাশিয়ার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে পাল্টা আক্রমণ প্রত্যাশের চেয়ে ধীরে এগিয়েছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন : যুদ্ধে ‘গুরুত্বপূর্ণ’সংখ্যক সেনা হারাচ্ছে ইউক্রেন
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি যুদ্ধবিমান এফ-১৬ ইউক্রেনকে দেওয়া হবে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে ব্লিঙ্কেন জানান, ইউক্রেন এই যুদ্ধবিমান পাবে, এমনটাই মনে করেন তিনি। এরপর তিনি বলেন, ‘আমাদের গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য হলো যখন তারা এগুলো পাবে তখন যেন তারা ঠিকমতো প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত থাকেন, এগুলো ভালোভাবে পরিচালনা করতে পারেন এবং স্মার্টভাবে ব্যবহার করতে পারেন।’
এর আগে ইউক্রেনের পাইলটদের এফ-১৬ যুদ্ধবিমান চালানোর প্রশিক্ষণ আগস্ট মাসে রোমানিয়ায় শুরু হবে বলে জানিয়েছিলেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওলেক্সি রেজনিকভ। এ জন্য ১১ সদস্যের একটি জোটও গঠন করেছে ন্যাটো। এ জোটের নেতৃত্বে রয়েছে নেদারল্যান্ডস ও ডেনমার্ক।
দীর্ঘদিন ধরে পশ্চিমাদের কাছে এফ-১৬ যুদ্ধবিমান চেয়ে আসছে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তার দাবির মুখে গত মাসে জি-৭ নেতাদের যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানান, তার দেশ এফ-১৬ যুদ্ধবিমান চালানোর ক্ষেত্রে ইউক্রেনের পাইলটদের প্রশিক্ষণ দেবে। আর বাইডেনের এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে যুক্তরাজ্য, বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ডস ও ডেনমার্ক।
তবে ওয়াশিংটন যুদ্ধবিমান পাঠানোর বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি বলে জানিয়েছেন মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভান।
মন্তব্য করুন