রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে পাল্টা জবাব দিতে গিয়ে ইউক্রেন ‘গুরুত্বপূর্ণ’সংখ্যক সেনা হারাচ্ছে বলে জানিয়েছেন হোয়াইট হাউসের নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান। যদিও কিয়েভের দাবি, লড়াই চালিয়ে যেতে তাদের পর্যাপ্ত সেনা মজুদ রয়েছে।
শুক্রবার (২১ জুলাই) ওয়াশিংটন ডিসিতে এসপেন সিকিউরিটি ফোরামের আয়োজিত প্রশ্নোত্তর পর্বে কথা বলতে গিয়ে তিনি এই তথ্য জানান। এক প্রশ্নের জবাবে সুলিভান বলেন, এখনো যে কোনো সময় পাল্টা আক্রমণ হতে পারে। যদিও ইউক্রেনের সেনারা যেদিন প্রথম জীবন দিয়েছে, সেদিন থেকেই পাল্টা আক্রমণ শুরু করেছে।
ফোরামের মডারেটর এডওয়ার্ড লুইসের এক প্রশ্নের জবাবে হোয়াইট হাউসের এ উপদেষ্টা বলেন, যুদ্ধে ইতোমধ্যেই ইউক্রেনের ‘গুরুত্বপূর্ণ’সংখ্যক সেনা হতাহত হয়েছে। ফলে যুদ্ধ পরিস্থিতি ক্রমেই কঠিন হয়ে উঠছে। পরিস্থিতি সামনে আরও জটিল হতে পারে।
সুলিভানের মতে, ইউক্রেনের যেহেতু এখনো অব্যবহৃত অবস্থায় যথেষ্ট যুদ্ধশক্তি রয়েছে। ফলে দেশটির এখন সেগুলোর সর্বোচ্চ ব্যবহারের বিষয়ে ভাবার সময় এসেছে।
তিনি বলেন, ইউক্রেন এখন যুদ্ধের বিষয়ে যে সিদ্ধান্ত নেবে বাস্তবে তার প্রতিফলন ঘটবে। যুদ্ধে ইউক্রেনের ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে ওয়াশিংটন তাদের পাশে থাকবে।
এদিকে, শুক্রবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ব্যাপক যুদ্ধ সহায়তার পরও কিয়েভের ব্যাপারে পশ্চিমারা হতাশ হয়েছে। তারা পাল্টা হামলা ঠেকাতে ব্যর্থ হয়েছে। ফলে ইউক্রেনের হতাহতের সংখ্যা অনেক বেড়েছে।
চলতি সপ্তাহের শুরুতে পেন্টাগনের শীর্ষ কর্মকর্তারা বলেছিলেন, ইউক্রেনের পাল্টা আক্রমণকে এখনো ব্যর্থ বলার মতো সময় আসেনি। ওয়াশিংটনের ধারণা, অভিযানের ফলে অনেক রক্ত ঝরবে এবং যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হবে।
গত সপ্তাহে নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত দুই সপ্তাহে রুশ হামলার পাল্টা জবাব দিতে গিয়ে ২০ শতাংশ অস্ত্রশস্ত্র হারিয়েছে ইউক্রেন। ফলে ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী ভলোদিমির জেলেনস্কি গোলাবারুদ সংগ্রহের জন্য অভিযান স্থগিত রেখেছেন।
সূত্র : আরটি
মন্তব্য করুন