কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ২০ জানুয়ারি ২০২৫, ০৬:৫৬ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

ধর্ষণের পর নারী চিকিৎসককে হত্যা, ক্ষতিপূরণ নিতে আপত্তি বাবার

আর জি কর হাসপাতালের ঘটনায় বিক্ষোভ। ছবি : সংগৃহীত
আর জি কর হাসপাতালের ঘটনায় বিক্ষোভ। ছবি : সংগৃহীত

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতায় আলোচিত নারী চিকিৎসক মৌমিতা দেবনাথকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় রায় দিয়েছেন আদালত। রায়ে ভুক্তভোাগীর পরিবারকে ১৭ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে এ অর্থ নিতে আপত্তি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীর বাবা।

সোমবার (২০ জানুয়ারি) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিচারক বলেন, নির্যাতিতার পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া রাষ্ট্রের দায়িত্ব। কর্তব্যরত অবস্থায় হত্যাকাণ্ডের শিকার হওয়ায় আদালত ভুক্তভোগীর পরিবারকে ১০ লাখ এবং ধর্ষণের জন্য ৭ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে নির্দেশ দেন।

এদিকে মামলায় দোষীর সর্বোচ্চ শাস্তির আবেদন জানান ওই নারীর আইনজীবী। আদালত শাস্তি ঘোষণার সময়ে তার বাবা বলেন, তিনি এ ক্ষতিপূরণ চান না। তখন বিচারক বলেন, আমিও মনে করি না টাকা দিয়ে এর ক্ষতিপূরণ করা যাবে। আপনি মনে করবেন না টাকা দিয়ে ক্ষতিপূরণ করা হচ্ছে। আমাকে এমনি বলা হলে আমি (আর্থিক সহায়তার নির্দেশ) দিতাম না।

তিনি বলেন, আপনি এটি নিতে চাইছেন না, তা-ও লিখছি। এটি বিধিবদ্ধ নিয়ম।

আনন্দবাজার জানিয়েছে, ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৬৪, ৬৬ এবং ১০৩ (১)— এই ৩টি ধারায় অভিযুক্ত সঞ্জয়কে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে মৃত্যুদণ্ডের আবেদন জানানো হলেও আমৃত্যু কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন বিচারক। এ ছাড়া আদালত তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে পাঁচ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আর কর্মক্ষেত্রে ধর্ষণের জন্য ৭ লাখ এবং হত্যার জন্য ১০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, কলকাতার আরজি কর হাসপাতালে গত ৮ আগস্ট মৌমিতা দেবনাথ নামের এক নারী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যা করা হয়। মৃত ওই চিকিৎসক স্নাতকোত্তর দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। কর্তব্যরত ট্রেইনি চিকিৎসকরা প্রতি রাতে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সেমিনার রুমে বিশ্রাম নেন। সেদিন রাতে ফুড ডেলিভারি সংস্থার কাছ থেকে খাবার আনান চেস্ট মেডিসিন বিভাগের ওই চিকিৎসক। সহযোগী অন্যান্য চিকিৎসকের সঙ্গে খাবার ভাগ করে খান তিনি। সেদিন মধ্যরাতে অলিম্পিকে জ্যাভলিন থ্রোর ফাইনালে নেমেছিলেন ভারতের নিরজ চোপড়া। সেই খেলা চিকিৎসকরা সবাই মিলে দেখেন। রাত প্রায় দেড়টা নাগাদ ইভেন্ট শেষ হয়। এরপর ২টার দিকে ঘুমোতে যান ৩১ বছর বয়সী ওই নারী চিকিৎসক।

পরদিন সকালে সহযোগী এক চিকিৎসক দেখতে পান, সেমিনার রুমে পড়ে রয়েছে চিকিৎসকের মরদেহ। শরীরের নিম্নাঙ্গে কোনো কাপড় নেই। শরীরের ওপরের অংশের পোশাকও ছেঁড়া। পাশে পড়ে রয়েছে তার ভাঙা চশমা। শুক্রবার হাসপাতালেই নিহতের ময়নাতদন্ত হয়। ময়নাতদন্তেই অনুমান করা হয়, ধর্ষণ শেষে খুন করা হয় ওই নারী চিকিৎসককে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

কক্সবাজারে সতর্ক অবস্থানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, ২৮ পয়েন্টে নিরাপত্তা চৌকি

রাজধানীতে থেমে থাকা ট্রেনের বগিতে আগুন

ব্যানারসহ ছাত্রলীগের ৩ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার

যুবককে দুবাই নিয়ে বিক্রি, দুই মানব পাচারকারীর কারাদণ্ড

অস্তিত্ব সংকটে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের সুতিকাগার সলঙ্গা হাট

রূপসা নদীতে নিখোঁজের ৩ দিন পর যুবকের মরদেহ উদ্ধার

ধানমন্ডিতে ৪ ককটেলসহ একজন আটক

বায়রার ফখরুলকে ‎ছেড়ে দেওয়ায় তদন্ত কর্মকর্তাকে আদালতে তলব

ফোন বন্ধের আতঙ্কে বাজারে মন্দাভাব, আন্দোলনে চট্টগ্রামের মোবাইল ব্যবসায়ীরা

ডাকসুতে শেখ হাসিনার আজীবন সদস্যপদ বাতিলের সিদ্ধান্ত

১০

গণমাধ্যমে শেখ হাসিনার সাক্ষাৎকার, ভারতের দূতকে তলব

১১

পুত্রবধূর মারধরে হাসপাতালে ভর্তি বৃদ্ধ শ্বশুর 

১২

দেশ ও জাতীয় স্বার্থে জোটবদ্ধ নির্বাচনের পথও খোলা : আখতার

১৩

অগ্নিসন্ত্রাস ও ককটেল বিস্ফোরণ কারা করে, উদাহরণ দিলেন সোহেল তাজ

১৪

যৌন নিপীড়নে অভিযুক্ত বেরোবি শিক্ষকের শাস্তির দাবি

১৫

সিলেটে বিটিসিএল অফিসে অগ্নিকাণ্ড

১৬

সিনিয়র অ্যাডভোকেট হলেন শিশির মনির ও সাখাওয়াতসহ ১৯ জন

১৭

প্রথম প্রান্তিকে ওয়ালটনের মুনাফায় ৪৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি

১৮

ঢাবিতে ককটেল বিস্ফোরণ

১৯

আওয়ামী লীগের ২৫ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার

২০
X