বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ২০ জানুয়ারি ২০২৫, ০৬:৫৬ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

ধর্ষণের পর নারী চিকিৎসককে হত্যা, ক্ষতিপূরণ নিতে আপত্তি বাবার

আর জি কর হাসপাতালের ঘটনায় বিক্ষোভ। ছবি : সংগৃহীত
আর জি কর হাসপাতালের ঘটনায় বিক্ষোভ। ছবি : সংগৃহীত

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতায় আলোচিত নারী চিকিৎসক মৌমিতা দেবনাথকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় রায় দিয়েছেন আদালত। রায়ে ভুক্তভোাগীর পরিবারকে ১৭ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে এ অর্থ নিতে আপত্তি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীর বাবা।

সোমবার (২০ জানুয়ারি) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিচারক বলেন, নির্যাতিতার পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া রাষ্ট্রের দায়িত্ব। কর্তব্যরত অবস্থায় হত্যাকাণ্ডের শিকার হওয়ায় আদালত ভুক্তভোগীর পরিবারকে ১০ লাখ এবং ধর্ষণের জন্য ৭ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে নির্দেশ দেন।

এদিকে মামলায় দোষীর সর্বোচ্চ শাস্তির আবেদন জানান ওই নারীর আইনজীবী। আদালত শাস্তি ঘোষণার সময়ে তার বাবা বলেন, তিনি এ ক্ষতিপূরণ চান না। তখন বিচারক বলেন, আমিও মনে করি না টাকা দিয়ে এর ক্ষতিপূরণ করা যাবে। আপনি মনে করবেন না টাকা দিয়ে ক্ষতিপূরণ করা হচ্ছে। আমাকে এমনি বলা হলে আমি (আর্থিক সহায়তার নির্দেশ) দিতাম না।

তিনি বলেন, আপনি এটি নিতে চাইছেন না, তা-ও লিখছি। এটি বিধিবদ্ধ নিয়ম।

আনন্দবাজার জানিয়েছে, ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৬৪, ৬৬ এবং ১০৩ (১)— এই ৩টি ধারায় অভিযুক্ত সঞ্জয়কে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে মৃত্যুদণ্ডের আবেদন জানানো হলেও আমৃত্যু কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন বিচারক। এ ছাড়া আদালত তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে পাঁচ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আর কর্মক্ষেত্রে ধর্ষণের জন্য ৭ লাখ এবং হত্যার জন্য ১০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, কলকাতার আরজি কর হাসপাতালে গত ৮ আগস্ট মৌমিতা দেবনাথ নামের এক নারী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যা করা হয়। মৃত ওই চিকিৎসক স্নাতকোত্তর দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। কর্তব্যরত ট্রেইনি চিকিৎসকরা প্রতি রাতে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সেমিনার রুমে বিশ্রাম নেন। সেদিন রাতে ফুড ডেলিভারি সংস্থার কাছ থেকে খাবার আনান চেস্ট মেডিসিন বিভাগের ওই চিকিৎসক। সহযোগী অন্যান্য চিকিৎসকের সঙ্গে খাবার ভাগ করে খান তিনি। সেদিন মধ্যরাতে অলিম্পিকে জ্যাভলিন থ্রোর ফাইনালে নেমেছিলেন ভারতের নিরজ চোপড়া। সেই খেলা চিকিৎসকরা সবাই মিলে দেখেন। রাত প্রায় দেড়টা নাগাদ ইভেন্ট শেষ হয়। এরপর ২টার দিকে ঘুমোতে যান ৩১ বছর বয়সী ওই নারী চিকিৎসক।

পরদিন সকালে সহযোগী এক চিকিৎসক দেখতে পান, সেমিনার রুমে পড়ে রয়েছে চিকিৎসকের মরদেহ। শরীরের নিম্নাঙ্গে কোনো কাপড় নেই। শরীরের ওপরের অংশের পোশাকও ছেঁড়া। পাশে পড়ে রয়েছে তার ভাঙা চশমা। শুক্রবার হাসপাতালেই নিহতের ময়নাতদন্ত হয়। ময়নাতদন্তেই অনুমান করা হয়, ধর্ষণ শেষে খুন করা হয় ওই নারী চিকিৎসককে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

মহিপুরে ছাত্রদল নেতার ওপর হামলার অভিযোগ

৩৫ ফুট গর্তে একাধিকবার পাঠানো হলো ক্যামেরা, দেখা যায়নি শিশুটিকে

তারেক রহমান কবে ফিরবেন জানালেন ইশরাক

জেলা ছাত্রদল সভাপতির ওপর হামলা

যেভাবে গভীর গর্তে পড়েছিল শিশুটি, জানালেন মা

২৬ টন পলিথিন জব্দ, ৩ জনের কারাদণ্ড

পুরোনো ফোন আমদানি নিয়ে সিদ্ধান্ত দিল সরকার

লোকসান পুষিয়ে নিতে আগাম আলু চাষে ব্যস্ত কৃষকরা

নির্বাচন নিয়ে ন্যূনতম সংশয় সৃষ্টির কোনো অবকাশ নেই : উপদেষ্টা সাখাওয়াত

আবার পিছিয়ে গেল ব্রাকসু নির্বাচন

১০

রাশেদ খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব দলের আরেক নেতার

১১

জামায়াত কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা

১২

এন‌ইআইআর চালু হচ্ছে ১৬ ডিসেম্বর, ফোন নিবন্ধন চলবে মার্চ পর্যন্ত

১৩

ডাকসুর সভায় গুম-খুন বন্ধে জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণ ও জাতীয় ঐক্যের দাবি

১৪

২০২৬ বিশ্বকাপ পর্যন্ত নেইমারকে ধরে রাখতে আত্মবিশ্বাসী সান্তোস

১৫

আবারও হাফেজ আনাসের বিশ্বজয়

১৬

ধানের শীষ বিজয়ী হলে দেশ রক্ষা পাবে : তারেক রহমান

১৭

সাতক্ষীরায় ৮ বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ

১৮

পাশাপাশি ২ ভবন ধসে নিহত ১৯

১৯

১৪০ আসনে প্রার্থী দিল এনপিপি

২০
X