বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তরের তৃতীয় সিমেস্টার পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। দেখা গেল, একজন শিক্ষার্থী ১০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষায় পেয়েছেন ২৫০। আর ৩০ নম্বর প্র্যাক্টিক্যাল পরীক্ষায় পেয়েছেন ২২৫।
অবাক করা এমনই ঘটনা ঘটেছে ভারতের বিহারের মুজফ্ফরপুরের বাবাসাহেব অম্বেডকর বিশ্ববিদ্যালয়ে। এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার শুক্রবার (৪ জুলাই) এক প্রতিবেদনে জানায়, সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়টিতে স্নাতকোত্তরের তৃতীয় সিমেস্টারের পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর থেকেই ঘটনাটি প্রকাশ্যে এলে হৈচৈ পড়ে যায়।
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। কেন এই ধরনের ফলাফল, তা নিয়ে তদন্তের দাবি তুলেছেন তারা। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ৯০০০ জন পরীক্ষা দিয়েছেন। তার মধ্যে ৮০০০ জন পাস করেছেন। আরও অনেকের ফলে গন্ডগোল রয়েছে। কখনও কখনও অভ্যন্তরীণ মূল্যায়নের নম্বর পরীক্ষার ফলের সঙ্গে যোগ করে না বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এতে অনেক শিক্ষার্থী হয়রানির শিকার হন।
হিন্দি, ইংরেজি ও বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বার বার একই ধরনের ভুল করছে। কাউকে অতিরিক্ত নম্বর দিচ্ছে। আবার কাউকে ১-২ নম্বরের জন্য ফেল করিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তারা এর সুরাহা দাবি করেন।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ওই শিক্ষার্থী ১০০-র মধ্যে ২৫৭ নম্বর পেলেও তাকে পাস করানো হয়নি। প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনে তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। ওই শিক্ষার্থীর মার্কশিট স্থগিত রেখেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
কী ভাবে সর্বমোট নম্বর থেকে প্রাপ্ত নম্বর বেশি হলো এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক রাম কুমার বলেন, ‘আমরা জানতে পেরেছি- এক পরীক্ষার্থীকে সর্বমোট নম্বরের থেকে প্রাপ্ত নম্বর বেশি দেওয়া হয়েছে। কীভাবে এটা হলো, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
প্রাথমিক অনুমানের ভিত্তিতে তিনি আরও জানান, এক্সেল শিটে নম্বর বসানোর সময় কিছু ত্রুটি হতে পারে। তার জেরেই এই ঘটনা। তবে আগামী দিনে যাতে এমন ঘটনা না ঘটে তা নজর রাখা হবে। নম্বরের ভুল সংশোধন করে তাকে নতুন মার্কশিট দেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন