কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০৩ আগস্ট ২০২৪, ০৯:২৭ এএম
অনলাইন সংস্করণ

গাজা যুদ্ধে সুবিধা আদায়ের চেষ্টায় কয়েকটি আরব দেশ

গ্রাফিক্স : কালবেলা
গ্রাফিক্স : কালবেলা

গাজা যুদ্ধের উত্তাপ ছড়িয়ে পড়েছে পুরো মধ্যপ্রাচ্যে। কিন্তু তাদের ঘরেও আগুন লাগুক তা চাইছে না কয়েকটি আরব দেশ। আর তাই যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে গাজা উপত্যকায় শান্তিরক্ষী বাহিনী পাঠাতে চায় তারা। তবে এর মধ্যে এমন দেশও রয়েছে, যারা গাজা যুদ্ধকে নিজেদের ফায়দায় কাজে চালাতে চাইছে।

সৌদি আরবের ঘনিষ্ঠ কয়েকটি দেশ নিজেদের স্বার্থ আদায়ে, এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দর কষাকষি শুরু করেছে। গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতির পর উপত্যকার শাসনভার কার হাতে উঠবে তা নিয়ে এরই মধ্যে আলোচনায় বসেছে দেশগুলো।

আর সেই আলোচনা নেতৃত্ব দিচ্ছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। গত সপ্তাহে তারা আবারও গাজায় শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েনের আহ্বান জানিয়েছে, যা এক মাসের মধ্যে দ্বিতীয়বার এ ধরনের আহ্বান। ইসরায়েলের ইচ্ছা তারা গাজায় নিজেদের লোক বসাবে। কিন্তু গেল মে মাসের, তাদের সেই প্রচেষ্টা পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায় আমিরাত।

মার্কিন একজন কর্মকর্তা মিডল ইস্ট আইকে জানিয়েছেন, ইরানের চরম শত্রু বাহরাইন অনেকটা গোপনে এই শান্তিরক্ষী মিশনের অংশ হওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে।

বলা হচ্ছে, গাজায় যদি উপসাগরীয় দেশের সামরিক কর্মকর্তা পা রাখেন, তাহলে এটা এই সুগভীর একটি পরিবর্তন হিসেবে বিবেচিত হবে। কেননা, এসব দেশ এতদিন ধরে গাজাকে বাদ দিয়ে লিবিয়া, সিরিয়া ও ইয়েমেনের মতো দেশগুলোতে নিজেদের নজর সরিয়ে রেখেছিল।

কিন্তু গেল ৭ অক্টোবর মধ্যপ্রাচ্যের দৃশ্যপট পাল্টে যায়। মধ্যপ্রাচ্যের নজর এখন গাজায়। আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকদের মতে, ফিলিস্তিন রাষ্ট্র কীভাবে পরিচালিত হবে, তা নিয়ে শুরুতে মাথাব্যথা ছিল না সৌদি আরবের। তবে এখন সেই অবস্থানে পরিবর্তন হয়েছে তাদের।

এখন এ নিয়ে সৌদি আরবের আগ্রহ তৈরি হয়েছে। আবার যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের সঙ্গে নিজেদের ঘনিষ্ঠতা বোঝাতে দেশ দুটির সঙ্গে গভীরভাবে কাজ করছে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইন। যদিও এই মুহূর্তে তাদের ভূমিকা খুবই সামান্য।

গাজা যুদ্ধের মধ্যে ফায়দা লুটতে মুখিয়ে আছে কয়েক আরব দেশ। এর মধ্যে আমিরাত চাইছে তাদের দেশে থাকা আল দাফরা বিমানঘাঁটি আরও উন্নয়ন করুক যুক্তরাষ্ট্র। কাতারও এমনই কিছু চাইছে। দেশটি চাইছে হামাস ও ইসরায়েলের সঙ্গে মধ্যস্থতার পুরস্কারস্বরূপ আল-উদেইদ ঘাঁটিতে মার্কিন সামরিক বাহিনীর উপস্থিতি আরও ১০ বছর বাড়ানো হোক।

আবার আব্রাহম অ্যাকর্ড থেকে কিছুই পায়নি বাহরাইন। আমিরাতও এফ-35 যুদ্ধবিমান পায়নি। তাই জোর দরকষাকষি চালাচ্ছে তারাও।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সরকার কড়াইলের বাসিন্দাদের নাগরিক অধিকারের তোয়াক্কা করছে না : সাকি

কক্সবাজারে ৪.৯ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত

তারেক রহমানের দেশে ফেরা নিয়ে তথ্য দিলেন সালাহউদ্দিন

পরিবারকল্যাণ কর্মীদের ১০ দিনের কর্মবিরতি ঘোষণা

খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া ও সদকায়ে জারিয়া

শেবাচিম হাসপাতালে চালু হলো মৃগী রোগীদের ইইজি পরীক্ষা

রাষ্ট্রের অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা যেসব সুবিধা পান

মশা নিধনে আমেরিকান প্রযুক্তির বিটিআই ব্যবহার শুরু করল চসিক

ববি শিক্ষার্থীকে রাতভর র‌্যাগিংয়ের ঘটনায় তদন্ত কমিটি

এনসিপির কমিটি নিয়ে বিরোধ তুঙ্গে, সাংবাদিকদের হেনস্তা-তালাবদ্ধ করার হুমকি

১০

খালেদা জিয়ার অসুস্থতার জন্য আ.লীগ সরকার দায়ী : মুশফিকুর রহমান

১১

আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ছুটি চাইলেন বার্সা ডিফেন্ডার

১২

খালেদা জিয়াকে সহায়তা দিতে প্রস্তুত ভারত : মোদি

১৩

বন্ধুকে কুপিয়ে হত্যার কারণ জানালেন অস্ত্র হাতে থানায় যাওয়া যুবক

১৪

প্রাইভেটকারচাপায় প্রাণ গেল সাবেক ইউপি সদস্যের

১৫

খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে গভীর উদ্বেগ নরেন্দ্র মোদির

১৬

আরব আমিরাতে অনলাইনে ভোটার নিবন্ধন শুরু, প্রবাসীদের উচ্ছ্বাস

১৭

টিউলিপ সিদ্দিকের রায় নিয়ে যা বলছে লেবার পার্টি

১৮

সিলেট নয় ঢাকাতেই শুরু হবে বিপিএল

১৯

খালেদা জিয়ার জানের সাদকা হিসেবে ছাগল দান বিএনপি নেতা আজাদের

২০
X