কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ০৫:৪৪ পিএম
আপডেট : ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ০৫:৫৭ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

বাড়ির পথে হাজার হাজার বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি

বাড়ির পথে যাত্রা শুরু করেছেন বাস্তুচ্যুত গাজাবাসী। ছবি : সংগৃহীত
বাড়ির পথে যাত্রা শুরু করেছেন বাস্তুচ্যুত গাজাবাসী। ছবি : সংগৃহীত

হাজার হাজার বাস্তুচ্যুত গাজাবাসী তাদের বাড়ির পথে যাত্রা শুরু করেছেন। বিবিসির প্রকাশিত কিছু ছবিতে দেখা যায়, পোশাক এবং অন্যান্য জিনিসপত্র বহনকারী মানুষের দীর্ঘ লাইন রাস্তা ধরে এগিয়ে যাচ্ছে। রোববার (১৯ জানুয়ারি) বেলা সোয়া ১১টায় ইসরায়েলের পক্ষ থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকরের ঘোষণার পর বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন গাজার মানুষ।

বাড়ির পথে পোশাক এবং অন্যান্য জিনিসপত্র বহনকারী মানুষের দীর্ঘ লাইন। ছবি : বিবিসি

প্রকাশিত ছবিতে গাড়ির একটি বহরও দেখা যাচ্ছে, গাড়িগুলো লোকজনে ভরা। কিছু গাড়িতে তরুণ ও যুবকদের আনন্দে স্লোগান দিতে দেখা যাচ্ছে। কোনো কোনো গাড়িতে ফিলিস্তিনি পতাকা হাতে ধরে রেখেছেন বাড়ি ফিরতে যাওয়া মানুষজন।

গাড়ির বহরে বাড়ির পথে গাজার বাস্তুচ্যুত মানুষ। ছবি : বিবিসি

গতকাল শনিবার গাজায় যুদ্ধবিরতির চুক্তি অনুমোদন দেয় ইসরায়েলের মন্ত্রিসভা। চুক্তি অনুযায়ী আজ রোববার সকাল থেকে যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে গাজায় দীর্ঘ ১৫ মাস ধরে চলা রক্তক্ষয়ের অবসান হওয়ার পথ খুলছে বলে আশা করা হচ্ছে। তিন ধাপে কার্যকর করার কথা রয়েছে এ চুক্তি। এর মধ্যে প্রথম ধাপ হবে ৪২ দিনের।

ছবি : বিবিসি

গাজার এই যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুযায়ী, প্রথম ধাপে, তিনজন ইসরায়েলি জিম্মির মুক্তির বিনিময়ে ৭৩৭ জন ফিলিস্তিনি বন্দি মুক্তি পাবে, যাদের বেশিরভাগই ইসরায়েলের কারাগারে বন্দি ছিলেন।

ছবি : বিবিসি

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের নেতৃত্বে ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে ২৫১ জনকে জিম্মি করা হয়েছিল। যুদ্ধবিরতির চুক্তির আওতায় প্রথম পর্যায়ে ৩৩ জন ইসরায়েলি জিম্মি মুক্তি পাবেন।

এদিকে এই যুদ্ধবিরতির চুক্তি কাতার, যুক্তরাষ্ট্র ও মিসরের মধ্যস্থতায় সম্পাদিত হয়েছে। গত ১৫ মাসের যুদ্ধের পর গাজায় প্রায় ৪৭ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সাবেক সিইসি রউফের মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক

এই উদ্বেগ-আতংকের শেষ কোথায়

হিজল গাছে ঝুলছিল কিশোরের মরদেহ  

জুলাই আন্দোলনের ছবি-ভিডিও চেয়েছে পুলিশ

ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের বাড়িটি অভিশপ্ত : জয়নুল আবদিন ফারুক

মাদ্রিদ ডার্বিতে ভিএআরের বিতর্কিত সিদ্ধান্তে চটলেন আনচেলত্তি

অবিলম্বে ভ্যাট অব্যাহতি পুনর্বহালের দাবি প্লাস্টিক জুতা তৈরি সমিতির

আবারও দুদিনের রিমান্ডে নদভী

ঝুঁকি নিয়ে জরাজীর্ণ সেতুতে চলাচল ৭ গ্রামবাসীর

ইউক্রেন যুদ্ধের তিন বছর শেষ হতে চলল, কী করছেন ট্রাম্প

১০

অপারেশন ডেভিল হান্ট / গাজীপুরে আ.লীগের ৬৫ নেতাকর্মী আটক

১১

গলে দ্বিতীয় টেস্টেও অজি দাপট, লঙ্কানরা ধবলধোলাই

১২

নির্বাচন কমিশন কোনো রাজনৈতিক দলের পক্ষে দাঁড়াতে চায় না : সিইসি

১৩

‘ডি’ ইউনিট দিয়ে জাবিতে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত

১৪

চীনা রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বিএনপির দুই নেতার সাক্ষাৎ

১৫

শেখ হাসিনা ভারতে বসে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে : মেজর হাফিজ

১৬

দুর্ঘটনায় চিকিৎসক অর্ঘ্যের মৃত্যুর পর চলে গেলেন তার বাগ্‌দত্তাও

১৭

আ.লীগ নেতা গ্রেপ্তারের খবরে মিষ্টি বিতরণ

১৮

কাতারে প্রবাসীদের জন্য সুখবর

১৯

লকার অভিযানে বাংলাদেশ ব্যাংকে দুদকের ৮ সদস্যের টিম

২০
X