ইসরায়েলের একাধিক সতর্কতা উপেক্ষা করে গাজা উপকূলের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’ আন্তর্জাতিক নৌবহর। ইসরায়েলি অবরোধ ভাঙার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে নৌবহরটি।
বুধবার (১ অক্টোবর) বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, এই বহরে ৪০টিরও বেশি বেসামরিক নৌযান রয়েছে। যেখানে প্রায় ৫০০ জন রয়েছেন—তাদের মধ্যে আছেন সংসদ সদস্য, আইনজীবী, অধিকারকর্মী এবং সুইডিশ জলবায়ু কর্মী গ্রেটা থানবার্গ। এ বহরে বাংলাদেশ থেকে অংশ নিয়েছেন আলোকচিত্রী শহিদুল আলম। তিনি মঙ্গলবার ইতালির একটি বন্দর থেকে ফ্লোটিলার প্রধান নৌযান কনশানসে ওঠেন।
নৌবহরটি এখন গাজার উপকূল থেকে মাত্র ৯০ নটিক্যাল মাইলের মধ্যে অবস্থান করছে। এটি এমন এক অঞ্চলে প্রবেশ করেছে যেখানে ইসরায়েলের নিরাপত্তা বাহিনীর জাহাজ টহল দিচ্ছে। সেখানে যে কোনো নৌযান প্রবেশ করলেই আটকে দেওয়া হচ্ছে।
নৌবহরের একটি জাহাজ থেকে লাইভ ভিডিও প্রচার করা হচ্ছে। এতে দেখা গেছে, যাত্রীরা ডেকে লাইফ ভেস্ট পরে বসে আছেন। তবে এখনো স্পষ্ট নয় যে সব জাহাজকে আটকে দেওয়া হয়েছে কি না।
তবে কয়েকজন যাত্রী জানিয়েছেন, ইসরায়েলি হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করে তাদের জাহাজ এখনো গন্তব্যের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এক বিবৃতিতে তারা বলেন, আমরা ইসরায়েলের অবৈধ অবরোধ ও হুমকিতে ভীত নই।
এদিকে সুমুদ ফ্লোটিলার একটি জাহাজকে আটক করেছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। নৌবহরে অবস্থানরত মিশনের আয়োজকরা এ দাবি করেছেন বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজার যুদ্ধবিধ্বস্ত উপকূলীয় এলাকায় পৌঁছানোর আগেই নৌবহরের ওপর অভিযান চালানো হয়।
নৌবহরের আরোহীরা জানান, প্রায় ২০টি অজ্ঞাত জলযানকে তাদের দিকে এগিয়ে আসতে দেখা যায়। এ সময় যাত্রীরা লাইফ জ্যাকেট পরিধান করে সম্ভাব্য দখলের জন্য প্রস্তুতি নেন।
নৌবহরটির আয়োজকেরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ (সাবেক টুইটার) একটি পোস্টে বলেন, ‘আমাদের জাহাজগুলোকে অবৈধভাবে আটকানো হয়েছে। ক্যামেরাগুলো এখন বন্ধ এবং জাহাজগুলোতে সামরিক সদস্যরা প্রবেশ করেছে। আমরা জাহাজে থাকা যাত্রীদের নিরাপত্তা ও বর্তমান অবস্থা নিশ্চিত করার জন্য নিরলসভাবে কাজ করছি।’
মন্তব্য করুন