গাজার উদ্দেশ্যে যাওয়া ‘সুমুদ ফ্লোটিলা’ আটক ও শতাধিক অধিকারকর্মী গ্রেপ্তারের ঘটনায় বিশ্বজুড়ে তীব্র প্রতিবাদ ছড়িয়ে পড়েছে। স্পেন থেকে ইতালি, লন্ডন থেকে ওয়াশিংটন—বিভিন্ন শহরে হাজারো মানুষ রাস্তায় নেমে ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি জানাচ্ছে এবং আটক কর্মীদের মুক্তির দাবি তুলছে।
ইসরায়েলি বাহিনী ১-২ অক্টোবরের মধ্যে গাজা উপকূলের কাছাকাছি আন্তর্জাতিক জলসীমায় ফ্লোটিলার বেশ কয়েকটি নৌযান আটকে দেয়। অন্তত ২৫০ জনকে আশদোদ বন্দরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, যাদের মধ্যে সুইডিশ জলবায়ু আন্দোলনকারী গ্রেটা থুনবার্গও রয়েছেন।
স্পেনে হাজারো শিক্ষার্থী ফিলিস্তিনি পতাকা হাতে নিয়ে বিক্ষোভ করেন এবং ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থগিতের আহ্বান জানান। ইতালির রোম, মিলান, নেপলস, তুরিন ও জেনোয়া শহরে একই দাবিতে গণসমাবেশ হয়। দেশটির শ্রমিক ইউনিয়নগুলো শুক্রবার সারা দেশে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে।
লন্ডনে সংসদ ভবন থেকে ডাউনিং স্ট্রিট পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। অংশগ্রহণকারীরা ইসরায়েলি হামলায় নিহত শিশুদের ছবি বহন করে অবরোধ প্রত্যাহারের দাবি জানান। যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সামনে সমাবেশে কর্মীরা ফ্লোটিলায় থাকা মার্কিন নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি করেন। তাদের মধ্যে পাঁচজন সাবেক সেনা ও এক ন্যাশনাল গার্ড সদস্য আছেন।
অধিকৃত পশ্চিম তীরের রামাল্লাতেও বিক্ষোভ হয়েছে। শহরের কেন্দ্র দিয়ে মিছিল করে ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়ানোর অঙ্গীকার জানায় স্থানীয়রা।
গাজা অবরোধ ভাঙতে আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টার সমন্বয়কারী সংগঠন ‘ইন্টারন্যাশনাল কমিটি টু ব্রেক দ্য সিজ’–এর প্রধান জাহির বিরাওয়ি শাফাক নিউজকে বলেন, বিশ্বব্যাপী এসব বিক্ষোভ ইসরায়েলি অবরোধের বিরুদ্ধে গণভোটের সমান। তিনি জানান, গাজার উদ্দেশে আরেকটি ফ্লোটিলা যাত্রা করছে, যা ধারাবাহিক ‘ফ্রিডম ওয়েভস’ কর্মসূচির অংশ।
মন্তব্য করুন