হামাস-ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতি আরও দুই দিনের জন্য বাড়ানো হয়েছে। এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে যুদ্ধবিরতি বাড়ানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে কাতার। খবর আলজাজিরার।
কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, গাজা উপত্যকায় আরও দুই দিনের জন্য যুদ্ধবিরতি বাড়ানো হয়েছে। একই শর্ত অনুসারে অস্থায়ী মানবিক এ যুদ্ধবিরতি বাড়ানো হয়েছে। ইসরায়েল এবং হামাসের সাথে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করেছে কাতার এবং মিসর।
হামাস-ইসরায়েলের চার দিনের যুদ্ধবিরতির শেষ দিন ছিল আজ। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার ভোরে শেষ হওয়ার কথা ছিল যুদ্ধবিরতির মেয়াদ। নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার আগেই নতুন করে যুদ্ধবিরতির সময় আরও ২ দিন বাড়ানো হলো।
এর আগে, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু রোববার জানিয়েছিলেন, উপত্যকায় যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়াতে তার প্রশাসনের কোনো আপত্তি নেই। তবে, এ জন্য শর্ত বেঁধে দিয়েছেন তিনি। তিনি জানান, এক দিন মেয়াদ বাড়াতে ১০ ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দিতে হবে।
এদিকে, যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ানোর ওপর জোর দিয়ে আসছে- কাতার, মিসর, যুক্তরাষ্ট্র, স্পেন এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন। অন্যদিকে, স্থায়ী যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে হামাসের ঘনিষ্ঠ মিত্র ইরান।
সোমবার (২৭ নভেম্বর) দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের কানানি এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ইরানের প্রত্যাশা গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন স্থায়ীভাবে বন্ধ হবে। তেলআবিব উপত্যকাটিতে যা করছে তাকে ঘৃণিত যুদ্ধাপরাধ বলেও আখ্যা দেন এই মুখপাত্র।
ইসরায়েলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে জিম্মিদের উদ্ধার করে গাজায় আবারও হামলা শুরু করবে তারা। এতে সর্বনিম্ন এক থেকে দশ সপ্তাহ পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, গাজায় তারা যে অভিযান শুরু করেছেন, তা কেবল হামাসকে নির্মূলের মাধ্যমে শেষ হবে।
তবে ফিলিস্তিনিদের জন্য জাতিসংঘের ত্রাণ সংস্থা- ইউএনআরডব্লিউ বলছে, ইসরায়েল হামাসকে নির্মূলের জন্য দক্ষিণ গাজাতে হামলা শুরু করলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হবে।
মন্তব্য করুন