ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীকে হুমকি দিয়েছে ইসরায়েল। দেশটির প্রতিরক্ষা বাহিনী আইডিএফ হামাসের সেজায়া ব্যাটালিয়নকে এ হুমকি দেয়। রোববার (৩ ডিসেম্বর) আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আইডিএফ আরবি ভাষার মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল আভিচায় আদ্রে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স বার্তায় এ হুমকি দেন। হুমকির ওই বার্তায় আইডিএফ মুখপাত্র বলেন, এটা চূড়ান্ত নোটিশ। তোমরা সবাই টার্গেটে রয়েছ।
আভিচায় আদ্রে এক্সের এ হুমকিতে সেজায়া ব্যাটালিয়নের কমান্ডারদের একটি তালিকা যুক্ত করে দিয়েছেন। তালিকায় সেসব কমান্ডারদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে- যারা গাজার আশপাশে এসব নামে অভিযান পরিচালনা করছেন।
#عاجل هذا البلاغ موجه لقادة كتيبة الشجاعية في حماس: اعتبِروا هذا الإشعار إشعارًا أخيراً. إنكم جميعًا مستهدَفون. جيش الدفاع سيعمل بقوة شديدة للغاية في الحي من أجل تفكيك البنى التحتية الحمساوية الارهابية. أمامكم خياران: ⭕الاستسلام ووضع أسلحتكم ⭕البقاء ومواجهة مصير مشابه لذلك pic.twitter.com/MifzrLQOXS — افيخاي ادرعي (@AvichayAdraee) December 3, 2023
আইডিএফ জানিয়েছে, তারা এসব এলাকায় হামাসের অবকাঠামো ধ্বংস করার জন্য কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
হুমকি দিয়ে আইডিএফ মুখপাত্র বলেন, তোমাদের হাতে দুটি অপশন রয়েছে। একটি হলো হয় আত্মসমর্পণ করো আর না হয় তোমরা এমন ভাগ্য বরণ করো যেমন ভাগ্য হয়েছিল ওয়াসিম ফরহাতের। আদ্রের দাবি, ওয়াসিম হামাসের সেজায়া ব্যাটালিয়নের কমান্ডার। তিনি গতকাল ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত হয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনে হামলা শুরু করে ইসরায়েল। ইসরায়েলের এ হামলায় নিহতের সংখ্যা ১৫ হাজার ছাড়িয়েছে। ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এ পর্যন্ত ইসরায়েলি হামলায় ১৫ হাজার ২০৭ জন নিহত হয়েছেন। এ সময়ে আহত হয়েছেন আরও ৪০ হাজার ৬৫২।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, ইসরায়েলের আগ্রাসনের শিকার ফিলিস্তিনিদের ৭০ শতাংশ শিশু ও নারী। তারা আরও জানায়, সংঘাতের শুরুর পর থেকে গাজা উপত্যকার বিভিন্ন এলাকায় ২৮০ জন স্বাস্থ্যকর্মী নিহত হয়েছেন।
ডিসেম্বরে প্রথম সকালে, ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী হামাসকে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের জন্য অভিযুক্ত করে এবং অবরুদ্ধ গাজা উপত্যাকায় আবার শত্রুতা শুরু করার ঘোষণা দেয়।
এদিকে ইসরায়েল ও হামাসের যুদ্ধ শেষে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার ভেতরে একটি বাফার জোন তৈরি করতে চায় ইসরায়েল। এরই মধ্যে যুদ্ধ-পরবর্তী এই পরিকল্পনার কথা বেশ কয়েকটি আরব দেশকে জানিয়ে দিয়েছে তেলআবিব। গত শুক্রবার মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক বেশ কয়েকটি সূত্রের বরাতে এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
তিনটি আঞ্চলিক সূত্রের বরাতে রয়টার্স বলেছে, মিসর, জর্ডান ও সংযুক্ত আরব আমিরাতকে গাজায় বাফার জোন তৈরি করার পরিকল্পনার কথা অবহিত করেছে ইসরায়েল। সৌদি আরব ও তুরস্কও এ বিষয়ে অবহিত করা হয়েছে। মিসর, জর্ডান, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও তুরস্কের সঙ্গে ইসরায়েলর কূটনৈতিক সম্পর্ক থাকলেও সৌদি আরবের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই তেল আবিবের।
মন্তব্য করুন