কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৩:০২ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

গাজায় যুদ্ধে গিয়ে দৃষ্টিশক্তি হারাচ্ছে ইসরায়েলি সেনারা

ইসরায়েলি সেনা। ছবি : সংগৃহীত
ইসরায়েলি সেনা। ছবি : সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় যুদ্ধটা শুধু হামাস নয় ইসরায়েলি সেনাদের জন্যও কঠিন হয়ে উঠছে। বর্তমানে গাজার খান ইউনিস এলাকায় ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী ও হামাসের সামরিক শাখা আল-কাসেম ব্রিগেড যোদ্ধাদের মধ্যে তুমুল লড়াই চলছে। গাজায় স্থল অভিযান শুরুর পর থেকে ৮৭ জন সেনা হারিয়েছে নেতানিয়াহু বাহিনী। এমন পরিস্থিতির মধ্যে জানা গেল আরেকটি গুরুতর সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে তারা। এই সমস্যার কারণে যুদ্ধক্ষেত্রে শত শত ইসরায়েলি সেনা তাদের চোখে আঘাত পেয়েছেন। এমনকি তাদের অনেকে দৃষ্টিশক্তি পর্যন্ত হারিয়ে ফেলছেন।

ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম কানের বরাতে জেরুজালেম পোস্টের খবরে বলা হয়েছে, অধিকাংশ আইডিএফ সেনা যুদ্ধের সময় অবশ্যক চক্ষু সুরক্ষা সরঞ্জাম না পরায় তাদের চোখে আঘাত পেয়েছেন। তাদের বেশিরভাগ বুলেটের শ্রাপনেল ও রিকোয়েলের কারণে চোখে আঘাত পেয়েছেন। এ ছাড়া কয়েক জন ইসরায়েলি সেনা সরাসরি হামাসের হামলার কারণেও চোখে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন। আঘাতপ্রাপ্ত সেনাদের ১০ থেকে ১৫ শতাংশ তাদের একটি বা দুটি চোখের দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে ফেলেছেন।

কানের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, গত ৭ অক্টোবর থেকে চোখে আঘাত পেয়ে প্রায় ৪০ জন ইসরায়েলি সেনা বেয়ারশেবার সোরোকা মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। চলতি সপ্তাহের শুরুতে গুরুতর আহত অবস্থায় আরও পাঁচজনকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় এই পাঁচজনের মধ্যে দুজনের অস্ত্রোপচার হয়েছে।

গত মাসে ইসরায়েলি সেনাদের মধ্যে যুদ্ধক্ষেত্রে প্রতিরক্ষামূলক চশমা পরার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে সোরোকার চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞরা একটি ছোট ভিডিও তৈরি করেছিলেন বলে জানিয়েছিল জেরুজালেম পোস্ট।

কানের এই প্রতিবেদনের প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েলি সেনবাহিনী জানিয়েছে, তাদের চক্ষু সুরক্ষা সরঞ্জামের কোনো অভাব নেই। এমন ঘটনা যেন আর ঘটে তার চেষ্টা করছে আইডিএফ। সেনাদের সামনে নিয়মিত চক্ষু সুরক্ষা সরঞ্জাম পরার গুরুত্ব তুলে ধরা হচ্ছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

ঘটনাপ্রবাহ: ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংঘাত
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

মাঝ আকাশে জ্ঞান হারালেন নীলম কোঠারি

‘সাংবাদিক’ পরিচয়ে চাঁদা দাবি, হাতেনাতে গ্রেপ্তার ১

দেশে মানবাধিকারের ৩ সংকট

একটি ফোনকলেই থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়ার যুদ্ধ থামানো সম্ভব : ট্রাম্প

আগামী নির্বাচনকে ঐতিহাসিক ও স্মরণীয় করে রাখতে হবে : প্রধান উপদেষ্টা

সিআইডির ট্রেনিং সেন্টারে মিলল এসআইয়ের ঝুলন্ত মরদেহ

এনসিপির ১২৫ প্রার্থীর মধ্যে নারী ১৪ জন

এফডিসিতে আর শুটিং হবে না, গবেষণা হবে : তথ্য উপদেষ্টা

বিদেশি গবেষকদের টানতে বিশাল পরিকল্পনা কানাডার

জনগণ ভ্যাট দিলেও সরকার অনেক সময় পায় না : অর্থ উপদেষ্টা 

১০

বিপিএল মাতাতে ৯ ক্রিকেটারকে অনুমতি দিল পাকিস্তান

১১

পুকুরে ডুবে প্রাণ গেল মামা-ভাগনের

১২

বানিয়ে ফেলুন শীতের সন্ধ্যায় মুখরোচক মুলার পাকোড়া

১৩

‘সিট নিশ্চিত করতে চাইলে, আগেই জোটের সঙ্গে চলে যেতাম’

১৪

তাপমাত্রা কমবে না বাড়বে, জানাল আবহাওয়া অফিস

১৫

সন্ত্রাস দমনে যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১৬

ফ্ল্যাটে ঢুকে মা-মেয়েকে হত্যা করা সেই আয়েশাকে যেভাবে গ্রেপ্তার করা হয়

১৭

এনসিপির প্রাথমিক প্রার্থী তালিকায় নাম নেই সেই রিকশাচালকের

১৮

মতিঝিলে চোর সন্দেহে অজ্ঞাত ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা

১৯

ঢাকা-১৭ / পার্থর সঙ্গে লড়বেন তাসনূভা জাবীন

২০
X