কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০১ জানুয়ারি ২০২৪, ০৪:১৪ পিএম
আপডেট : ০১ জানুয়ারি ২০২৪, ০৪:৩৪ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

নতুন বছরে ফিরবে শান্তি, প্রত্যাশা গাজাবাসীর

ইসরায়েলি হামলা থেকে বাঁচতে রাফাহ শহরে আশ্রয় নিয়েছেন ফিলিস্তিনিরা। ছবি : সংগৃহীত
ইসরায়েলি হামলা থেকে বাঁচতে রাফাহ শহরে আশ্রয় নিয়েছেন ফিলিস্তিনিরা। ছবি : সংগৃহীত

প্রায় তিন মাস ধরে গাজা উপত্যকায় হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। ইসরায়েলি হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় ২২ হাজার ফিলিস্তিনি। আহত হয়েছেন আরও ৫৬ হাজার মানুষ। ঘরবাড়ি ছাড়া হয়েছেন গাজার অধিকাংশ ফিলিস্তিনি। তিন মাস হলেও যুদ্ধ থামার দৃশ্যমান কোনো লক্ষণ নেই। তবে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মানুষের মতো গাজাবাসীও নতুন আশায় নববর্ষ বরণ করেছেন। তাদের প্রতাশ্যা একটাই—নতুন বছরে ফিলিস্তিনে শান্তি ফিরবে। পরিবার সঙ্গে নিয়ে নিরাপদে বসবাস করতে পারবেন। খবর রয়টার্সের।

দক্ষিণ গাজার খান ইউনিস শহরের বাসিন্দা আবু আবদুল্লাহ আল-আঘা। ইসরায়েলি বিমান হামলায় তার তরুণ ভাতিজি ও ভাতিজার প্রাণ গেছে। বাড়িঘরও মাটির সঙ্গে মিশে গেছে মধ্য বয়সী আবদুল্লাহর। তিনি বলেন, ২০২৪ সালে আমি আমার বাড়ির ধ্বংসাবশেষে ফিরতে চাই। সেখানে একটা তাঁবু খাটিয়ে বসবাস করতে চাই। আমি চাই আমাদের সন্তানরা যেন শান্তি ও নিরাপদে বসবাস করতে পারে, স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে পারে এবং শ্রমিকরা কাজে যাবে। তাদের আয়ের একটা ব্যবস্থা হবে।

হামাসের হামলার জবাবে ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় নির্বিচারে হামলা চালিয়ে আসছে ইসরায়েল। ইসরায়েলি হামলায় এরই মধ্যে ২১ হাজার ৮০০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ৫৬ হাজার ১৬৫ জন ফিলিস্তিনি। এ ছাড়া নিখোঁজ হয়েছেন আরও কয়েক হাজার মানুষ।

হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধের প্রথম দিকে ইসরায়েলি বাহিনী উত্তর গাজায় হামলা চালায়। ফলে ইসরায়েলি হামলা থেকে বাঁচতে অধিকাংশ ফিলিস্তিনি দক্ষিণ গাজায় এসে আশ্রয় গ্রহণ করেন। সম্প্রতি দক্ষিণ গাজার খান ইউনিস শহরে হামলা জোরদার করেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। তাদের দাবি, শহরটিতে শক্ত ঘাঁটি গেড়ে বসেছে হামাস। ফলে বর্তমানে অধিকাংশ ফিলিস্তিনি মিসরের সীমান্তবর্তী রাফাহ শহরে আশ্রয় নিয়েছেন। সেখানে খোলা আকাশের নিচে পরিবার নিয়ে বসবাস করছেন তারা।

হামাস-ইসরায়েলের এই যুদ্ধ রাজনৈতিকভাবে সমাধান হবে এমন প্রত্যাশা খুব কম। ৭৫ বছর ধরে ফিলিস্তিনিরা যে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বপ্ন দেখছেন সেটাও আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে কঠিন হয়ে উঠেছে।

কান্নাজড়িত কণ্ঠে সুজান খাদের নামে এক ফিলিস্তিনি নারী বলেন, নতুন বছরে যুদ্ধের অবসান হবে। অক্টোবরে আমাদের বাড়িঘর গুঁড়িয়ে দেওয়ার পর থেকে আমরা সড়কে তাঁবু ফেলে বসবাস করছি। আমাদের পুরো জীবনটাই এখন সড়কের ওপর। আমরা রাস্তায় খাই, রাস্তায় বাস করি, রাস্তায় মারা যাই, এমনকি আমাদের বাচ্চারাও রাস্তায় আছে। আমরা সবাই ঘরবাড়ি ছাড়া। ২০২৩ সালে আমাদের অনেক সংগ্রাম করতে হয়েছে।

ইসরায়েলি হামলায় সৃষ্ট ধ্বংসস্তূপের মধ্যে বিড়ালছানার সঙ্গে খেলতে খেলতে ১২ বছর বয়সী মুনা আল-সাওয়াফ বলেছে, আমার আশা ২০২৪ সালে সব কিছু ঠিক হয়ে যায়। আমরা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে চাই। আমরা কাপড়-চোপড় পরব, আবার কাজ করব, আমাদের বাড়িঘরগুলো পুনরায় নির্মাণ করা হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

ঘটনাপ্রবাহ: ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংঘাত
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

চেক প্রজাতন্ত্র / দুই ট্রেনের সংঘর্ষে আহত প্রায় অর্ধশত

এই ৫ লক্ষণ দেখলেই বুঝবেন কিডনি ক্যানসারে ভুগছেন

আগামী ৩-৪ কার্যদিবসের মধ্যে ‘গণভোট আইন’ করা হবে : আইন উপদেষ্টা

এক দিনে ডেঙ্গুতে আরও ৪ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৭৪৫

বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ইনকিলাবকে হারিয়ে কালবেলার দ্বিতীয় জয়

স্কুলশিক্ষার্থীদের নিয়ে লায়ন কল্লোলের হাইজিন ক্যাম্পেইন শুরু

খেজুর গাছ থেকে পড়ে শিবির নেতার মৃত্যু

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে বড় নিয়োগ, আবেদন অনলাইনে

কায়সার কামালের কাছে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইলেন ছাত্রলীগ নেত্রী

সাভারে তারেক রহমানের জন্মদিনে মানবিক সেবা

১০

আবারও ‘জেন-জি’ বিক্ষোভে উত্তাল নেপাল, কারফিউ জারি

১১

‘মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের তথ্যপ্রযুক্তির সমন্বয়ে আধুনিকভাবে শিক্ষিত হতে হবে’

১২

টুর্নামেন্টে নিম্নমানের পুরস্কার নিয়ে শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ

১৩

শঙ্কা দূর না হলে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন সম্ভব নয় : ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য

১৪

অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ সমর্থন করে না বাংলাদেশ : দিল্লিতে নিরাপত্তা উপদেষ্টা

১৫

বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দশমবার শপথ নিলেন নীতিশ কুমার

১৬

আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য মাছ রপ্তানি বন্ধ

১৭

সাকিব আল হাসানকে দুদকে তলব

১৮

হাজিরা দিতে এসে ছাত্রদল নেতা রক্তাক্ত 

১৯

মেজর সিনহা হত্যা / ওসি প্রদীপ-লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড বহালের রায় প্রকাশ

২০
X