কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৮:১০ পিএম
আপডেট : ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৮:১৯ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

ফিলিস্তিনের ধ্বংসস্তূপে আলো ছড়াচ্ছে ‘গাজার নিউটন’

গাজার নিউটন হিসেবে পরিচিতি পাওয়া হুসাম আল-আত্তার। ছবি : কুদস প্রেস
গাজার নিউটন হিসেবে পরিচিতি পাওয়া হুসাম আল-আত্তার। ছবি : কুদস প্রেস

ইসরায়েলি হামলায় ফিলিস্তিন যখন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে ঠিক তখনই এ উপত্যকায় আলো ছড়াচ্ছে ‘গাজার নিউটন’। প্রকৃত নাম নিউটন না হলেও উদ্ভাবনীর জন্য গাজার নিউটন হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে গাজার এই শিশু। মিডল ইস্ট মনিটরের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

গাজার নিউটন হিসেবে পরিচিতি পাওয়া ওই শিশুর আসল নাম হুসাম আল আত্তার। একদম প্রাথমিক যন্ত্রপাতির সাহায্যে সে বাতাস থেকে বিদ্যুৎ উৎপন্ন করেছে। এর ফলেই এখন এ নামে পরিচিতিও পেয়েছে।

আল আত্তার ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা শুরুর আগে উত্তর গাজার জাবেল মুকাবের স্কুলের শিক্ষার্থী ছিল। কিন্তু ইসরায়েলি বাহিনীর হামলার কারণে আত্তার পরিবারের সঙ্গে সেও গৃহহীন হয়ে পড়ে এবং প্রথমে বেইত লাহিয়া ও পরে খান ইয়ানিসে হেঁটে পালিয়ে এসে আশ্রয় নেয়। বর্তমানে সে মিসরের রাফাহ সীমান্তে বসবাস করছে।

কুদস প্রেসকে আত্তার বলে, আমি আমার দুই ভাতিজার দেখাশোনা করতাম। তাদের চোখে ভয়ের ছাপ দেখতে পেলাম। অন্ধকার তাঁবুর ঘরে তারা একাকী বোধ করত। ফলে আমি তাদের আনন্দ দেওয়ার বিষয়টি ভাবতে লাগলাম এবং এখানে আলোর উদ্ভাবন করলাম।

গাজার এ নিউটন আলজাজিরাকে জানায়, আমি বাজার থেকে ১ শ্যাকেল (ইসরায়েলি মুদ্রা) দিয়ে একটি পকেট ডায়নামো কিনে আনি। ডায়নামো ঘুরলে বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয় এ ধারণা থেকে আমি ঘরের চালে এটি স্থাপন করি। এরপর এর সাথে একটি পাখা যুক্ত করে দেই। ফলে বাতাসের সাহায্যে যখন এটি ঘুরে তখন বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয়।

আত্তার আরও জানায়, আমাদের যদি আরও ব্যাটারি থাকত তাহলে সেগুলো রিচার্জ করে আরও বেশি বিদ্যুতের চাহিদা মেটানো যেত। তাহলে আমরা অল্প অল্প করে ২৪ ঘণ্টাই বিদ্যুৎ পেতাম।

গাজার এ শিশু বক্তব্য, আমাকে এ এলাকার সবাই গাজার নিউটন বলে ডাকে। যুদ্ধবিধ্বস্ত এ এলাকায় কোনো বিদ্যুৎ সুবিধা নেই। ফলে আমি আমার সাধ্যমতো আলো জ্বালানোর চেষ্টা করছি।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

ঘটনাপ্রবাহ: ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংঘাত
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন দাবিতে গণসমাবেশ ও মিছিল

ফেসবুকে যে পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে মেটা

যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে হত্যায় স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

বাড়ছে ডায়রিয়ার প্রকোপ, শয্যা সংকটে মেঝেতে সেবা নিচ্ছেন রোগীরা

আমিরাতে আটক বাকি ২৫ বাংলাদেশি কবে ফিরছেন, জানাল সরকার

‘জুলাই জাতীয় সনদ’ স্বাক্ষরিত হবে ১৫ অক্টোবর

এক হওয়া ৫ ব্যাংকের কর্মীদের চাকরি নিয়ে প্রেস সচিবের যে বার্তা

যে কারণে গভীর রাতে স্বামীর কবর জিয়ারত করতে যান খালেদা জিয়া

তারেক রহমানের স্মৃতিবিজড়িত বটগাছ যমুনায় বিলীন

সকালে খালি পেটে ভুলেও খাবেন না যে ৭ খাবার

১০

আগামীর বাংলাদেশে চাঁদাবাজি মাদক সন্ত্রাস থাকবে না : নজরুল ইসলাম আজাদ

১১

গ্রামীণ ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের ১০ কোটি ডলার ঋণ দেবে এডিবি

১২

সামিতকে বেঞ্চে রেখেই ক্যাবরেরার একাদশ

১৩

যে ৮ ধরনের মানুষের জন্য কফি খাওয়া বিপদজনক

১৪

নির্বাচন নিয়ে কনফিউশনে দুই তথাকথিত সিনিয়র সাংবাদিক : প্রেস সচিব

১৫

বজ্রপাত প্রতিরোধে ২০০ তালের চারা রোপণ করল পুলিশ 

১৬

জামায়াত আমিরের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনারের সৌজন্য সাক্ষাৎ

১৭

বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব থেকে ছিটকে গেলেন রিয়াল মাদ্রিদ তারকা

১৮

আমিরাতে আটক বাকি ২৫ বাংলাদেশি কবে ফিরছেন, জানাল সরকার

১৯

হত্যার পর মা-বাবাকে ঘরের ভেতরে পুঁতে রাখেন ছেলে

২০
X