ইসরায়েলের হামলার পর ইরানের আকাশসীমা এড়িয়ে চলছে বিভিন্ন দেশের উড়োজাহাজ। একের পর এক বাতিল করছে ফ্লাইট। পাশাপাশি বিকল্প বিমানবন্দন ব্যবহার করে যাত্রী পরিবহন করছে।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) হামলার পর তেহরান, ইস্ফাহান, সিরাজসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় বিমান চলাচল স্থগিত করা হয়। সক্রিয় করা হয় আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থাও। পরে অবশ্য খুব দ্রুতই বিমান চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়। স্বাভাবিক করা হয় বিমানবন্দর।
কিন্তু এতে আশ্বস্থ হতে পারেনি আন্তর্জাতিক বিমান পরিচালনাকারী সংস্থাগুলো। ফ্লাইটরাডার ২৪ জানায়, ফ্লাই দুবাই একটি ফ্লাইট বাতিল করে। আরেকটি দুবাইয়ে ফিরিয়ে আনা হয়।
এদিকে হামলার খবরে রোম থেকে তেহরানগামী ইরান এয়ারের একটি ফ্লাইট হঠাৎ পথ পরিবর্তন করে। সেটি তুরস্কের আঙ্কারায় অবতরণ করে।
জার্মানির লুফথানসা তেলআবিবগামী ফ্লাইটও বাতিল করেছে। তারা জানিয়েছে, শনিবার পর্যন্ত অন্যান্য গন্তব্যে যেতে ইরাকের আকাশসীমা ব্যবহার করা হবে।
এক বিবৃতিতে তারা বলে, ‘যাত্রী ও তাদের কর্মীদের নিরাপত্তা সব কিছুর ওপরে প্রাধান্য পায়।’
ফ্লাইদুবাইও বিবৃতি দিয়েছে। তারা বলেছে, ‘আমরা পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। প্রাসঙ্গিক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে পরামর্শ করে আমাদের ফ্লাইটের পথ পরিবর্তন করছি।’
তবে ইরানের বিভিন্ন সংস্থা বিবৃতি দিয়ে বিমানবন্দর স্বাভাবিক থাকার কথা জানাচ্ছে। বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর সঙ্গে সম্পৃক্ত তাসনিম বার্তা সংস্থা জানিয়েছে, দেশের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ বেশিরভাগ বিমানবন্দরে ফ্লাইট নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। খবরে আরও বলা হয়, তেহরানের প্রধান অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দর মেহরাবাদে ফ্লাইট চলাচল স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে এসেছে। এখন এ পথে বিমান চলাচলে কোনো বাধা নেই।
মন্তব্য করুন