নেতানিয়াহু সরকারের বিচারব্যবস্থা সংস্কার পরিকল্পনার প্রতিবাদে টানা বিক্ষোভে উত্তাল ইসরায়েল। বিক্ষোভ দমনে দেশটির পার্লামেন্টের বাইরে অবস্থান করা বিক্ষোভকারীদের ওপর সোমবার (২৪ জুলাই) জলকামান ব্যবহার করেছে পুলিশ। এ ছাড়া বেশ কয়েকজন বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
কয়েক মাস ধরে সরকারের বিচারব্যবস্থা সংস্কার পরিকল্পনার প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে লাখ লাখ ইসরায়েলি বিক্ষোভ করছেন। গণমানুষের সেই আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন দেশটির সাবেক শতাধিক নিরাপত্তাপ্রধান। এদিন তেল আবিবসহ দেশটির গুরুত্বপূর্ণ সব শহর দখলে নেন আন্দোলনকারীরা। পরিস্থিতি যেন দিনকে দিন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে।
আজ সোমবার বিচারব্যবস্থা সংস্কার পরিকল্পনা নিয়ে চূড়ান্ত ভোট হওয়ার কথা ইসরায়েলি পার্লামেন্টে। সেখানে বিল পাস হলেই কমে আসবে সুপ্রিম কোর্টের ক্ষমতা। যে কোনো মূল্যে এই ভোট ঠেকাতে উঠে পড়ে লেগেছেন বিক্ষোভকারীরা। এদিন পার্লামেন্টসহ গুরুত্বপূর্ণ সরকারি সব কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন বিক্ষোভকারীরা।
আরও পড়ুন : ইসরায়েলে চরম বিশৃঙ্খলা, নড়বড়ে নেতানিয়াহু
বিবিসির খবরে বলা হয়, সোমবার সকালে ইসরায়েলি পার্লামেন্টের নেসেটের বাইরের সড়ক অবরোধ করে অবস্থান নেন বিক্ষোভকারীরা। একপর্যায়ে তাদের সরাতে জলকামান ব্যবহার করে পুলিশ। এ ছাড়া এই সময় একজন বিক্ষোভকারী আহত এবং ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হারজোগ বলেন, ‘আমাদের দেশ জাতীয় জরুরি অবস্থার মধ্যে রয়েছে।’ এ সময় দেশের নেতাদের সমঝোতায় পৌঁছানোর অনুরোধ করেন তিনি।
তবে আজ ইসরায়েলের পার্লামেন্টের বিরোধীদলীয় নেতা ইয়ার ল্যাপিড জানিয়েছেন, বিচারব্যবস্থা সংস্কার বিল নিয়ে সমঝোতার আলোচনা ব্যর্থ হয়েছে। তিনি বলেন, ‘সাম্প্রতিক সপ্তাহে, বিশেষ করে গত ৪৮ ঘণ্টায় আমরা সমঝোতায় পৌঁছতে সব ধরনের চেষ্টা করেছি। আমাদের প্রধান লক্ষ্য ছিল দেশের গণতন্ত্র রক্ষা করা। তবে এই সরকারের সঙ্গে সমঝোতায় পৌঁছানো অসম্ভব।’
মন্তব্য করুন