বিশ্বব্যাপী কলেরার প্রাদুর্ভাব জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে গভীরভাবে জড়িত বলে জানিয়েছে (ডব্লিউএইচও) বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক কর্মকর্তা।
মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) টিকাদান সংক্রান্ত বৈঠকের পর ডব্লিউএইচ‘র প্রধান উপদেষ্টা ডা. কেট ওব্রায়েন এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমাদেরকে স্বীকার করতে হবে- বর্তমানে কলেরার প্রাদুর্ভাব চলমান রয়েছে। জরুরি পরিস্থিতি এবং সংঘাতের পরিস্থিতিতে জলবায়ু পরিবর্তন গভীরভাবে সম্পর্কিত। আমরা কলেরার বিষয়ে সতর্কতা বাড়িয়ে দিয়েছি।
এটি শুধু ভ্যাকসিনের সাথে সম্পর্কিত নয়। অথবা প্রতিরক্ষার কোনো ধাপও নয়। কলেরা হলো বিশুদ্ধ পানি এবং পরিষ্কার স্যানিটেশন সম্পর্কিত একটি রোগ। আর ভ্যাকসিন হল এ রোগ প্রতিরোধ করার একটি পদ্ধতি। কলেরা ছাড়াও বর্তমান বিশ্ব হামের প্রাদুর্ভাবের জন্য প্রস্তুত রয়েছে।
এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো-জলবায়ু পরিবর্তন, জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ, মানবিক সংকট মোকাবিলা এবং টিকাদানের মাধ্যমে এ রোগ প্রতিরোধ করা।
তিনি আরও বলেছেন, টিকাদান কর্মসূচিগুলো কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা আমরা কোভিটের ১- এর সময় পর্যবেক্ষণ করেছি।
এসএজিই গ্রুপ সম্প্রতি নতুন (টিবি) যক্ষ্মা ভ্যাকসিনের পুনরাবৃত্তি দেখেছে। কিশোর ও প্রাপ্তবয়স্কদের রোগ প্রতিরোধের জন্য বেশকিছু টিবি (যক্ষ্মা) রোগের টিকা প্রক্রিয়াধীন।
টিবি হলো সবচেয়ে শক্তিশালী রোগগুলোর একটি- যা সারা বিশ্বের মানুষের জীবন কেড়ে নিচ্ছে। ২০২২ সালে বিশ্বে এ রোগে প্রায় ১৩ লাখের অধিক মানুষ মারা গেছে। বর্তমানে ১০ লাখেরও বেশি মানুষ এ রোগে আক্রান্ত।
ভ্যাকসিনগুলো পাওয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা বিভ্রান্তি। যা কোভিটের সময় প্রচলিত ছিল। তবে কিছু কিছু দেশে এই জাতীয় ভ্যাকসিনের প্রাপ্যতা রয়েছে।
কোভিড মহামারিতে আমরা খুব কাছ দেখেছি- ভ্যাকসিনের প্রাপ্যতা এবং গ্রহণযোগ্যতা যথেষ্ট ছিল না। যে কোনো ব্যক্তি, পরিবার এবং সম্প্রদায়ের চাহিদা অনুযায়ী যাতে লোকেরা তা সহজে পেতে পারে তার ব্যবস্থা করা।
আপনি ভালো করে জানেন, অতীতে কোভিট মহামারি চলাকালীন তথ্য ভুলের একটা ব্যাপার ছিল। ওই সময় যদি সঠিকভাবে সবকিছু তোলে ধরা যেত তাহলে ব্যাপারটি আরও ভালো হতো। কিছু তথ্য ভুল ছিল, হয় অনিচ্ছাকৃতভাবে ভুল, না হয় ইচ্ছাকৃতভাবে ভুল তথ্য।
মহামারি চলাকালীন ক্লিনিকগুলো সবসময় খোলা রাখা। সাধারণ লোকেরা যাতে সহজে সেবা পেতে পারে তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
মন্তব্য করুন