কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০১ মে ২০২৪, ১০:৫৩ এএম
অনলাইন সংস্করণ

বঙ্গোপসাগরের এই দ্বীপে গেলে মেরে ঝুলিয়ে রাখবে তারা

সেন্টিনেল দ্বীপ। ছবি : সংগৃহীত
সেন্টিনেল দ্বীপ। ছবি : সংগৃহীত

সেন্টিনেল দ্বীপ। এই দ্বীপের আশেপাশে গেলেও কোনো মানুষ আর জীবিত ফিরে আসে না। বঙ্গোপসাগর ও আন্দামান সাগরের সংযোগস্থলে অবস্থিত ৫৭২ টি দ্বীপের মধ্যে রহস্যে ঘেরা সেন্টিনেল দ্বীপও রয়েছে।

এই দ্বীপে আধুনিক সভ্যতার যোগাযোগবিহীন শেষ উপজাতি বসবাস করে। প্রবাল প্রাচীরে ঘেরা এই দ্বীপটি ভয়ংকর হয়ে উঠেছে মূলত এখানে বসবাসকারী জনগোষ্ঠীর কারণে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম এ নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করে আসছে।

এই জনগোষ্ঠীর নাম সেন্টিনেল বা সেন্টিনেলিজ জনগোষ্ঠী। আধুনিকতা বা আজকের সভ্যতা তাদের স্পর্শ করতে পারেনি। এ জন্য তারা বহিরাগতদের চিরশত্রু মনে করে।

আদিম যুগের মানুষের মতো তারা বিবস্ত্র হয়ে ঘুরে বেড়ায় এবং লজ্জা নিবারণের জন্য গাছের ছালবাকল ব্যবহার করে। পশু শিকার, মাছ ধরা ও লতাপাতা খেয়ে তারা জীবনধারণ করে। কৃষিকাজের জ্ঞান কিংবা আগুন জ্বালানো কোনোটিই তারা এখনো রপ্ত করতে পারেনি। ঠিক কতজন মানুষ এই দ্বীপে বসবাস করে তার সঠিক সংখ্যাও জানা যায়নি।

তবে ধারণা করা হয় ৫০০ এর মতো মানুষ এখানে বসবাস করে। এই দ্বীপে সাধারণ মানুষের প্রবেশ নিষিদ্ধ। যদি ভুলেও কোনো মানুষ কিংবা নৌযান এই দ্বীপের ১০ কিলোমিটার সীমানার মধ্যে প্রবেশ করে তাহলে মৃত্যু অনিবার্য।

ভারতের আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের রাজধানী পোর্ট ব্লেয়ার থেকে সেন্টিনেল দ্বীপের দূরত্ব প্রায় ৫০ কিলোমিটার। এই শহরকে ভারত সরকার অন্যতম আধুনিক শহর হিসেবে ঘোষণা করেছে। অথচ এই শহরের খুব নিকটের দ্বীপে যাদের বসবাস তাদের আধুনিক পৃথিবীর সঙ্গে কোনো যোগাযোগ নেই।

১৮৮০ সালে ব্রিটিশ নৃবিজ্ঞানী এম ভি পোর্টম্যান একটি দল নিয়ে সেন্টিনেল দ্বীপে গিয়ে উপজাতিদের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপন করেন। দলটি দ্বীপের দুজন বয়স্ক মানুষসহ চারজন শিশুকে নিয়ে আসে পরীক্ষা করার জন্য। তাদের নতুন পোশাক ও খাবার দেওয়া হয়, যত্ন করা হয়। কিন্তু তারা আধুনিক সমাজে মানিয়ে নিতে পারেনি।

কিছু দিন পরেই এক অজানা রোগে আক্রান্ত হয়ে সবাই মারা যায়। এই ঘটনার পর সভ্য সমাজের মানুষের ওপর সেন্টিনেলিজরা আরও বেশি ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে।

২০০৬ সালে ভুলে দুইজন জেলে সেন্টিনেল দ্বীপের সীমানায় প্রবেশ করলে সেন্টিনেলিজরা তীর দিয়ে দুজন জেলেকে হত্যা করে এবং সেই মরদেহগুলো উদ্ধার করতে আসা হেলিকপ্টারটিকেও তীর মেরে তারা হটিয়ে দেয়।

২০১৮ সালের ১৬ নভেম্বর মার্কিন ধর্মযাজক জন এলেন চাও বিনা অনুমতিতে নর্থ সেন্টিনেল দ্বীপে খ্রিষ্টধর্ম প্রচার করার উদ্দেশ্য নিয়ে প্রবেশ করেন। পরে অ্যালেন চাওকে তীর ছুড়ে হত্যা করা হয়।

সেন্টিনেলিজরা মানুষ মেরে প্রথমে কবর দেয়, কয়েকদিন পর সেই কবর থেকে মৃতদেহ বের করে সমুদ্রের তীরে ঝুলিয়ে দেয় যাতে ভয় পেয়ে বাইরের কেউ সেখানে প্রবেশ করার সাহস না করে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ভারতে বাংলাদেশিদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ, ব্যাপক ধরপাকড়

বুসকেটস–আলবার বিদায়ক্ষণে মেসির ‘আরেক ফিনালিসিমা’

ব্রাকসু নির্বাচনে ডোপ টেস্ট ও হল ক্লিয়ারেন্স বাতিলের আবেদন

পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিচ্ছে সরকার

খালেদা জিয়া নীতির প্রশ্নে আপস করেননি : খায়রুল কবির

বিশ্বকাপ ড্র ঘিরে আলোচনায় বাবা ভাঙার ‘উদ্বেগজনক’ ভবিষ্যদ্বাণী

ট্রাম্পকে দেওয়া ফিফা শান্তি পুরস্কারের কড়া সমালোচনায় নরওয়ে

অহিংস ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির শরীয়তপুর গড়ে তুলব : নুরুদ্দিন আহাম্মেদ অপু

বাবা হওয়ার পর মেহরাবের নতুন গানের ঘোষণা

দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশি যুবককে গুলি করে হত্যা

১০

নির্বাচনের তপশিল নিয়ে সভা রোববার

১১

পদোন্নতি পেয়ে সহযোগী অধ্যাপক হলেন ১২০ চিকিৎসক

১২

ছেলেকে দেখার আকাঙ্ক্ষা নিয়েই চলে গেলেন গুম হওয়া ছাত্রদল নেতার বাবা

১৩

পূজা পরিষদ ও পূজা কমিটির মতবিনিময় / সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তায় নির্বাচনের আগে-পরে এক মাস সেনা মোতায়েনসহ ৯ দাবি

১৪

‘এনসিপি সরকারে গেলে প্রাইভেট সেক্টরেও শুক্র-শনিবার ছুটি ঘোষণা করব’

১৫

নিজ ফ্ল্যাটেই মিলল নিখোঁজ স্কুল শিক্ষিকার লাশ

১৬

শিক্ষক সমাজই হচ্ছে একটি জাতির ভিত্তি : মান্নান

১৭

কোন দেশের হাতে বিশ্বকাপ দেখতে চান গার্দিওলা?

১৮

মহানবীকে নিয়ে কটূক্তি, জাবি শিক্ষার্থী আজীবন বহিষ্কার

১৯

কড়াইলের দুর্গতদের পাশে আনসার-ভিডিপির ৯ দিনের মানবিক সেবা কার্যক্রম সমাপ্ত

২০
X