কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলার পর যুদ্ধে জড়িয়েছে ভারত-পাকিস্তান। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় দুই দেশ। এ যুদ্ধবিরতি অব্যাহত থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছে পাকিস্তান।
সোমবার (১৯ মে) জিও নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
পাকিস্তান আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (ডিজি আইএসপিআর) মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমদ শরিফ চৌধুরী জানান, উভয় দেশের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তাদের মধ্যে সামরিক হটলাইন সক্রিয় রয়েছে। পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী ভারতের সাথে অস্ত্রবিরতি চুক্তি অব্যাহত থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
একটি মার্কিন সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জেনারেল চৌধুরী বলেন, আমরা আশা করি পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে অস্ত্রবিরতি চুক্তি অব্যাহত থাকবে। উভয় দেশের মধ্যে হটলাইন কার্যকর রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সাম্প্রতিক চার দিন ধরে ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলার পাল্টাপাল্টিতে উভয় দেশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা হটলাইনের মাধ্যমে নিয়মিত যোগাযোগ রাখেন, যা পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়া থেকে রোধ করেছে। তিনি বলেন, ভারতীয় হামলায় মানুষের প্রাণহানি ও সম্পদের ক্ষতির বিষয়ে আমরা স্বচ্ছ ছিলাম। আমরা আশা করি, ভারতও একই রকম স্বচ্ছতা দেখিয়েছে।
এর আগে গত শনিবার (১০ মে) বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬টায় প্রথম যুদ্ধবিরতির বিষয়ে ঘোষণা করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ট্রাম্প তার ব্যক্তিগত মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ স্যোশালে শেয়ার করা এক পোস্টে জানান, যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ভারত ও পাকিস্তান একটি পূর্ণ ও তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে।
পোস্টে ট্রাম্প লেখেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় দীর্ঘ রাত ধরে আলোচনার পর আমি আনন্দের সাথে ঘোষণা করছি যে, ভারত ও পাকিস্তান একটি পূর্ণ ও তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। সাধারণ বুদ্ধিমত্তা ও অসাধারণ বিচক্ষণতার পরিচয় দেওয়ার জন্য উভয় দেশকে আমি অভিনন্দন জানাই। এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে মনোযোগ দেওয়ার জন্য আপনাদের সবাইকে ধন্যবাদ!’
পরে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলেন, আমি ঘোষণা করতে পেরে আনন্দিত যে, ভারত ও পাকিস্তান যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে এবং উভয় দেশ ‘নিরপেক্ষ একটি স্থানে’ আলোচনা শুরু করতে সম্মত হয়েছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্টে রুবিও বলেছেন, গত ৪৮ ঘণ্টা ধরে তিনি এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং শাহবাজ শরিফ, পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুব্রহ্মণ্যম জয়শঙ্কর, সেনাপ্রধান আসিম মুনির এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল, অসীম মালিকসহ ঊর্ধ্বতন ভারতীয় ও পাকিস্তানি কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন।
তিনি বলেন, ‘শান্তি প্রতিষ্ঠার পথ বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী মোদি এবং শরীফের প্রজ্ঞা, বিচক্ষণতা এবং রাষ্ট্রনায়কত্বের জন্য আমরা তাদের প্রশংসা করি।’
মন্তব্য করুন