কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৪৭ এএম
অনলাইন সংস্করণ

সিরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের ৭৫ বিমান হামলা

সিরিয়ায় হামা শহর অভিমুখে বিদ্রোহীদের অবস্থান। ছবি : সংগৃহীত
সিরিয়ায় হামা শহর অভিমুখে বিদ্রোহীদের অবস্থান। ছবি : সংগৃহীত

সিরিয়ায় মাত্র ১২ দিনের মাথায় বিদ্রোহীদের হাতে বাশার আল-আসাদ সরকারের পতন হয়েছে। এতে দেশটিতে দুই যুগ ধরে চলা শাসনের অবসান হয়েছে। বিদ্রোহীরা প্রেসিডেন্টের প্রাসাদ দখলে নিয়েছে। এমনকি বিদ্রোহী গোষ্ঠী ‘হায়াত তাহরির আল-শাম’ (এইচটিএস)-এর নেতা আবু মোহাম্মদ আল জোলানি জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছেন। এদিকে দেশটিতে অন্তত ৭৫টি বিমান হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

সোমবার (০৯ ডিসেম্বর) বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সিরিয়ার যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ঘাঁটি রয়েছে। এ ঘাঁটিতে ৯০০ মার্কিন সেনা রয়েছে। তারা আসাদের পলায়নের দিনও জঙ্গিগোষ্ঠী আইএসআইএলের অবস্থানকে নিশানা করে অন্তত ৭৫ হামলা চালিয়েছে। এ হামলায় তাদের ক্যাম্প ও অভিযানকে নিশানা করা হয়েছে। এ

সেন্টকম কমান্ডার মাইকেল কুরিলা বলেন, জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএসআইএস) তাদের সক্ষমতা পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করতে এবং একটি নিরাপদ আশ্রয় তৈরি করতে শূন্যতার সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করতে পারে। তবে আমরা তাদের এটি হতে দেব না।

তিনি বলেন, সিরিয়ার সমস্ত সংস্থার জানা উচিত যে তারা যদি আইএসআইএল (আইএসআইএস) এর সাথে অংশীদারিত্ব করে বা সমর্থন করে তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাদের জবাবদিহি করবে।

মার্কিন প্রশাসনের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, সিরিয়ার পূর্বে বাদিয়াহ মরুভূমিতে েএ হামলা চালানো হয়েছে। এলাকাটিতে আইএস নিজেদের পুনর্গঠন করছে।

উল্লেখ্য, বাবা হাফিজ আল বাশাদের মৃত্যুর পর ২০০০ সালে বাশার আল আসাদের শাসনকাল শুরু হয়। প্রথমে সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দিলেও পরবর্তী সময়ে বাবার মতোই কর্তৃত্ববাদী শাসক হয়ে ওঠেন তিনি। বাশার আসাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে মানবাধিকার লঙ্ঘন ও বিরোধীদের ওপর দমন-পীড়নের। এর আগে ২০১১ সালে আরব বসন্ত ঘিরে বাশার আসাদের ক্ষমতার মসনদ নড়ে উঠেছিল।

কিন্তু সে যাত্রায় রাশিয়া ও ইরানের সমর্থনে ক্ষমতায় টিকে গিয়েছিলেন বাশার আসাদ। এবার অবশ্য শেষরক্ষা হয়নি। রাশিয়া ও ইরান আগেই তাদের সামরিক উপস্থিতি কমিয়ে ফেলে। এরপরই হায়াত তাহরির আল শামের নেতৃত্বে বিদ্রোহীদের গ্রুপ মাত্র তিনটি শহর দখল করে নেওয়ার পরই দেশ ছেড়ে পালাতে হয় বাশার আসাদকে। গোপনে প্লেনে চড়ে ছাড়তে হয় মাতৃভূমিও।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানকে স্থায়ীভাবে অপসারণ

চাকসু নির্বাচন জাতীয় নির্বাচনের রিহার্সাল হিসেবে বিবেচিত হবে : চবি উপাচার্য

নতুন বউ ঘরে রেখে বাংলাদেশকে একাই হারিয়ে দিলেন সামি

স্ত্রীকে হত্যা করে ডিপ ফ্রিজে রাখা সেই স্বামী গ্রেপ্তার

রাজনীতিতে মন নেই কঙ্গনার, ফিরতে চান অভিনয়ে

তিন মাসে মোবাইল উদ্ধার ১০৮, টাকা ফেরত সাড়ে ৩ লাখ

এইচএসসির ফল প্রকাশ বৃহস্পতিবার, জানা যাবে যেভাবে

আশুলিয়ায় মরদেহ পোড়ানোর মামলায় ১১তম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ আজ

শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দুদকের হানা, ৭ দালালের দণ্ড

রাফা ক্রসিং খোলা হবে কি না, সিদ্ধান্ত জানাল ইসরায়েল

১০

সন্তান ধারণে সমস্যার সমাধান খাবারেই

১১

বিপিএল নিলামের তারিখ চূড়ান্ত, দলগুলোর জন্য আছে সুখবর

১২

চাকসু নির্বাচন : নারী ভোটারদের উপস্থিতি নজরকাড়া

১৩

অভিযোগ আসছে ভোটারদের আঙুলের কালি মুছে যাচ্ছে : ছাত্রদলের ভিপি প্রার্থী

১৪

‘কীভাবে পরের সিরিজে ভালো করা যায় এটা নিয়ে ভাবছি’

১৫

ছাত্রীদের জন্য নিরাপদ ক্যাম্পাস গড়ে তুলতে চাই : সাইদ বিন হাবিব

১৬

৩০ মিনিট দেরিতে শুরু হলো চাকসুর ভোট

১৭

‘নির্বাচনে কারচুপি করলে কে গ্রহণ করবে’

১৮

ভোট দিয়ে শিক্ষার্থী বললেন, ‘ঈদের আনন্দ লাগছে’

১৯

বাংলাদেশে অভিবাসন ব্যবস্থাপনা শক্তিশালী করতে ‘অভিবাসন ম্যানুয়াল’ প্রকাশ করল আইওএম 

২০
X